(অ্যামেথিষ্ট) এমিথিস্ট পাথরের উপকারিতা Benefits of Amethyst Stone:
(অ্যামেথিষ্ট) এমিথিস্ট পাথরের উপকারিতা: বিশেষ করে যাদের কুম্ভ রাশি (Aquarius) Jan 21- Feb 20 ও মকর রাশি (Capricon) Dec 21-Jan 20 তাদের রাশির প্রধান পাথর হচ্ছে ইন্দ্র নীলা পাথর অথবা পদ্ম নীলা পাথর। রাশি রত্ন পাথর পদ্ম নীলা (Rashi Ratno Pathor Amethyst Stone) কে বাংলায় এমেথিস্ট পাথর (Amethyst Pathor), রাজভত্ত নীলা পাথর (Rajvotto Nila Pathor), রাজ ভক্ত নীলা পাথর (Rajvokto Nila Pathor), অপরাজিতা নীলা পাথর (Oporajita Nila Pathor) বলা হয়ে থাকে। সব থেকে সুন্দর এমেথিস্ট পাথরের রঙ হচ্ছে ডীপ বেগুনী (Violet) রঙের। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এমেথিস্ট পাথর পাওয়া যায় যেমন, আমারিকা, উরুগুয়ে, জাম্বিয়া এবং ব্রাজিলে। এ পাথর শনিগ্রহ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে এবং পাথর ব্যবহারে ব্যক্তির জ্ঞান গাম্ভীর্য ধারাবাহিক ভাবে বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়। আসল পদ্ম নীলা পাথর হার্ট এবং পাকিস্থলির সমস্যায় উপকারী। শনিগ্রহ প্রাচুর্যতা আনয়ন করে কিন্তু পাশাপাশি অতিরিক্ত ভোগপ্রবণতা কমাতে সাহায্য করে।
আরও জানুন: রত্ন পাথর শোধন করার নিয়ম ও মন্ত্র জানতে ভিডিওটি দেখুন
রাসায়নিক গঠনসম্পাদনা উপাদান?
(Chemical Composition)
কাঠিন্যতা (Hardness): ৭
আপেক্ষিক গুরুত্ব (Specific Gravity): ২.৬৫
প্রতিসরণাংক (Refractive Index): ১.৫৩২-১.৫৫৪
বিচ্ছুরণ (Dispersion): ০.০১৩
আরও দেখুন: আমাদের সংগ্রহে রত্নপাথর (Gemstone)
অ্যামেথিষ্ট পাথরের উপকারিতা কী? কেন ধারণ করা হয় এই রত্ন?
জ্যোতিষ শাস্ত্রমতে শনি গ্রহের খারাপ প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে এমেথিস্ট বা পদ্ম নীলা পাথর সাহায্য করে থাকে। মানুষের জীবনে সমস্যা দুই ধরনের হয়ে থাকে। এক ধরনের সমস্যা মানুষের জীবনে সব সময়ই লেগে থাকে, একটা শেষ হবার আগেই আরেকটা এসে জুড়ে যায়। যদি এ সমস্যা গুলো ছোট খাট হয়ে থাকে তাহলে এটা রাহুর সমস্যার কারনে হয়ে থাকে, যার জন্য গোমেদ পাথর যথেষ্ট। কিন্তু যাদের সমস্যা গুলোর প্রভাব বেশী এবং যে কাজেই হাত দেওয়া হোক না কেন সে কাজই যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে এটা শনি গ্রহের খারাপ প্রভাবের কারনে। ফলে জীবনে নেমে আসে চরম বিপর্যয়। এমন অবস্থায় উপকারী পাথর হচ্ছে ইন্দ্র নীলা পাথর অথবা পদ্ম নীলা পাথর।
- বিমূর্ত নিরাময় গুণাবলী: অ্যামেথিষ্ট মনের পাথর। বিরক্তিবোধ ও সংশয়ের ক্ষেত্রে প্রশান্তি ও স্পষ্টতা আনয়নে সহায়তা করে। আপনি যদি আপনার অন্তর্জ্ঞান, অনুভব অথবা ফিলিংস বা আপনার গুরুত্বের সংস্পর্শে আসতে চান তাহলে অ্যামেথিষ্ট পরিধান করুন।
- আধ্যাত্মিকতা: অ্যামেথিষ্ট নিরাময় ও স্বার্থপরহীনতা লালন করে এবং এটা বর্ধিত মহত্ত্ব, আধ্যাত্মিক সচেতনতা, ধ্যান, ভারসাম্য, আধ্যাত্মিক ক্ষমতা, আত্মার শান্তি ও ইতিবাচক রূপান্তরের সাথে সম্পর্কিত। অনেকে বলেন একে রূপান্তরের পাথর বলা উচিত। মেটামরফোসিস’ নামেও পরিচিত।
- আসক্তি: অ্যামেথিষ্ট শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ অ্যামিথিউমাস থেকে, যার অর্থ – পান করা হয়েছে। গ্রীকদের সুরাদেবতা বাক্কুসের তরুণী থেকে পাথরে রূপান্তরিত হওয়া বিষয়ে একটি প্রাচীন পুরাণ রয়েছে যে, তিনি মূর্তির উপর ঢেলেছিলেন, একে রক্তবর্ণ হিসেবে বর্ণনা করে এবং অ্যামেথিষ্ট সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুন: দেহের কোথায় তিল থাকলে কি হয়?
(অ্যামেথিষ্ট) এমিথিস্ট পাথরের উপকারিতা?
এটা একজনকে সকল আধ্যাত্মিক বিষয়, মরমি ও অতি প্রাকৃত বিষয় শিখতে সহায়তা করে। বিশেষ করে এটা আত্ম-সংযম, অ্যালকোহল, খাদ্য, যৌনতা ও অন্যান্য আসক্তির ক্ষেত্রে সহায়তা করে।
উপকারিতা : অ্যামেথিষ্ট একটি উপরত্ন। শনির বিকল্প রত্ন হিসাবে ব্যবহার হয়। জন্ম রাশি ও হস্তরেখা বিচার শনির অশুভত্ব দূরীকরণার্থে ধারণ করা হয়। পাশ্চত্যের মেয়েরা বিশ্বাস করতেন যে অ্যামেথিষ্ট ব্যবহারে স্বামী-স্ত্রী প্রেম চিরস্থায়ী হয় ও অবিবাহিত মেয়েদের শীঘ্র বিবাহ হয়।
দৈহিক নিরাময় গুণাবলী : হরমোন উৎপাদন উন্নত করতে সহায়তা করে, স্নায়ুতন্ত্র, অনিদ্রা, শ্রবণশক্তি, পরিপাকনালী, হৃদপিন্ডকে উপশম প্রদান করে। অনিদ্রা, মাথাব্যাথা, শ্রবণে বিশৃঙ্খলা, অঙ্গস্থিতি ও কঙ্কালতন্ত্র, পাকস্থলী, ত্বক ও দাত, আর্থাইটিসের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এটা মহৌষধ
অ্যামেথিষ্ট পান পাত্রের ক্ষেত্রে বলা হত যে, এটা পানকারীকে পানীয়ের চেতনার দ্বারা অতিরিক্তভারাবনত হওয়া থেকে রক্ষা করে। বর্তমানে ঐসব আসক্তি কাটিয়ে ওঠার প্রচেষ্টা, বিশেষ করে অ্যালকোহলের আসক্তি থেকে, সহায়তা হিসেবে অ্যামেথিষ্ট শক্তি ব্যবহার করুন।
সুরক্ষা : অ্যামেথিষ্ট সুরক্ষার স্ফটিক, কারণ এটা আকর্ষণের চেয়ে বিকর্ষণ বেশী করে।
নেতিবাচক বা যা যা বর্জন করে: অতিরিক্ত অসংযমতা, মর্মপীড়া, ক্রোধ, অপরাধবোধ, রাগ, সংশয়, অধৈর্য্য, অসন্তুষ্টি, অনিদ্রা ও দু:স্বপ্ন।
যেসবে গুরুত্ব প্রদান করে : পরিস্কার, পরিচ্ছন্নতা, শুদ্ধতা, নবকাঠামো ও নবায়ন। আধ্যাত্মিক সক্ষমতা, আধ্যাত্মিক সচেতনতা, পরিতৃপ্তি, শান্তি, স্থিতিশীলতা, প্রশান্তি, ক্ষমা ও সহনশীলতা প্রদান করে।
আরও পড়ুন: রাশি অনুযায়ী আপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
এমিথিস্ট রত্ন পাথরের গুনাগুন ও উপকারিতা নিম্নরূপ?
