ইসলামে আংটি পরার নিয়ম পাথর পরা কি জায়েজ?
ইসলামে আংটি পরার নিয়ম: ইসলামের দৃষ্টিতে আংটি পাথর মোসল মানেরা অত্যন্ত সম্মানের সাথে “আল হাজর আল আসওয়াদ (কালো পাথর)” চুম্বন করে থাকে। এর এতই শক্তি যে আল্লাহর ইচ্ছায় এটা মানুষের সব পাপ ধুয়ে পরিষ্কার করে দেয়। মানুষ নানা ধরনের রত্ন পাথরের সৌন্দর্য, দ্যুতি এবং মূল্য জন্য তা পাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে থাকে। প্রশ্ন হচ্ছে যে কোন রত্ন পাথর কোন মানুষের জন্য সঠিক? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য আমাদের যাত্রা করতে হবে শিক্ষার পথে। কেও একজন বলেছিলেন যে রত্নপাথর উপকার করেনা, এমনকি কোন অপকারও করেনা। আলি (রাঃ) একথা শোনার সাথে সাথে তা বাতিল করে দিয়ে বলেন যে, যারা বিশ্বাস করবে তাদের জন্য যেমন অনেক উপকারী আর যারা অবিশ্বাসীদের জন্য তেমনি অপকারী। (সুত্রঃIdib)
আরও জানুন: কোন হাতে পাথর পরা ভালো জানতে ভিডিওটি দেখুন
ইসলামে আংটি পরার নিয়ম ও পাথর ব্যবহারের বিধান?
ইসলামের দৃষ্টিতে আংটি ও পাথর মানব জাতির সার্বিক মঙ্গলের জন্য ইসলাম বস্তু জগতের সব রকম কল্যাণ ও অকল্যাণের ব্যাপারে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত প্রদান করেছেন। জ্ঞান রাজ্যের সকল শাখা সম্পর্কে ইসলামের মৌল ও একমাত্র গ্রন্থ আল কুরআন হচ্ছে সুবিসৃত প্রামান্য দলিল। এই আল-কুরআন সমগ্র মানব-জাতির জন্য প্রয়োজনীয় সকল বিষয় সম্পর্কে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে আলোকপাত করেছে। ইসলামের আবির্ভাব কালে হজরত আলী (রাঃ) হজরত ওসমান (রাঃ) সহ তদানীন্তন নেতৃস্থানীয় আরব অভিজাত ব্যক্তিবর্গের হাতে মহামূল্যবান রত্ন-পাথর শোভা পেলেও ইসলাম অজ্ঞাতকারণে রত্ন-পাথর সম্পর্কিত বিষয়টি অত্যন্ত প্রচ্ছন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সঃ) এর হাতে আকীক পাথর শোভা পেলেও আমরা মহামূল্যবান রত্ন-পাথরের ব্যবহার সম্পর্কে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা পাই না । তবে এর অর্থ এই নয় যে, ইসলাম রত্ন-পাথর ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। ইসলাম বস’র দ্রব্যগুণ সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব (Scientific theory) উপস্থাপন করেছে। আরও পড়ুন
ইসলামের দৃষ্টিতে আংটি ও পাথর তাই সৃষ্টির এক অপরূপ প্রকাশ রত্ন-পাথরের দ্রব্যগুন সম্পর্কেও ইসলাম আমাদেরকে অবহিত করেছে। ইসলামের পূণর্জাগরণ কালে (Islamic Renaissance) রত্ন-পাথর সম্পর্কিত বিষয়টি চিন্তাবিদগণের নিকট গবেষণার খোরাক হয়ে দাঁড়ায়। যখন ইসলামের উদার, উজ্জ্বল দীপ্তিতে জ্ঞানের জগতে ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়েছে। তাই এ সময় চিন্তাবিদগণ ধর্ম ও দর্শন চিন্তার পাশাপশি রত্ন-পাথর সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে ভাবতে শুরু করেন। এ সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক, দার্শনিক ও শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা এ লেখার প্রারম্ভে উল্লেখ করা হয়েছে। রত্ন-পাথরের ব্যাপারে পবিত্র কুরআনে উল্লেখ পরোক্ষভাবে আমাদের নিকট এর মাহাত্মা মূর্ত করে তোলে। তাই একটি কুরানিক ব্যাখ্যার উল্লেখ একান্ত- প্রয়োজন।
আরও দেখুন: আমাদের সংগ্রহে রত্নপাথর (Gemstone)
ইসলামের দৃষ্টিতে আংটি ও ইসলামে আংটি পরার নিয়ম?
