কাদের নীলা পরা উচিত নয়
কাদের নীলা পরা উচিত নয় : রত্নশাস্ত্রে যে মূল নয়টি রত্নের উল্লেখ আছে, তার প্রতিটি রত্ন নবগ্রহের সঙ্গে যুক্ত। এই নবরত্ন কোনও না কোনও গ্রহের উপর প্রভাব বিস্তার করে। এই নবরত্নের মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য রত্ন হল নীলম বা নীলা। ইংরেজিতে এক Blue Sapphire বলা হয়ে থাকে। রত্নশাস্ত্র অনুসারে নীলা শনি গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। জেনে নিন নীলা ধারণ করা কাদের জন্য শুভ এবং কাদের জন্য অশুভ।
যারা মেষ, বৃষ, কর্কট, মিথুন, সিংহ, বৃশ্চিক, ধনু এবং মীন রাশির জাতক জাতিকাদের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেন তাদের অবশ্যই বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে (নীলা) নীলম পাথর পরা এড়িয়ে চলতে হবে। নীলা ধারণ করলে এঁদের ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই রত্ন পাথরের নিয়ন্ত্রক গ্রহ শনি এই রাশিচক্রের চিহ্নগুলির প্রতি বিরূপ, তাই এটি স্থানীয়দের জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
নীলার অশুভ প্রভাব? কাদের নীলা পরা উচিত নয়
নীলা যার জন্য অশুভ, তিনি এই রত্ন ধারণ করলে নানা রকম শারীরিক সমস্যার মুখে পড়তে পারেন। বিশেষ করে চোখের সমস্যা হতে পারে তাঁর। এছাড়া দুর্ঘটনার মুখেও পড়তে পারেন ওই ব্যক্তি। কেরিয়ারে ক্ষতি ও আর্থিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
এমন অনেক রত্ন জ্যোতিষশাস্ত্রে বর্ণিত আছে, যেগুলো পরলে ভাগ্য উজ্জ্বল হতে পারে। কিন্তু এই রত্নগুলি কিছু রাশিচক্রের জন্য অশুভ প্রমাণিত হয়। রত্ন জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, নীলমণি যদি ব্যক্তিকে সাফল্য দেয়, তবে তাও নীলে মিশে যেতে পারে। তাই জ্যোতিষশাস্ত্রের পরামর্শ অনুযায়ী নীলা পাথর পরা উচিত।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, ‘শনির দৃষ্টি’
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, ‘শনির দৃষ্টি’ শব্দবন্ধটি মানব জীবনে দুর্ভাগ্যের ইঙ্গিত বয়ে আনে। পুরান মতে শনি দেবতা সবার উপর রুষ্ট হন না কেবলমাত্র অলস ব্যক্তির উপর রুষ্ট হন। শনির প্রকোপ থেকে বাঁচার অন্যতম উপায় হল নীলকান্তমণি বা নীলা রত্ন ধারণ করা। নীলাকে হিন্দিতে নীলম, ফারসীতে কবুদ সংস্কৃতে নীলাশ্ম, ইন্দ্রনীল, নীলোৎপল ইত্যাদি বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়। রত্নটি অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড স্যাফায়ারের উপাদানে তৈরি।
এই পাথর ধারণ করলেই টাকার গদিতে বসবেন জাতকরা!
রত্নবিদ্যা অনুসারে, যদি একটি নীলা রত্নপাথর কারও পক্ষে উপযুক্ত হয় তবে সেই ব্যক্তি আর্থিক সুবিধা পেতে শুরু করেন। তাদের চাকরি বা ব্যবসায় উন্নতির লক্ষণ দেখা দেয়। অন্যদিকে, যাদের স্থায়িত্ব নেই, অর্থাত ধৈর্য নেই, তারা নীলা পাথর পরলে জীবনে এক ধরনের স্থিরতা আসে ও তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়। এমনকি কোনও ব্যক্তি জাদুবিদ্যা বা অশুভ আত্মা দ্বারা প্রভাবিত হয় তবে নীল পাথর পরিধান করা খুবই উপকারী।
প্রত্যেকেই কোটিপতি কিংবা ধনী হতে চান। এর জন্য তাঁরা রত্নবিদ্যার উপর ভরসা করেন। আসলে আমাদের শরীরের উপর গ্রহরত্নের একটা ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। সেই কারণেই অনেকেই রত্ন ধারণ করেন। বহু সময় মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকার রত্ন ধারণ করে থাকে। যার প্রভাবে তিনি ধনীও হয়ে যেতে পারেন।
কেউ যদি এই রত্ন পাথর ধারণ করেন, তাহলে এর প্রভাব অবিলম্বে দেখতে পাবেন। আসলে রত্ন পাথর ধারণকারীর চিন্তাধারা, জীবনযাত্রা এবং কার্যকলাপ পরিবর্তিত হবে। ব্যবসায় তাঁরা উপযোগিতা লাভ করতে পারেন। আর সব কিছু তাঁর জীবনে ঠিকঠাকই চলে। নীলা অত্যন্ত শক্তিশালী। আর এই রত্ন ধনী বানিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, বহু ধনী শিল্পপতি এবং কোটিপতিরা নীলা ধারণ করেন। যদিও নীলা পরার ক্ষেত্রে কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে। একজন জ্যোতিষীর কাছে নিজের রাশির গণনা করিয়ে তবেই নীলম রত্নটি ধারণ করা উচিত। কারণ নীলম এমন জাতক-জাতিকাদের জন্য আদর্শ, যাঁদের কুণ্ডলীতে শনির অবস্থান অশুভ থাকে।
নীলার তৈরি আঙটি সকলের জন্য নয়। এই বিষয়ে মানুষের সচেতন থাকা আবশ্যক। অনেকে কারও থেকে পরামর্শ নিয়ে নীলা ধারণ করেন। এমনকী তাঁরা কোনও জ্যোতিষীকে দিয়ে গণনা করিয়ে পরামর্শ পর্যন্ত নেন না। এই সব মানুষদের বিশেষ ভাবে সচেতন থাকতে হবে। যদি কোনও রাশির জাতক-জাতিকার কুণ্ডলীতে শনি শুভ অবস্থানে থাকেন, তাঁরা নীলা পরলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেবে।
এর মধ্যে অন্যতম হল শারীরিক সমস্যা। এমনকী তাঁকে বারবার হাসপাতালের চক্কর কাটতে হতে পারে। সব মিলিয়ে বলা ভাল যে, এই রত্ন পাথর একপ্রকার তাঁর জীবন দুর্বিষহ করে তুলতে পারে।
স্টোন পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনারা সব সময় ভাল রত্ন বিশেষজ্ঞ, বিশেষ করে যারা বংশগত ভাবে জহুরী রয়েছেন তাদের সহযোগিতা নিয়ে তাদের পরামর্শ নিয়ে সঠিক ভাবে রত্ন ধারণ করার চেষ্টা করবেন, কারণ তাদের মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুদ্ধ শোধন করে পাথর পড়লে আপনি অবশ্যই দ্রুত ফলাফল ভাল পাবেন। পাথর পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই বাংলাদেশ ও ভারতবর্ষে পুরস্কার প্রাপ্ত রত্ন বিশেষজ্ঞ ও ৪৩ বছরের অভিজ্ঞ বংশগত জহুরী, তান্ত্রিক গুরু ও Astrologer Doyal Delowar Chishti জ্যোতিষ রাজ দয়াল দেলোয়ার চিশতীর সঙ্গে পরামর্শ করুন।