নীলা পাথরের উপকার যেমন আছে তেমনি পাথরের অপকারিতাও আছে। নীলা পাথরের অপকারিতা
নীলা রত্ন পাথরের অপকারিতা – নীলা পাথর হল নবরত্নের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি রত্নপাথর। এই পাথর ধারণ করলে উপকার ও অপকার দুইই হতে পারে। নীলা যাঁদের জন্য উপযোগী, এই রত্নপাথর তাদের রাজা বানিয়ে দিতে পারে। কিন্তু নীলা উপযোগী না হলে জীবন ছারখার হয়ে যায়। নীলা পাথরের অপকারিতা এবং রাশি চক্রে শনির কুদৃষ্টি, ক্ষারাপ প্রভাব, বা অশুভ প্রবাভ হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য ও শনির অশুভ প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার জন্য নীলা পাথর ধারণ করা জন্য বলা হয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভুল সিদ্ধান্ত নিলে ব্লু-স্যাফায়ার – নীলা এর অপকারিতা কিন্তু আপনাকে ক্ষতির সম্মুখীন করতে পারে।
শনির সূর্য, চন্দ্র, মঙ্গলের সঙ্গে যুতি অথবা দৃষ্টি সম্পর্ক থাকলে ব্যক্তিকে (Blue Sapphire Stone) নীলা রত্ন পাথর ধারণ করা উচিত নয়। দোষপূর্ণ পরিস্থিতিতে নীলা পাথর ধারণ করলে কিন্তু ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় জাতক/জাতিকাকে। রত্নশাস্ত্র বিশেষজ্ঞ অনুযায়ী নীলা ধারণ করার সঠিক সময়ে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। কোন পরিস্থিতিতে আসল নীলা পাথর ধারণ করা উচিত বা উচিত নয়, জেনে নিন — সিংহ লগ্ন এই লগ্নে শনি সপ্তমেশ ও ষষ্ঠেশ হয়ে অকারক স্থানের অধিপতি। তাই এই লগ্নের জাতকদের নীলা ধারণ না-করাই ভালো।
আরও পড়ুন: ইন্দ্র নীলা পাথরের উপকারিতা Benefits Of Blue Sapphire (Indro Nila Pathor) |
কোন রাশির জন্য নীলা ক্ষতিকর? নীলা রত্ন পাথরের অপকারিতা?
কর্কট রাশি (২২ জুন থেকে ২২ জুলাই), কন্যা রাশি (২৪ আগস্ট থেকে ২৩শে সেপ্টেম্বর), মকর রাশি (২১ ডিসেম্বর থেকে ২০ জানুয়ারি), কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি) এই রাশির জাতকরা যে পাথর ধারণ করলে শুভ ফল পাবেন তা হল নীলা পাথর। তবে এক্ষেত্রে অন্য রাশির জাতক-জাতিকারা যারা আছেন তারা নীলা ধারণ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই পাথর পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের / জ্যোতিষবিদের সঙ্গে পরামর্শ করুন। তা না হলে আপনাদের জন্য নীলা অপকার করতে পারে। Side Effects of Blue Sapphire
মাস অনুযায়ী নীলা পড়া কি ঠিক?
যাদের জন্ম সেপ্টেম্বর মাসে বিশেষ করে তাদের জন্য বার্থ স্টোন হচ্ছে নীলা রত্ন পাথর। এমন পরামর্শে নিলা পাথর ব্যবহার করা উচিত না। যদি নীলা পাথর পড়েন ব্লু-স্যাফায়ার স্টোন এর উপকারের চাইতে নীলা পাথরের অপকারিতা বেশি থাকে।
রত্নপাথরের ভিডিও দেখুন:— Tajmahal Gems World |
আজকের রাশিফল জানুন:— Doyal Delowar Chishti |
নীলা পাথর কোন আঙুলে পরবেন। নীলা রত্ন পাথরের অপকারিতা?
আংটি করে ডান হাতের মধ্যমা আঙ্গুলে নিলা পাথর ধারন করলে প্রচুর উপকার পাওয়া যায়। অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর বা রত্ন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে বাম হাতের মধ্যমা আঙ্গুলে নিলা পাথর ধারন করতে পারেন। কিন্তু অন্য আঙ্গুলে পরার্মশ ছাড়া পড়লে অবশ্যই অপকার হতে পারে। অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ ছাড়া কোনো নীলাই ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ নীলা ব্যবহারে উপকার যতোটুকু, তার থেকে বেশি ক্ষতিকর। (Neelam Stone) নীলা পাথরের অপকারিতা থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে অবশ্যই ভালো মানের নীলা পাথর ধারন করতে হবে এবং সিংহলি নীলা যেমন (রক্তমুখী নীলা, ইন্দ্র নীলা , স্টার নীলা, পদ্ম নীলা, অপরাজিতা নীলা পাথর ইত্যাদি নীলা সবচাইতে ভালো ব্লু-স্যাফায়ার রত্ন পাথর। না বুঝে অন্য কোন দেশের নিলা পাথর ধারন করা টাও কিন্তু অপকারিতার দিকে প্রভাব বিস্তার করে। Side Effects of Blue Sapphire
আমাদের সংগ্রহে রুবী পাথরের দাম সহ দেখুন ☛ Gemstones Collection |
নিলার সঠিক কালার নির্বাচন করুন?
নিলা পাথর ব্যবহারের জন্য সঠিক কালার নির্বাচন করুন সঠিক কালার না হলে অপকার হতে পারে। সঠিক কালার মানে নীলা পাথরের অসংখ্য কালার হয়ে থাকে তাই আপনার গ্রহ দশা অনুযায়ী আপনার জন্য যে কালারটি শুভ হবে। এই কালারটি আপনাকে নির্বাচন করে সঠিকভাবে ধারণ করতে হবে। নীলা পাথরের যে কালার গুলো আপনার জন্য অশুভ সেই রং এর পাথর গুলো কখনোই ধারণ করবেন। এই সঠিক পরামর্শটি আপনি একজন অভিজ্ঞ বংশ জহুরি কাছ থেকেই পাবেন। খাঁটি নীলা রত্ন পাথরের অপকারিতা থেকে বাঁচার জন্য সঠিক নিয়মে কোন আঙুলে ধারণ করতে হয় এই বিষয়টি বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করবেন সবসময়। নীলা পাথর ব্যবহারের সঠিক নিয়ম বা রত্ন পাথর পরার নিয়ম জানা না থাকলে কখনোই নীলা পাথর ধারন করবেন না, এক্ষেত্রে অপকারিতা প্রভাব বিস্তার করতে পারে জীবনে তাই ভালো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ধারণ করুন।
আপনার জন্য কত ক্যারেট সঠিক? কোন দেশেরটি ভাল?
শনির দশার গ্রাস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নীলা ধারণ করা হয়ে থাকে, গ্রহ দশা অনুযায়ী আপনার কত ওজনের নিলা পাথর ধারন করা উচিত ও আপনার জন্য শুভ হবে? সেই বিষয়টি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সঠিকভাবে জেনে তা ধারন করবেন। তা না হলে নীলা পাথরের ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে, পারিবারিক জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলতে পারে। তখন হতাশ হয়ে পড়তে পারেন। এই রত্ন – পাথরটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। তবে কাষ্মীরের নীলা ও শ্রীলংকান নীলা পাথর জগৎবিখ্যাত।
নীলা আংটি কি ভাবে বনাবেন?
যদি নীলা পাথর আপনার জন্য যথার্থ হয়, তাহলে খেয়াল রাখতে হবে যে নীলাটি যেন আমাদের শরীরের সঙ্গে লেগে থাকে। যদি নীলাটি আলগা ভাবে বসানো হয় তাহলে কিন্তু কোনো লাভই হবে না। কোনোভাবেই উপকৃত হবেন না। তাই সব সময় খেয়াল রাখতে হবে যে নীলাটি যেন আমাদের গায়ের সঙ্গে লেগে থাকে না হলে নীলার সুফল থেকে আমরা কিন্তু বঞ্চিত হব এবং নীলা পড়ার কোনো লাভই হবে না। নীলা ধারন করার পর পরই নীলার গুণ অনুভব করতে পারবেন। কারন নীলা অত্যন্ত কার্যকরী এবং শক্তিশালী একটি গ্রহরত্ন। ৪ বছরের কম বেশি সময় নীলা কাজ দিয়ে থাকে তাই জ্যোতিষীর পরামর্শ নিয়ে তার কিছুদিন আগে বা পরে নীলাটি পাল্টে ফেলা অতন্ত জরুরি।
নকল নীলা পাথরের অপকারিতা?
বলা হয় নীলা আমাদের ভাগ্যে রাজযোগ নিয়ে আসে। আমাদের জীবনে রাজযোগ এলে আমরা আমাদের ভবিষ্যত বুঝে উঠতে পারবো এবং ভবিষ্যতের কিছু সঠিক নির্ণয়ও নিতে পারবো। জ্যোতিষীর থেকে পরামর্শ নিয়ে তারপরই নীলা পড়া উচিত না হলে নীলা কিন্তু খুবই সাংঘাতিক একটি গ্রহরত্ন। যদি ভুল লোক বা ভুল পদ্ধতিতে নীলা গ্রহণ করেন, তাহলে নীলা কিন্তু সাংঘাতিক ভাবে ক্ষতি এনে দিতে পারে আপনার জীবনে। আসল নীলা রত্ন পাথর ক্রয় করে ধারণ করার চেষ্টা করবেন, নকল নীলা পাথর ধারণ করলে তার অপকারিতা কিন্তু আপনার উপর খারাপ প্রভাব বিস্তার করবে। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে নিলা পাথরের উপকারিতা জেনে সব সময় ধারন করার চেষ্টা করবেন। আসল নীলা যদি সঠিক নিয়মে ধারণ করতে না পারেন তাহলেও কিন্তু আপনার ওপরে নীলা পাথরের অপকারিতা প্রভাব গ্রাস করতে পারে।
নকল নীলা হাতে পড়ে নিজের ক্ষতী করছেন নাতো?