রত্ন পাথর পদ্মনীলা পাথর (এমেথিস্ট পাথর) ব্যবহারে অনেক সময় খুব দ্রুত ফল পাওয়া যায়। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে পদ্মনীলা পাথর সম্পদ বৃদ্ধি, সৌভাগ্য, সুযোগ এবং প্রসারের সাথে সম্পৃক্ত। ✤ যে সকল মানুষের নেশা জাতীয় কোন সমস্যা থাকে তাদের নেশা থেকে ফেরার জন্য পদ্মনিলা বা এমেথিস্ট পাথর খুব খুব উপকারী। ✤ যাদের শনি গ্রহের খারাপ প্রভাব চলছে তাদের রাশি চক্রের শক্তি যোগায় পদ্মনিলা পাথর অথবা ইন্দ্র নীলা পাথর। ✤ খুব ভালো রক্ষা কবচ হিসেবে কাজ করে পদ্ম নীলা পাথর, এমেথিস্ট পাথর। এ পাথর ব্যবহারে শত্রু থেকে রক্ষা, খারাপ দৃষ্টি ও হিংসে থেকে বেঁচে থাকে যায়। ✤ জেমস্টোন পদ্মনীলা পাথর (Gemstone Podmo Nila Pathor) ব্যবহারের ফলে মানুষিক শক্তি বৃদ্ধি পায়, দ্বিধা দণ্ড কেটে যায় এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য পাওয়া যায়।
মহান আল্লাহর ইচ্ছায় জ্বরের তিব্রতা কমে আসে
✤ পদ্ম নীলা পাথর সরাসরি সম্পদ বৃদ্ধির সাথে জড়িত। এ পাথর ব্যবহারের ফলে অর্থনৈতিক দিকে এগিয়ে যাওয়া যায় এবং বহুবিধ আয়ের পথ পাওয়া যায়। ফলে সম্মান, প্রতিপ্রত্তি ও সুনাম বেড়ে যায়। ✤ জ্বরে আক্রান্ত কোন ব্যক্তির বুকের উপর যদি পদ্মনীলা পাথর (এমেথিস্ট স্টোন) রাখা যায় তাহলে মহান আল্লাহর ইচ্ছায় জ্বরের তিব্রতা কমে আসে। ✤ যে ব্যক্তি পদ্ম নীলা ধারন করবে তার দারিদ্রতা খুব অল্প সময়ের মধ্যে আল্লাহর ইচ্ছায় বদলে সম্ভাবনায় রুপ নিবে। ✤ আসল এমেথিস্ট পাথর শয়তানের খারপ ইচ্ছা থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। ✤ পদ্মনিলা পাথর ধারনে অবৈধ যৌন সম্পর্কের ইচ্ছা নষ্ট হয়ে যায়।
রত্ন পাথর পরার পূর্বে?