সূরা আর রহমান এর ১৯ ও ২২ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- “তিনি প্রবাহিত করেন দুই দরিয়া (সমুদ্র) যারা পরস্পর মিলিত হয় — উভয় দরিয়া (সমুদ্র) হতে উৎপন্ন হয় মুক্তা ও প্রবাল। তোমরা আমার কোন দানকে অস্বীকার করবে” ইসলামের দৃষ্টিতে আংটি ও পাথর এরপর কুরআনের অন্যত্র বর্ণিত রয়েছে যে, পৃথিবীতে আল্লাহ্তালা যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তা যে কোন ভাবেই হোক মানুয়ের কল্যাণে আসে। মহান আল্লাহ প্রদত্ত রত্ন-পাথর যেমন-জমরুদ, ইয়াকুত, মুক্তা, হীরা, প্রবাল, পোখরাজ ইত্যাদি আল্লাহ্র দান এগুলোকে কি আমরা প্রত্যাখ্যান করতে পারি?
- ইসলামে আংটি পরার নিয়ম ইসলামে রত্ন-পাথরের ব্যবহার কতটুকু গ্রহণীয় তার প্রমাণ পাই নবী, রসুল এবং বিশিষ্ট সংস্কারক ও পন্ডিত ব্যক্তি বর্গের রত্ন-পাথর ব্যবহারের দ্বারা । ❝ ইসলামের দৃষ্টিতে আংটি ও পাথর যেমন- হজরত আলী (রাঃ) অন্যান্য রত্নের সাথে ইয়াকুত (Ruby) ব্যবহার করতেন।❞
- ❝হজরত আলী (রাঃ) এর মতে যে ইয়াকুত ছিল তার উপর বিশেষ আয়াত লেখা ছিল❞
- ❝মাকারিমূল আখলাক’ এর মধ্যে উল্লেখ আছে যে, হজরত ইমাম মূসা কাজিম (আঃ) এর হাতে যে ফিরোজা (Turquise) রত্ন ছিল তার উপর “আল্লাহ-মালিক” লেখা ছিল❞ আরও জানা যায় হজরত আলী (রাঃ) এবং হজরত ওমর (রাঃ) যখন যুদ্ধে যেতেন তখন এই ফিরোজা রত্ন হাতের বাজুতে অথবা গলায় পরিধান করতেন। কারণ ইহা বিভিন্ন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করতে সক্ষম বলে কথিত আছে
-
অন্ধকারে পথ চলতে আমরা যেমন টর্চলাইট ব্যাবহার করি,
দেহের রোগ নিরাময়ের জন্য ডাক্তারের অছিলা গ্রহণ করি,
তেমনি জীবনের খারাপ সময় মোকাবেলা করতে,
আল্লাহর নেয়ামত মানুষের কল্যাণের জন্য।
আরও পড়ুন: দেহের কোথায় তিল থাকলে কি হয়?
ইসলামের দৃষ্টিতে আংটি ও পাথর ব্যবহারের বিধান?
সৃষ্টির আশ্চর্য ক্ষমতা এবং সেই সৃষ্টির স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস আনয়ন করা , জিনি তার বিভিন্ন সৃষ্টির আশ্চর্য ক্ষমতা দ্বারা মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করেছেন। শুধু মাত্র মানুষের উপকারে জন্য মহান আল্লাহ তার বিভিন্ন সৃষ্টির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্ষমতা দিয়েছেন। তিনি মানব কল্যাণে বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ সৃষ্টি করেছেন তার মধ্যে রত্নপাথর, গ্যাস, পেট্রলিয়াম, ইত্যাদি। এই সকল কিছুই নানা ভাবে মানুষের উপকারে এসে থাকে। আল্লাহ তার পছন্দের মানুষদেরই এলেম দান করেন। রত্ন পাথর আল্লাহ্রই নিয়ামত। যা কিনা আল্লাহতালা পবিত্র কোরআন শরিফের সূরা আর-রহমান এর ২২ নং আয়াতে উল্লখে করেছেন “উভয় দরিয়া হইতে উৎপন্ন হয় মিক্তা ও প্রবাল” এবং ২৩ নং আয়াতে মানুষ ও জীন জাতিকে জিজ্ঞেস করেছেন “সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে।
আরও পড়ুন: রাশি অনুযায়ী আপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
ইসলামের দৃষ্টিতে আংটি ও পাথর ব্যবহারের বিধান?
সূরা আল জাজিয়া এর ১৩ নং আয়াতে বর্ণীত আছে, “আর তিনি তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করিয়াছেন আকাশমণ্ডলী পৃথিবীর সমস্ত কিছু নিজ অনুগ্রহে, চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য ইহাতে তো রহিয়াছে নিদর্শন” এই আয়াত আমাদের সিক্ষা দেয় যে সৃষ্টির সকল জিনিসই মানুষের ব্যবহারের জন্য। সকল কিছুই নির্ভর করে মানুষের প্রজ্ঞার উপর যারা কিনা আল্লাহর আদেশ, নিষেধ এবং নিয়ম কানুন মেনে চলে। আমিরুল মুমেনিন আলি ১৫ প্রকারের রত্নপাথর সম্পর্কে আলোচনা করেছিলেন। ফাতেমি ইমাম ৯ম, আল শাক্স আল ফাজিল, সাহেব আল রাসাইল, ইমাম আহম্মদ আল মাসতুর “Risalah Takwin al M’adin” বইতে প্রায় ৯০০ প্রকারের খনিজের কথা আলোচনা করেছেন। তার মধ্যে কিছু কিছু রত্নপাথর পাওয়া যায় সমদ্রের নিচে, আবার কিছু পাওয়া যায় পাহাড়ে আর কিছু পাওয়া যায় মাটিতে।
মানুষের জীবনে রত্ন পাথরের ভূমিকা বিশাল এবং আংটি পরা পৃথিবীর একটি পুরন ঐতিহ্য। আমরা একজন মুসলিম হিসেবে অসংখ্য বার “হাজরে আসওয়াদ বা কালো পাথর” এর কথা শুনেছি। যখন কোন মুসলিম হজ্ব বা উমরাহ্ পালনের জন্য নিয়ত করে, সে হাজরে আসওয়াদ এর কাছে থেকে তার হজ্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করে যেখানে “হাজরে আসওয়াদ বা কালো” স্থির হয়ে আছে। আলি ইবনে আবি তালিব বলেছেন, “কেয়ামতের দিন মহান আল্লাহর সামনে এই কালো পাথর সাক্ষি দেবে কে কে তাঁকে সম্মানের ও নিষ্ঠার সাথে চুম্বন করেছে”।
Dr.Robert Frost, a Doctor of Medicine, Basle, Switzerland, সাম্প্রতিক সময়ে রত্নপাথরের উপর বৈজ্ঞানিক ভাবে গবেষণা করেছেন এবং দেখার চেষ্টা করেছেন রত্ন পাথরে কি কি নিরাময় ক্ষমতা রয়েছে। তিনি তার ক্লিনিকাল গবেষণায় দেখেছেন যে সঠিক রত্নপাথর ব্যবহারে ব্যাথা কমে যায়, এলারজি প্রকপ কমে যায়, শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যে বন্ধন দৃঢ় হয় এবং পেশীর শক্তি বৃদ্ধি পায়।
পৃথিবীতে নানা ধরণের ধাতু পাওয়া যায় যেমন স্বর্ণ, সাদা স্বর্ণ, প্লাটিনাম, ষ্টীল, রুপা সহ অন্যান্য। কিন্তু স্পষ্ট হাদিস দ্বারা পুরুষের জন্য শুধু মাত্রই রুপা ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যা কিনা “Da’aim al Islam”, Syedna Qazi an Nauman, vol II, Qahera” হাদিস গ্রন্থ সহ অন্যান্য হাদিস শরীফে উল্লেখ রয়েছে। বর্তমান বিজ্ঞান দ্বারাও প্রমাণিত হয়েছে যে স্বর্ণ স্ত্রীলোকের শরীর থেকে বিভিন্ন রোগ জীবাণু গ্রহন করে এবং ঋতু চক্রের সময় রক্ত স্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে যাহা কিনা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ১৪৩০ বছর আগেই বলে গেছেন।
রত্ন পাথরের মধ্যে মানুষের শারীরিক এবং মানুষিক রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা। বেশীরভাগ মানুষ রত্ন পাথর ব্যবহার করা পছন্দ করে, কিন্তু তারা এর ফলাফল সম্পর্কে তেমন অবগত নয়। একই রত্ন পাথর একজনের জন্য উপকারী হলে অন্য জনের জন্য ক্ষতির কারন হতে পারে। মহান আল্লাহ তার জ্ঞান বিজ্ঞানের সকল কিছুই ওহীর মাধ্যমে তার প্রাণের বন্ধু রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর উপর নাজিল করেছেন। আর তা পরবর্তী কালে “Ahl al Bait” দ্বারা নানা ভাবে ব্যাখ্যা হয়েছে।