বলা হয় নীলা আমাদের ভাগ্যে রাজযোগ নিয়ে আসে। নীলা কিন্তু খুবই সাংঘাতিক একটি গ্রহরত্ন। অনেকে আবার নকল নীলা ধারণ করেন, ফলে দীর্ঘদিন নীলা ধারণ করেও কোনো উপকার পান না। যদি ভুল লোক বা ভুল পদ্ধতিতে নীলা ধারন করেন, তাহলে নীলা কিন্তু সাংঘাতিক ভাবে ক্ষতি এনে দিতে পারে আপনার জীবনে। আসল নীলা রত্ন পাথর ক্রয় করে ধারণ করার চেষ্টা করবেন, নকল নীলা পাথর ধারণ করলে তার অপকারিতা কিন্তু আপনার উপর খারাপ প্রভাব ফেলবে জীবনে নানা রকম সমস্যার জর্জরিত হতে পারেন। তাই নীলা পাথর পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই অভিজ্ঞ একজন রত্ন বিশেষজ্ঞের অথবা তান্ত্রিক জ্যোতিষবিদের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
সঠিক ভাবে রত্ন শোধন না হলে?
এখন প্রশ্ন হল সঠিকভাবে রত্ন শোধন কী ভাবে করা যায়? নীলা রত্ন পাথর পড়ার পূর্বে প্রতিটি পাথরই বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে শোধন করে ধারন করতে হবে, তাহলে নীলা পাথরের অপকারিতা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। নিলা পাথর শোধন করার নিয়ম যেকোন পাথরই শোধন ব্যতীত ধারনে সুফল নাও পেতে পারেন। রত্ন পাথর শোধনের পর শুভ সময়ে ধারন করতে হয় এতে অপকারিতা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রয়কৃত রত্ন পাথর আমরা বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে শোধন করে দিয়ে থাকি। আমাদের, বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে শোধন করা রত্ন পাথর ধারণ করার পর দ্রুত ফল প্রদান করতে সক্ষম। আয়ুর্বেদাচার্য বাগভট্ট রত্নের স্বভাবজ ও অস্বভাবজ দোষ বার করে অস্বভাবজ দোষগুলো নষ্ট করার জন্য বিশেষ বিশেষ দ্রব্যের মাধ্যমে রত্ন শোধনের উল্লেখ করেছেন। উল্লেখিত সকল প্রকার উপকার নির্ভর করে মহান আল্লাহর ইচ্ছার উপর। তাই আল্লাহর নিয়ামত ভেবে শুধুমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করে রত্নপাথর ব্যবহার করা উপকারী। শুভ হোক আপনার ভাগ্য।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
জ্যোতিষরাজ – দয়াল দেলোয়ার চিশতী- স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত
পুরস্কার প্রাপ্ত রত্ন বিশেষজ্ঞ, অভিজ্ঞ বংশগত জহুরী, হস্তরেখাবিদ, গ্রহরত্ন নির্বাচক, জ্যোতিষ শাস্ত্রী, তান্ত্রিক, তন্ত্র শাস্তের উপর বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে।
__________________
বাংলাদেশ ও ভারত বর্ষে পুরস্কার প্রাপ্ত দীর্ঘ ৪২ বছরের অভিজ্ঞ রত্ন বিশারদ (রত্ন বিশেষজ্ঞ) বিচক্ষণ এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হস্তরেখাবিদ জ্যোতিষ। খাজা বাবার রুহানি সন্তান দয়াল দেলোয়ার চিশতী, তিনি আজমীর শরীফের খেলাফত প্রাপ্ত খাদেম। রত্ন পাথর সম্পর্কে তার রয়েছে ● বাস্তব অভিজ্ঞাতা ● সনাতন এবং ● আধুনিক অভিজ্ঞতা। আর হতাশা নয় সফলতার জন্য আজই চলে আসুন। রত্ন বিশেষজ্ঞ সাথে অনলাইনে নিরাপদে ব্যক্তিগতভাবে কোন সাক্ষাৎকার ছাড়াই চ্যাট এবং কল করে রত্নপাথর বিষয়ে পরামর্শ নিন:
অগ্রিম বুকিং করুন: | বিশেষজ্ঞের পরামর্শ পেতে: | পাথরের দাম জানতে: |
☎ +8801711 192 111 | ☎ +8801845 750 651 | ☎ +8801868 353 055 |
রত্নপাথরের কালেকশন দেখতে আমাদের শোরুমে আসার অনুরোধ রইলো
রত্ন পাথরের দোকান?: (Gemstone Shop in Dhaka)
ট্রপিক্যাল আলাউদ্দিন টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্স, দোকান নং ৫২৬ – ৫২৭, (লিফটের ৪র্থ তলা), রাজলক্ষ্মী মার্কেট বিপরীতে, রোড – ০২, সেক্টর – ০৩, উত্তরা – ১২৩০, ঢাকা, বাংলাদেশ।
ঢাকা অফিসঃ সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা।
— সাপ্তাহিক বন্ধ বুধবার