এমিথিস্ট স্টোন রিং পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনারা সব সময় ভাল রত্ন বিশেষজ্ঞ, বিশেষ করে যারা বংশগত ভাবে জহুরী রয়েছেন তাদের সহযোগিতা নিয়ে তাদের পরামর্শ নিয়ে সঠিক ভাবে পদ্মনীলা রত্ন ধারণ করার চেষ্টা করবেন, কারণ তাদের মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুদ্ধ শোধন করে পদ্মনীলা পাথর পড়লে আপনি অবশ্যই দ্রুত ফলাফল ভাল পাবেন। পদ্মনীলা পাথর পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই বাংলাদেশ ও ভারতবর্ষে পুরস্কার প্রাপ্ত রত্ন বিশেষজ্ঞ ও ৪৩ বছরের অভিজ্ঞ বংশগত জহুরী, তান্ত্রিক গুরু ও Astrologer Doyal Delowar Chishti জ্যোতিষ রাজ দয়াল দেলোয়ার চিশতীর সঙ্গে পরামর্শ করুন।
জ্যোতিষরাজ – দয়াল দেলোয়ার চিশতী- স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত
পুরস্কার প্রাপ্ত রত্ন বিশেষজ্ঞ, অভিজ্ঞ বংশগত জহুরী, হস্তরেখাবিদ, গ্রহরত্ন নির্বাচক, জ্যোতিষ শাস্ত্রী, তান্ত্রিক, তন্ত্র শাস্তের উপর বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন।
বাংলাদেশ ও ভারত বর্ষে পুরস্কার প্রাপ্ত দীর্ঘ ৪২ বছরের অভিজ্ঞ রত্ন বিশারদ (রত্ন বিশেষজ্ঞ) বিচক্ষণ এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হস্তরেখাবিদ জ্যোতিষ। খাজা বাবার রুহানি সন্তান দয়াল দেলোয়ার চিশতী (Doyal Delower Chishti), তিনি আজমীর শরীফের খেলাফত প্রাপ্ত খাদেম। রত্ন পাথর সম্পর্কে তার রয়েছে ● বাস্তব অভিজ্ঞাতা ● সনাতন এবং ● আধুনিক অভিজ্ঞতা। আর হতাশা নয় সফলতার জন্য আজই চলে আসুন। রত্ন বিশেষজ্ঞ সাথে অনলাইনে নিরাপদে ব্যক্তিগতভাবে কোন সাক্ষাৎকার ছাড়াই চ্যাট এবং কল করে রত্নপাথর বিষয়ে পরামর্শ নিন
(অ্যামেথিষ্ট) এমিথিস্ট পাথরের উপকারিতা Benefits of Amethyst Stone:
(অ্যামেথিষ্ট) এমিথিস্ট পাথরের উপকারিতা: বিশেষ করে যাদের কুম্ভ রাশি (Aquarius) Jan 21- Feb 20 ও মকর রাশি (Capricon) Dec 21-Jan 20 তাদের রাশির প্রধান পাথর হচ্ছে ইন্দ্র নীলা পাথর অথবা পদ্ম নীলা পাথর। রাশি রত্ন পাথর পদ্ম নীলা (Rashi Ratno Pathor Amethyst Stone) কে বাংলায় এমেথিস্ট পাথর (Amethyst Pathor), রাজভত্ত নীলা পাথর (Rajvotto Nila Pathor), রাজ ভক্ত নীলা পাথর (Rajvokto Nila Pathor), অপরাজিতা নীলা পাথর (Oporajita Nila Pathor) বলা হয়ে থাকে। সব থেকে সুন্দর এমেথিস্ট পাথরের রঙ হচ্ছে ডীপ বেগুনী (Violet) রঙের। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এমেথিস্ট পাথর পাওয়া যায় যেমন, আমারিকা, উরুগুয়ে, জাম্বিয়া এবং ব্রাজিলে। এ পাথর শনিগ্রহ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে এবং পাথর ব্যবহারে ব্যক্তির জ্ঞান গাম্ভীর্য ধারাবাহিক ভাবে বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়। আসল পদ্ম নীলা পাথর হার্ট এবং পাকিস্থলির সমস্যায় উপকারী। শনিগ্রহ প্রাচুর্যতা আনয়ন করে কিন্তু পাশাপাশি অতিরিক্ত ভোগপ্রবণতা কমাতে সাহায্য করে।
আরও জানুন: রত্ন পাথর শোধন করার নিয়ম ও মন্ত্র জানতে ভিডিওটি দেখুন
রাসায়নিক গঠনসম্পাদনা উপাদান?
