রক্ত প্রবাল পাথর কোন আঙুলে পরে (Which Finger For RedCoral ‍Stone)

প্রবাল পাথর কোন আঙুলে পরে – প্রায় সময়ই আমাদেরকে ফোন করে অনেক কাস্টমার বা আমাদের ক্লায়েন্ট আমাদের কাছ থেকে জানতে চান, রক্ত প্রবাল রত্ন পাথরটি সঠিক ভাবে কোন আঙুলে ধারণ করলে সঠিক ভাবে সুফল পাওয়া যাবে। এবং গ্রহ দশা অনুযায়ী ‘মঙ্গল গ্রহের’ (Mars Planet) গ্রহের অশুভ প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার জন্য রক্ত প্রবাল রত্ন পাথর (Red Coral Stone) ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে আমাদের কাছে অনেকেই প্রশ্ন করেন যে কোন আঙুলটিতে রত্ন ধারণ করলে সুফল পাওয়া যাবে। এ বিষয়টিতে আলোচনা করার পূর্বে আপনাদেরকে একটি বিষয় জানিয়ে দিতে চাই। যে কোন রত্ন পাথর ধারন করার পূর্বে আপনারা সব সময় ভাল রত্ন বিশেষজ্ঞ, বিশেষ করে যারা বংশগত ভাবে সাজেশন দিয়ে আসছেন। বংশগত জহুরী রয়েছেন তাদের সহযোগিতা নিয়ে তাদের পরামর্শ নিয়ে

তার পরে সঠিক ভাবে রত্ন ধারণ করার চেষ্টা করবেন, কারণ তাদের মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাথর পড়লে আপনি অবশ্যই দ্রুত ফলাফল ভাল পাবেন। ফলে কেতু গ্রহ দুর্বল থাকলে তার নেগেটিভ এনার্জি ওই ব্যক্তির ক্ষতি করতে পারবে না। তবে মকর রাশি হলে এই রত্ন ধারণ করতে হয়। মঙ্গল গ্রহের অশুভ প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার জন্য ভালো মুঙ্গা পাথর (Moonga Stone) ধারণ করা প্রয়োজন। লাল পলা (Red Pola Stone) প্রবাল রত্নটি লাল রক্তবর্ণ, ষাঁড়ের রক্তের মতো, কমলা গৈরিক এবং সাদা বর্ণের হতে পারে। গাঢ় লালবর্ণ যুক্ত প্রবাল বিশেষ ফলপ্রদান করে থাকে। সর্ব প্রথমে সঠিক ক্যাটস আই কেনা দরকার যা আপনাদের উপকারে আসবে। একটি প্রসিদ্ধ দোকান থেকে উচ্চ মানের ক্যাটস আই ক্রয় করবেন। তবে রত্ন পাথর (Natural Gemstone) ভিবিন্ন রকমের মধ্যে পাওয়া যায়।

জাপানী রক্ত প্রবাল পাথর (Japanese Red Coral Gemstone), ইটালিয়ান রক্ত প্রবাল স্টোন (italy Red Coral Gemstone), ইন্ডিয়ান মুঙ্গা পাথর (Indian Moonga Stone) কেনা অত্যন্ত দরকারী। রক্ত প্রবাল পাথর প্রকৃতি বা শ্রেণীর উপর নির্ভর করছে যে রক্ত প্রবাল পাথর আপনাদের জন্য কতটা কার্যকরী হবে। তাই রত্ন বিশেষজ্ঞ মাধ্যমে আমাদের সঠিক পাথর নির্বাচন করা খুবই প্রয়োজনী।

জেনে নিন কোন আঙুলে রক্ত প্রবাল পাথর ব্যবহারের নিয়ম! (In which finger Red Coral Stone should wear?)

Which Finger For RedCoral Stone প্রবাল পাথর পাথর ধারণ করার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের / জ্যোতিষবিদের সঙ্গে পরামর্শ করুন। রত্ন ধারণে কোনও ভুল হলে হিতে বিপরীতও হতে পারে ৷ এইবার তাহলে আমরা শরীরে রক্ত প্রবাল পাথর ধারণ করার পদ্ধতিগুলো জেনে নিন- Which Finger To Wear Red Coral Stone. How to wear a Moonga Gemstone?

• লাল প্রবাল রিং ফিঙ্গারে পরতে হবে। রিং আঙ্গুল সূর্যের শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। ৯টি গ্রহের রাজা যা মানুষের ভাগ্যকে প্রভাবিত করে এবং সূর্য মঙ্গলের বন্ধু। 
• জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে রক্ত প্রবাল পাথর আপনার কাজের হাতের অনামিকা আঙ্গুলে পরা উচিত। (the ring finger of the right hand) রত্ন পাথরটি আস্তে আস্তে আপনার আঙ্গুলকে স্পর্শ করে রত্ন পাথরের উপর সর্বোত্তম ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে।
• জাপানী রক্ত প্রবাল পাথর (Japanese Red Coral Gemstone), ইটালিয়ান রক্ত প্রবাল স্টোন (italy Red Coral Gemstone), ইন্ডিয়ান মুঙ্গা পাথর (Indian Moonga Stone) পরার সর্বোত্তম অবস্থান হল অনামিকা আঙুল (রিং ফিঙ্গারে)।
• কিছু ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে বিশেষ করে ইন্ডিয়ান মুঙ্গা পাথর নিরাময়ে অন্য আঙুলেও পরা যেতে পারে। পরামর্শ করে নিলে আপনার জন্য সবচাইতে উপকারী হবে।

রক্ত প্রবাল পাথর পরার নিয়ম!

• • Which Finger For RedCoral ‍Stone আপনি যেকোন হাতের অনামিকা আঙ্গুলে লাল পলা (Red Pola Stone) পাথর ধারন করতে পারবেন, তবে ডান হাতে যেহেতু আপনার কর্ম হাত সেই হাতে পাথর ধারণ করলে সব চাইতে ভাল হয়। Rakta Prabal Gemstone Which Finger To Wear

  • যদি রক্ত প্রবাল পাথর আপনার জন্য যথার্থ হয় তাহলে খেয়াল রাখতে হবে যে রক্ত প্রবাল পাথরটি যেন আমাদের শরীরের সঙ্গে লেগে থাকে। যদি রক্ত প্রবাল পাথরটি আলগা ভাবে পরা হয় তাহলে কিন্তু কোনো লাভই হবে না। কোনো ভাবেই উপকৃত হবেন না। তাই সব সময় খেয়াল রাখতে হবে যে রক্ত প্রবাল পাথরটি যেন আমাদের গায়ের সঙ্গে লেগে থাকে না হলে রক্ত প্রবাল সুফল থেকে আমরা কিন্তু বঞ্চিত হব। Which Finger Should I wear Red Pola Stone.

  • অনেককেই দেখা যায় রক্ত প্রবাল পাথর মধ্যমাতে ধারণ করেন এক্ষেত্রে কিন্তু আপনি ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। কখনোই অনামিকা আঙ্গুল ছাড়া অন্য কোন আঙুলে রক্ত প্রবাল পাথর ধারণ করবেন না, তবে আলোচনার সাপেক্ষে অন্য আঙুলে ধারণ করতে পারেন। Which is the correct hand and finger for wearing a CProbal ring. Which Finger For Moonga Stone

রক্ত প্রবাল পাথর সর্ম্পকে আরো জানুন?

প্রবাল হল সমুদ্রগর্ভ জাত এক প্রকার উদ্ভিদ। উষ্ণ সমুদ্রে বসবাসকারী প্রায় উদ্ভিদ জাতীয় প্রবাল নামক প্রাণীর কঙ্কাল থেকে রত্নটির উৎপত্তি। এর থেকে উৎপত্তি হওয়া রস প্রবালকে হিন্দিতে মুংগা, ফারসী ও আরবীতে মারজান, সংস্কৃতে বিদ্রুম ভৌমরত্ন, অঙ্গারক মণি, রক্তাংগ, রক্তকন্দ, অম্বুধিবল্লভ ইত্যাদি বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়। লাল প্রবাল নানা আকার ও নানা মাপের হয়ে থাকে। যার যেমন প্রয়োজন সেই অনুযায়ী, রক্ত ধারনের পরামর্শ দেন জ্যোতিষীরা। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, লাল প্রবাল নিয়ন্ত্রণ করে মঙ্গল গ্রহকে। এই গ্রহ সুস্বস্থ্য, সাফল্য, আত্মবিশ্বাস, সাহস, মনোঃসংযোগের প্রতীক রূপে চিহ্নিত। তাই মঙ্গল দুর্বল হলে এই সমস্ত সমস্যাগুলি দেখা দিতে পারে। আর এই সমস্যা এড়ানোর জন্যই লাল প্রবাল বা পলা ধারণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন জ্যোতিষীরা। রত্নটি ভূমধ্যসাগরে, লোহিত সাগরে, স্পেন, মরিশাস, মালায়েশিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ইটালির নেপলস অঞ্চলে পাওয়া যায়।

উল্লেখিত সকল প্রকার উপকার নির্ভর করে মহান আল্লাহর ইচ্ছার উপর। তাই আল্লাহর নিয়ামত ভেবে শুধুমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করে রত্নপাথর ব্যবহার করা উপকারী। শুভ হোক আপনার ভাগ্য। প্রবাল পাথরের অপকারিতা থেকে রক্ষা পেতে অবশ্যই এই নিয়মে পাথর ধারন করার জন্য চেষ্টা করবে আপনারা। বাংলাদেশ ও ভারত বর্ষে পুরস্কার প্রাপ্ত রত্ন বিশেষজ্ঞ ও দীর্ঘ ৪১ বছর অভিজ্ঞ বংশগত জহুরী, ও জ্যোতিষরাজ দয়াল দেলোয়ার চিশতী, তার তন্ত্র শাস্তের উপর বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে।। রত্ন বিশেষজ্ঞ সাথে অনলাইনে নিরাপদে ব্যক্তিগতভাবে কোন সাক্ষাৎকার ছাড়াই চ্যাট এবং কল করে রত্নপাথর বিষয়ে পরামর্শ নিন:
☎ imo / Whatsapp: +8801711192111 ☎ imo / Whatsapp: +8801845750651
☎ imo / Whatsapp: +8801868353055