সহি বুখারি মতে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) একটি সীলমোহর স্বরূপ আংটি ব্যবহার করতেন যাতে ইথিউপিয়ার লাল আকিক পাথর বসানো ছিল। তিনি তার ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলে এই আংটি ব্যবহার করতেন এবং তা তাঁর হাতের তালুর দিকে ঘুরানো থাকতো। একটি সঠিক রত্ন পাথর মানুষের জীবনে পরিবর্তন বয়ে আনতে পারে এবং সঠিক পথের দিকে অবস্থার উন্নতি সাধন করে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বা হাতে আংটি ব্যবহারের নিষেধ করেছেন, এবং তিনি (সাঃ) পরিষ্কার ভাবে নিষেধ করেছেন মদ্ধমা(মাঝের) আঙ্গুলেও কোন আংটি না পরার জন্য। “Tradition transmitted from Ali Ibn Abi Talib” এ উল্লেখিত, পীর দরবেশদের পরামর্শ অনুযায়ী কখনই অন্যর ব্যবহার করা আংটিতে পাথর লাগিয়ে ব্যবহার করা উচিৎ নয়।
“Da’aim al Islam” এর বিজ্ঞ লেখক “সাইয়েদেনা কাজী আন নুমান” উল্লখে করেছেন যে, সেই ঘটনার পরে সেই মুসলিম নবী করিম (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করিলেন আমার কি কোন আংটি পরাই উচিৎ নয়? নবী করিম (সাঃ) নির্দেশ দিলেন “তুমি শুধু মাত্রই রুপা দিয়ে আংটি ব্যবহার করতে পারবে এবং তার নির্দিষ্ট ওজনের অতিরিক্ত নয়”। (সুত্রঃ Da’aim al Islam”, Syedna Qazi an Nauman, vol. II, Qahera; also quoted by Tirmizi, Abu Dawood & Nisai)
আবি আব্দুল্লাহ ইমাম জাফার আসাদ্দিক বলেছেন, “রাসুলুল্লাহ (সাঃ) হাতের প্রথম আঙ্গুলে আংটি পরিধান করতেন এবং মধ্যের আঙ্গুলে আংটি পরিধান করতে নিষেধ করেছেন। আঙ্গুলের শেষ সীমানায় আংটি পরা উচিৎ যা ফলে আংটি হাতের তালুর কাছা কাছি থাকে”। এর মানে হচ্ছে যদি রত্নপাথর সহ কোন আংটি কনিষ্ঠ আঙ্গুলে পরা হয় তাহলে এটা অবস্থার পরিবর্তনে সাহায্য করে। কনিষ্ঠ আঙ্গুল সরাসরি হৃদয়ের সাথে সংযোগ রাখে, এবং আংটিতে রত্ন পাথর এমন ভাবে বসানো উচিৎ যাতে করে রত্ন পাথরের নিচের অংশ সরাসরি শরীরে সাথে লেগে থাকে। যার ফলে সূর্য সহ বিভিন্ন গ্রহের রশ্মি ঐ রত্নপাথরের উপর পরলে সেটার প্রভাব এবং শক্তি নিয়ে শরীরে প্রবেশ করাতে সাহায্য করে।
রত্নপাথরের প্রভাব এবং উপকারের জন্য নুন্নতম তিন ক্যারেট ওজনের রত্ন পাথর পরার জন্য বলা হয়েছে। রত্নপাথরের মূল্য শুধু মাত্রই সেই ব্যক্তিরা বুঝবে যারা এর উপকার এবং ক্ষতির দিক সম্পর্কে অবগত। রত্নপাথর বিচার করা, ব্যবহার করা এবং সংরক্ষণ করা খুব সহজ নয়। সবসময় খালি চোখে দেখেই আসল রত্ন পাথর চেনা যায়না। সে কারনে মাঝে মাঝে পরীক্ষা যন্ত্রের সাহায্য নিয়ে পাথরের কোন প্রকারের ক্ষতি না করে পাথর সম্পর্কে সঠিক তথ্য বের করা হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে আংটি ও পাথর।