(Chemical Composition)
কাঠিন্যতা (Hardness): ৭
আপেক্ষিক গুরুত্ব (Specific Gravity): ২.৬৫
প্রতিসরণাংক (Refractive Index): ১.৫৩২-১.৫৫৪
বিচ্ছুরণ (Dispersion): ০.০১৩
আরও দেখুন: আমাদের সংগ্রহে রত্নপাথর (Gemstone)
অ্যামেথিষ্ট পাথরের উপকারিতা কী? কেন ধারণ করা হয় এই রত্ন?
জ্যোতিষ শাস্ত্রমতে শনি গ্রহের খারাপ প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে এমেথিস্ট বা পদ্ম নীলা পাথর সাহায্য করে থাকে। মানুষের জীবনে সমস্যা দুই ধরনের হয়ে থাকে। এক ধরনের সমস্যা মানুষের জীবনে সব সময়ই লেগে থাকে, একটা শেষ হবার আগেই আরেকটা এসে জুড়ে যায়। যদি এ সমস্যা গুলো ছোট খাট হয়ে থাকে তাহলে এটা রাহুর সমস্যার কারনে হয়ে থাকে, যার জন্য গোমেদ পাথর যথেষ্ট। কিন্তু যাদের সমস্যা গুলোর প্রভাব বেশী এবং যে কাজেই হাত দেওয়া হোক না কেন সে কাজই যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে এটা শনি গ্রহের খারাপ প্রভাবের কারনে। ফলে জীবনে নেমে আসে চরম বিপর্যয়। এমন অবস্থায় উপকারী পাথর হচ্ছে ইন্দ্র নীলা পাথর অথবা পদ্ম নীলা পাথর।
- বিমূর্ত নিরাময় গুণাবলী: অ্যামেথিষ্ট মনের পাথর। বিরক্তিবোধ ও সংশয়ের ক্ষেত্রে প্রশান্তি ও স্পষ্টতা আনয়নে সহায়তা করে। আপনি যদি আপনার অন্তর্জ্ঞান, অনুভব অথবা ফিলিংস বা আপনার গুরুত্বের সংস্পর্শে আসতে চান তাহলে অ্যামেথিষ্ট পরিধান করুন।
- আধ্যাত্মিকতা: অ্যামেথিষ্ট নিরাময় ও স্বার্থপরহীনতা লালন করে এবং এটা বর্ধিত মহত্ত্ব, আধ্যাত্মিক সচেতনতা, ধ্যান, ভারসাম্য, আধ্যাত্মিক ক্ষমতা, আত্মার শান্তি ও ইতিবাচক রূপান্তরের সাথে সম্পর্কিত। অনেকে বলেন একে রূপান্তরের পাথর বলা উচিত। মেটামরফোসিস’ নামেও পরিচিত।
- আসক্তি: অ্যামেথিষ্ট শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ অ্যামিথিউমাস থেকে, যার অর্থ – পান করা হয়েছে। গ্রীকদের সুরাদেবতা বাক্কুসের তরুণী থেকে পাথরে রূপান্তরিত হওয়া বিষয়ে একটি প্রাচীন পুরাণ রয়েছে যে, তিনি মূর্তির উপর ঢেলেছিলেন, একে রক্তবর্ণ হিসেবে বর্ণনা করে এবং অ্যামেথিষ্ট সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুন: দেহের কোথায় তিল থাকলে কি হয়?
(অ্যামেথিষ্ট) এমিথিস্ট পাথরের উপকারিতা?
এটা একজনকে সকল আধ্যাত্মিক বিষয়, মরমি ও অতি প্রাকৃত বিষয় শিখতে সহায়তা করে। বিশেষ করে এটা আত্ম-সংযম, অ্যালকোহল, খাদ্য, যৌনতা ও অন্যান্য আসক্তির ক্ষেত্রে সহায়তা করে।
উপকারিতা : অ্যামেথিষ্ট একটি উপরত্ন। শনির বিকল্প রত্ন হিসাবে ব্যবহার হয়। জন্ম রাশি ও হস্তরেখা বিচার শনির অশুভত্ব দূরীকরণার্থে ধারণ করা হয়। পাশ্চত্যের মেয়েরা বিশ্বাস করতেন যে অ্যামেথিষ্ট ব্যবহারে স্বামী-স্ত্রী প্রেম চিরস্থায়ী হয় ও অবিবাহিত মেয়েদের শীঘ্র বিবাহ হয়।
দৈহিক নিরাময় গুণাবলী : হরমোন উৎপাদন উন্নত করতে সহায়তা করে, স্নায়ুতন্ত্র, অনিদ্রা, শ্রবণশক্তি, পরিপাকনালী, হৃদপিন্ডকে উপশম প্রদান করে। অনিদ্রা, মাথাব্যাথা, শ্রবণে বিশৃঙ্খলা, অঙ্গস্থিতি ও কঙ্কালতন্ত্র, পাকস্থলী, ত্বক ও দাত, আর্থাইটিসের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এটা মহৌষধ
অ্যামেথিষ্ট পান পাত্রের ক্ষেত্রে বলা হত যে, এটা পানকারীকে পানীয়ের চেতনার দ্বারা অতিরিক্তভারাবনত হওয়া থেকে রক্ষা করে। বর্তমানে ঐসব আসক্তি কাটিয়ে ওঠার প্রচেষ্টা, বিশেষ করে অ্যালকোহলের আসক্তি থেকে, সহায়তা হিসেবে অ্যামেথিষ্ট শক্তি ব্যবহার করুন।
সুরক্ষা : অ্যামেথিষ্ট সুরক্ষার স্ফটিক, কারণ এটা আকর্ষণের চেয়ে বিকর্ষণ বেশী করে।
নেতিবাচক বা যা যা বর্জন করে: অতিরিক্ত অসংযমতা, মর্মপীড়া, ক্রোধ, অপরাধবোধ, রাগ, সংশয়, অধৈর্য্য, অসন্তুষ্টি, অনিদ্রা ও দু:স্বপ্ন।
যেসবে গুরুত্ব প্রদান করে : পরিস্কার, পরিচ্ছন্নতা, শুদ্ধতা, নবকাঠামো ও নবায়ন। আধ্যাত্মিক সক্ষমতা, আধ্যাত্মিক সচেতনতা, পরিতৃপ্তি, শান্তি, স্থিতিশীলতা, প্রশান্তি, ক্ষমা ও সহনশীলতা প্রদান করে।
আরও পড়ুন: রাশি অনুযায়ী আপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
এমিথিস্ট রত্ন পাথরের গুনাগুন ও উপকারিতা নিম্নরূপ?
রত্ন পাথর পদ্মনীলা পাথর (এমেথিস্ট পাথর) ব্যবহারে অনেক সময় খুব দ্রুত ফল পাওয়া যায়। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে পদ্মনীলা পাথর সম্পদ বৃদ্ধি, সৌভাগ্য, সুযোগ এবং প্রসারের সাথে সম্পৃক্ত। ✤ যে সকল মানুষের নেশা জাতীয় কোন সমস্যা থাকে তাদের নেশা থেকে ফেরার জন্য পদ্মনিলা বা এমেথিস্ট পাথর খুব খুব উপকারী। ✤ যাদের শনি গ্রহের খারাপ প্রভাব চলছে তাদের রাশি চক্রের শক্তি যোগায় পদ্মনিলা পাথর অথবা ইন্দ্র নীলা পাথর। ✤ খুব ভালো রক্ষা কবচ হিসেবে কাজ করে পদ্ম নীলা পাথর, এমেথিস্ট পাথর। এ পাথর ব্যবহারে শত্রু থেকে রক্ষা, খারাপ দৃষ্টি ও হিংসে থেকে বেঁচে থাকে যায়। ✤ জেমস্টোন পদ্মনীলা পাথর (Gemstone Podmo Nila Pathor) ব্যবহারের ফলে মানুষিক শক্তি বৃদ্ধি পায়, দ্বিধা দণ্ড কেটে যায় এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য পাওয়া যায়।
মহান আল্লাহর ইচ্ছায় জ্বরের তিব্রতা কমে আসে
✤ পদ্ম নীলা পাথর সরাসরি সম্পদ বৃদ্ধির সাথে জড়িত। এ পাথর ব্যবহারের ফলে অর্থনৈতিক দিকে এগিয়ে যাওয়া যায় এবং বহুবিধ আয়ের পথ পাওয়া যায়। ফলে সম্মান, প্রতিপ্রত্তি ও সুনাম বেড়ে যায়। ✤ জ্বরে আক্রান্ত কোন ব্যক্তির বুকের উপর যদি পদ্মনীলা পাথর (এমেথিস্ট স্টোন) রাখা যায় তাহলে মহান আল্লাহর ইচ্ছায় জ্বরের তিব্রতা কমে আসে। ✤ যে ব্যক্তি পদ্ম নীলা ধারন করবে তার দারিদ্রতা খুব অল্প সময়ের মধ্যে আল্লাহর ইচ্ছায় বদলে সম্ভাবনায় রুপ নিবে। ✤ আসল এমেথিস্ট পাথর শয়তানের খারপ ইচ্ছা থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। ✤ পদ্মনিলা পাথর ধারনে অবৈধ যৌন সম্পর্কের ইচ্ছা নষ্ট হয়ে যায়।
রত্ন পাথর পরার পূর্বে?
এমিথিস্ট স্টোন রিং পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনারা সব সময় ভাল রত্ন বিশেষজ্ঞ, বিশেষ করে যারা বংশগত ভাবে জহুরী রয়েছেন তাদের সহযোগিতা নিয়ে তাদের পরামর্শ নিয়ে সঠিক ভাবে পদ্মনীলা রত্ন ধারণ করার চেষ্টা করবেন, কারণ তাদের মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুদ্ধ শোধন করে পদ্মনীলা পাথর পড়লে আপনি অবশ্যই দ্রুত ফলাফল ভাল পাবেন। পদ্মনীলা পাথর পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই বাংলাদেশ ও ভারতবর্ষে পুরস্কার প্রাপ্ত রত্ন বিশেষজ্ঞ ও ৪৩ বছরের অভিজ্ঞ বংশগত জহুরী, তান্ত্রিক গুরু ও Astrologer Doyal Delowar Chishti জ্যোতিষ রাজ দয়াল দেলোয়ার চিশতীর সঙ্গে পরামর্শ করুন।
জ্যোতিষরাজ – দয়াল দেলোয়ার চিশতী- স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত
পুরস্কার প্রাপ্ত রত্ন বিশেষজ্ঞ, অভিজ্ঞ বংশগত জহুরী, হস্তরেখাবিদ, গ্রহরত্ন নির্বাচক, জ্যোতিষ শাস্ত্রী, তান্ত্রিক, তন্ত্র শাস্তের উপর বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন।
বাংলাদেশ ও ভারত বর্ষে পুরস্কার প্রাপ্ত দীর্ঘ ৪২ বছরের অভিজ্ঞ রত্ন বিশারদ (রত্ন বিশেষজ্ঞ) বিচক্ষণ এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হস্তরেখাবিদ জ্যোতিষ। খাজা বাবার রুহানি সন্তান দয়াল দেলোয়ার চিশতী (Doyal Delower Chishti), তিনি আজমীর শরীফের খেলাফত প্রাপ্ত খাদেম। রত্ন পাথর সম্পর্কে তার রয়েছে ● বাস্তব অভিজ্ঞাতা ● সনাতন এবং ● আধুনিক অভিজ্ঞতা। আর হতাশা নয় সফলতার জন্য আজই চলে আসুন। রত্ন বিশেষজ্ঞ সাথে অনলাইনে নিরাপদে ব্যক্তিগতভাবে কোন সাক্ষাৎকার ছাড়াই চ্যাট এবং কল করে রত্নপাথর বিষয়ে পরামর্শ নিন