মুনস্টোন শোধন করার নিয়ম (Rules For Refining Moonstone)

মুনস্টোন শোধন করার নিয়ম: মুন স্টোন ধারণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়মাবলী রয়েছে৷ আয়ুর্বেদাচার্য রত্নের স্বভাবজ ও অস্বভাবজ দোষ বার করে অস্বভাবজ দোষগুলো নষ্ট করার জন্য বিশেষ বিশেষ দ্রব্যের মাধ্যমে রত্ন পাথর শোধনের উল্লেখ করেছেন। জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে সঠিক নিয়মে গ্রহ – নক্ষত্র মেনে মুনস্টোন রত্ন পাথর ধারণ করলে উপযোগী ফলাফল মেলে ও ভাগ্য প্রসন্ন হতে পারে৷ আসল মুনস্টোন রত্ন পাথর ধারণে কোনও ভুল হলে হিতে বিপরীতও হতে পারে৷ খাঁটি মুনস্টোন রত্ন শোধন করার বিষয়টি নিয়ে অনেকের মধ্যে বিভিন্ন রকম কৌতুহল থাকে। এখন প্রশ্ন হল সঠিকভাবে রত্ন পাথর শোধন কী ভাবে করা যায়। 

মুনস্টোন পাথর নির্বাচনে জ্যোতিষশাস্ত্র কি বলছে? 

কৃত্রিম রত্ন পাথরের তৈরির প্রচেষ্টাটি প্রচীনকালেও ছিল। (What Astrology Says About Moonstone Stone Selection) প্রাচীন মিশরীয় এবং রোমানদের তৈরি বিভিন্ন রকম নমুনা জাদুঘরে দেখা যায়। তবে সেগুলি গুণগত মানে ও রূপে অক্ষম। কৃত্রিমভাবে তৈরি রত্ন – পাথরকে কয়েকটি সম্পূর্ণ আলাদা দলে বিভক্ত কর যায়। যেমন – (১) ইমিটেশন অর্থাৎ নকল মুনস্টোন রত্ন পাথর। (২) সিনথেটিক অর্থাৎ সংশ্লেষিত মুনস্টোন রত্ন এবং (৩) কৃত্রিম ভাবে তৈরি ডাবলেট মুনস্টোন রত্নপাথর। (১) ইমিটেশন বা নকল মুনস্টোন রত্ন প্রাকৃতিক রত্নের অনুকরণেই করা হয়। আসল মুনস্টোন রত্ন ক্রয় করে ধারণ করার চেষ্টা করবেন, নকল মুনস্টোন পাথর ধারণ করলে তার অপকারিতা, বা অশুভ প্রবাব কিন্তু আপনার উপর খারাপ প্রভাব ফেলবে জীবনে নানা রকম সমস্যার জর্জরিত হতে পারেন। তাই মুনস্টোন পাথর ধারন করার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই অভিজ্ঞ একজন রত্ন বিশেষজ্ঞের অথবা তান্ত্রিক জ্যোতিষবিদের পরামর্শ গ্রহন করুন।

আরও পড়ুন: মুনস্টোন পাথরের দাম কত জানতে ভিডিওটি দেখুন

বিশ্বের সর্বত্রই মুনস্টোন পাওয়া যায়। তবে প্রাচীন ইতিহাসে এই পাথরের গুরুত্ব প্রচুর। মনের মানুষকে কাছে পাওয়ার জন্য অনেকে মুনস্টোন পরেন। এই পাথরকে অনেকেই ভালবাসা ও সুরক্ষার পাথর হিসেবেও ব্যবহার করেন। মুনস্টোন পরার কতগুলি নিয়ম রয়েছে।  (How many rules are there for wearing moonstone?) জেনে নিন রত্ন নির্বাচনের ক্ষেত্রে জ্যোতিষশাস্ত্র ঠিক কী কথা বলছে: 

• মুনস্টোন রত্ন পাথর শুদ্ধ শোধন করে, আপনার নামের উপর কিছু ইসমে আজম দোয়া পাঠ করে, পাথর ব্যবহার করার জন্য ধারন করতে হবে।
  