Syedi Hasan Fir as Shahid বলেন; “রত্ন পাথরের দ্বারা আশ্চর্য ক্ষমতা অর্জন করা সম্ভর যদি সেটা সঠিক ভাবে তৈরি করা হয়। প্রতিটা রত্নপাথর মালায়েক এর নির্দেশে কাজ করে থাকে, যে কিনা আল্লাহর ইচ্ছায় সকল প্রকার রত্ন পাথরের মধ্যে ক্ষমতা দান করেন। (সুত্রঃ Khawas ul Jawahir”, a manuscript written under instruction of the Ismaili Musta’alavi Wali al Hind, Syedi Hasan Fir, d.1392 [A.D] Denmal, Gujrat, India)
উল্লেখিত সকল প্রকার উপকার নির্ভর করে মহান আল্লাহর ইচ্ছার উপর। তাই আল্লাহর নিয়ামত ভেবে শুধুমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করে রত্ন পাথর ব্যবহার করা উপকারী।শুভ হোক আপনার ভাগ্য। পাথর পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনারা সব সময় ভাল রত্ন বিশেষজ্ঞ, বিশেষ করে যারা বংশগত ভাবে জহুরী রয়েছেন তাদের সহযোগিতা নিয়ে তাদের পরামর্শ নিয়ে সঠিক ভাবে রত্ন ধারণ করার চেষ্টা করবেন, কারণ তাদের মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুদ্ধ শোধন করে পাথর পড়লে আপনি অবশ্যই দ্রুত ফলাফল ভাল পাবেন। পাথর পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই বাংলাদেশ ও ভারতবর্ষে পুরস্কার প্রাপ্ত রত্ন বিশেষজ্ঞ ও ৪৩ বছরের অভিজ্ঞ বংশগত জহুরী, তান্ত্রিক গুরু ও Astrologer Doyal Delowar Chishti জ্যোতিষ রাজ দয়াল দেলোয়ার চিশতীর সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আমাদের সংগ্রহের থাকা বিভিন্ন কোয়ালিটির প্রাকৃতিক আসল খাঁটি অরিজিনাল পাথর ক্রয় করতে চাইলে আমাদের অফিসে যোগাযোগ করুন। সকলের মঙ্গল কামনা করে এখানেই শেষ করছি। |
জ্যোতিষরাজ – দয়াল দেলোয়ার চিশতী- স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত
পুরস্কার প্রাপ্ত রত্ন বিশেষজ্ঞ, অভিজ্ঞ বংশগত জহুরী, হস্তরেখাবিদ, গ্রহরত্ন নির্বাচক, জ্যোতিষ শাস্ত্রী, তান্ত্রিক, তন্ত্র শাস্তের উপর বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন।
বাংলাদেশ ও ভারত বর্ষে পুরস্কার প্রাপ্ত দীর্ঘ ৪২ বছরের অভিজ্ঞ রত্ন বিশারদ (রত্ন বিশেষজ্ঞ) বিচক্ষণ এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হস্তরেখাবিদ জ্যোতিষ। খাজা বাবার রুহানি সন্তান দয়াল দেলোয়ার চিশতী (Doyal Delower Chishti), তিনি আজমীর শরীফের খেলাফত প্রাপ্ত খাদেম। রত্ন পাথর সম্পর্কে তার রয়েছে ● বাস্তব অভিজ্ঞাতা ● সনাতন এবং ● আধুনিক অভিজ্ঞতা। আর হতাশা নয় সফলতার জন্য আজই চলে আসুন। রত্ন বিশেষজ্ঞ সাথে অনলাইনে নিরাপদে ব্যক্তিগতভাবে কোন সাক্ষাৎকার ছাড়াই চ্যাট এবং কল করে রত্নপাথর বিষয়ে পরামর্শ নিন: ☎ imo / Whatsapp: +8801711192111
☎ imo / Whatsapp: +8801845750651
☎ imo / Whatsapp: +8801868353055।
ভাই অরিজিনাল নীলা পাথর পাওয়া যাবে কী এবং দাম কেমন হবে.?
আর ফীরুজা পাথর পাওয়া যাবে কী জানাবেন।
সব ধরনের নীলা পাথর পাবেন, আমাদের সাইটে দেখুন অথবা অফিসে কল করুন। https://tajmahalgemsworld.com/product-category/blue-sapphire-gemstone/