• মুনস্টোন রত্ন পাথর শোধন করার জন্য ২১ টি গাছের শিকড়ের রস এর প্রয়োজন হয় যা আফ্রিকা থেকে আসে আরো অনেক গাছের শিকড় এবং কিছু উপাদান রয়েছে যা রত্ন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে আপনার জেনে নিতে হবে।
• মুনস্টোন রত্ন পাথর আংটি বাঁধাইকৃত ধাতুর শুদ্বতা অবশ্যই জানা থাকতে হবে অন্যথায় রত্ন পাথর সুফল প্রদান করবেনা।
• নির্ধারিত সঠিক আঙ্গুলে নির্দেশিত মুনস্টোন রত্ন পাথর পরিধান করা বাধ্যতামূলক।
• যে কোন আসল মুনস্টোন রত্নপাথর ধারন করার বা পড়ার পূর্বে প্রতিটি খাঁটি মুনস্টোন পাথরই বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে রত্ন শোধন করে ধারন করতে হবে।
• মুনস্টোন রত্ন পাথর শোধন ব্যতীত ধারনে আপনি সুফল নাও পেতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার মুনস্টোন পাথরটি ভেঙে যেতে পারে!! আবার হাত থেকে পড়েও যাবে!! অথবা হারিয়ে যাবে এবং মুনস্টোন পাথর পরিধান করে আপনি কোন ফলাফল পাবেন না।

আরও দেখুন: আমাদের সংগ্রহে রত্নপাথর (Moonstone Gemstone).

সঠিকভাবে সুদ্ধ শোধন কী ভাবে করা যায়?

মুনস্টোন রত্ন পাথর শোধন করার নিয়ম টি শুধুমাত্র অভিজ্ঞ রত্ন বিশেষজ্ঞ যারা রয়েছেন একমাত্র তাদের দ্বারাই সম্ভব। বিশেষ করে বংশগত ভাবে যারা জহুরী রয়েছেন তাদের মুনস্টোন রত্ন পাথর শোধন করার নিয়ম কানুন গুলো ভালো জানা রয়েছে। অনেকেই বলে পাথর পড়ে কোন উপকার হয় না এর একমাত্র কারণ হলো আপনি যদি নিজের ইচ্ছাতে নকল মুনস্টোন পাথর (Fake moonstone stone) পরিধান করেন এবং যদি শুদ্ধ শোধন না করে থাকেন। প্রতিটি গ্রহ রত্ন পাথর প্রতি ৩ মাস এবং প্রতিটি উপরত্ন পাথর ৬ মাস পর পরই শুদ্ধ শোধন করে ধারন করতে হবে। কারণ হলো এর মধ্যে মানুষের কিছু কুদৃষ্টি – জিন পরির কিছু কুদৃষ্টি এবং গ্রহ-নক্ষত্রের খারাপ প্রবাভ আপনার উপর পরতে পারে তাই (মুনস্টোন পাথর) শুদ্ধ শোধন না করলে তার উল্টো কাজ আপনার উপর করতে পারে।

যে কোন রত্ন পাথর ধারন করার পূর্বে আপনারা সব সময় ভাল রত্ন বিশেষজ্ঞ, বিশেষ করে যারা বংশগত ভাবে জহুরী রয়েছেন তাদের সহযোগিতা নিয়ে তাদের পরামর্শ নিয়ে সঠিক ভাবে মুনস্টোন রত্ন ধারণ করার চেষ্টা করবেন, কারণ তাদের মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুদ্ধ শোধন করে মুনস্টোন পাথর পড়লে আপনি অবশ্যই দ্রুত ফলাফল ভাল পাবেন। মুনস্টোন পাথর সবাই ধারন করেত পারবেন তবে মুনস্টোন পাথর পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই বাংলাদেশ ও ভারতবর্ষে পুরস্কার প্রাপ্ত রত্ন বিশেষজ্ঞ ও ৪৩ বছরের অভিজ্ঞ বংশগত জহুরী, তান্ত্রিক গুরু ও Astrologer Doyal Delowar Chishti জ্যোতিষ রাজ দয়াল দেলোয়ার চিশতীর সঙ্গে পরামর্শ করুন।

জ্যোতিষরাজ – দয়াল দেলোয়ার চিশতী- স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত
পুরস্কার প্রাপ্ত রত্ন বিশেষজ্ঞ, অভিজ্ঞ বংশগত জহুরী, হস্তরেখাবিদ, গ্রহরত্ন নির্বাচক, জ্যোতিষ শাস্ত্রী, তান্ত্রিক, তন্ত্র শাস্তের উপর বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন।