নীলা পাথরের দাম উপকারিতা: (১) – রত্ন পাথর নির্বাচনে জ্যোতিষশাস্ত্র কি বলছে? (২) – রত্ন পাথর কত প্রকার পাওয়া য়ায়? (৩) – রত্ন পাথর চেনার উপায় কি ভাবে? (৪) – রত্ন পাথর কোথায় পাওয়া যায়? (৫) – রত্ন পাথর আসল বা নকল বুঝবেন কিভাবে? (৬) – রত্ন কেনার আগে কোন বিষয়ে সতর্ক থাকবেন? (৭) – ক্যারেট না রতিতে পাথর কেনা উচিত? (৮) – রত্ন পাথরের দাম কত বাংলাদেশে? (৯) – রত্ন পাথর কিভাবে কাজ করে? (১০) – রত্ন পাথর পরার সময় এই কাজ করবেন না? (১১) – রত্ন পাথরের অপকারিতা কি হতে পারে? রত্ন পাথর ধারনেরে ক্ষেত্রে! ভুল করছেন না তো? (১২) – রত্ন পাথর কখন পরিবর্তন করা উচিত? (১৩) – রত্ন পাথর কত ক্যারেট পাথর পরা সঠিক? (১৪) – রত্ন পাথর রাশি অনুযায়ী কারা পরবেন? কারা ভুলেও ধারণ করবেন না? (১৫) – রত্ন পাথর কোন দিন কখন ধারন করতে হয়? (১৬) – রত্ন পাথর কোন আঙ্গুলে ধারণ করবেন? (১৭) – রত্ন পাথর সঠিকভাবে সুদ্ধ শোধন কী ভাবে করা যায়? (১৮) – রত্ন পাথর শোধন করার নিয়ম? (১৯) – রত্ন পাথর সম্পর্কে ইসলাম কি বলে? (২০) – কৃত্রিম পাথরের নাম
নীলা পাথর সর্ম্পকে জানতে ভিডিওটি দেখুন |
(১) — নীলা রত্ন পাথর নির্বাচনে জ্যোতিষশাস্ত্র কি বলছে? আপনি কি জানেন?
নীলা রত্নপাথর (Blue Sapphire (Neelam Stone) কি সবার জন্য সমান উপযোগী? জ্যোতিষশাস্ত্র বলছেন একদমই নয়। জ্যোতিষ শাস্ত্রঅনুসারে জ্যোতিষীগন জাতক-জাতিকাকে শনি গ্রহের খারাপ প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে কোয়ালিটি অনুযায়ী ভিবিন্ন প্রকার নীলা পাথর ধারণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। নীলা ধারণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়মাবলী রয়েছে৷ আসল (নীলা রত্ন পাথর) ক্রয় করে ধারণ করার চেষ্টা করবেন, নকল (নিলা পাথর) ধারণ করলে তার অপকারিতা, বা (Planet Saturn) শনি গ্রহের অশুভ প্রবাব অথবা অশুভ গ্রাস কিন্তু আপনার উপর খারাপ ভাবে প্রভাব ফেলবে। ফলে জীবনে নানা রকম সমস্যার জর্জরিত হতে পারেন। নীলা শনির ক্ষতিকর প্রভাবের বিরুদ্ধে উপকারী। তাই যে কেউ (খাঁটি নীলা রত্ন পাথর) ধারণ করলেই হবে না। এই রত্ন আপনার ধারণ করা উচিত কিনা তা একজন দক্ষ জ্যোতিষী (Astrologer), বা অভিজ্ঞ একজন রত্ন বিশেষজ্ঞে (Gem Expert) অথবা তান্ত্রিক জ্যোতিষবিদই (Tantric) বলতে পারবেন। কাদের, কখন এবং কেনো নীলা পাথর ধারণ করা উচিত। এর পাশা পাশি যেমন ধরুন: আপনার জন্য কোন দেশের নিলা পাথরটি সঠিক হবে?, গ্রহ দশা অনুযায়ী কত ক্যারেট পাথর ধারন করলে আপনার জন্য উপকারি হবে?, রাশিরত্ন পাথর গুলো কোয়ালিটি অনুযায়ী কোন কালারের অথবা কোন বর্ণের পাথরটি আপনাদের শুভ হবে। এমন আরো অনেক গুরুত্বপূন বিষয় আছে যা একজন দক্ষ রত্ন বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে জেনে তার পর রাশিরত্ন (Rashi Ratno) পাথর গুলো ধারনে জাতক বা জাতিকারা রত্নে শুভফল লাভ করতে পারেন।
আমাদের সংগ্রহে রত্নপাথর দেখতে ক্লিক করুন এখানে ☛ Natural Gemstone |
(২) — নীলা রত্ন পাথর কত প্রকার পাওয়া য়ায়?
(What Are The Types Of Blue Sapphire Gemstones?) নীলকান্তমণি বা নীলা মুলত নীল রঙের হয়। নীলাকে হিন্দিতে নীলম, ফারসীতে কবুদ, সংস্কৃতে ইন্দ্রনীলা, মহানীলা সহ ইত্যাদি বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়। নীলা পাথরকে দেশ ভেদে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। আসুন জেনে নেই।
রাশি রত্নের মধ্যে কি কি নামে ডাকা হয় নীলা পাথরকে ? আপনি জানেন কি?
☛ রাশি রত্ন নীলা পাথরকে যে ডাক নাম তা হলো —
(১) — ইন্দ্র নীলা পাথর (indro Nila Pathor)
(২) — রক্তমুখী নীলা পাথর (Raktamukhi Neela Pathor)
(৩) — পীতাম্বর নীলা পাথর (Pitambari Nela Pathor)
(৪) — শ্বেত নীলা পাথর (Seth Neelam Stone)
(৫) — কৃষ্ণ নীলা পাথর (Seth Neelam Stone)
(৬) — অপরাজিতা নীলা (Krishna Neelam Gemstone)
(৭) — ময়ূরী নীলম (Mayuri Neelam Pathar)
(৮) — গঙ্গাজল নীলা পাথর (Gangajal Neelam Pathor)
(৯) — ষ্টার নীলা পাথর (Star Blue Sapphire)
(১০) — পদ্মনীলা পাথর (Podma Nila Pathor)
নীলা পাথরকে দেশ ভেদে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। যেমন:-
☛ শ্রিলংকান নীলা পাথর। (Sri Lanka Blue Sapphire)
☛ আফ্রিকান নীলা পাথর। (African Sapphire Stone)
☛ ব্যাংকক নীলা পাথর। (Bangkok Blue Sapphire Gemstone)
☛ কাশ্মীরি নীলা পাথর। (Kashmiri Sapphire Stone)
☛ থাইল্যান্ডের নীলা পাথর। (Thailand Blue Sapphire)
☛ বার্মা নীলা পাথর। (Burma Blue Sapphire) উল্লেখযোগ্য স্থান থেকে আসে এছারাও পাথরটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। তবে কাষ্মীরের নীলা ও শ্রীলংকান নীলা পাথর জগৎবিখ্যাত।
(৩) — নীলা রত্ন পাথর চেনার উপায় কি ভাবে?
(Ways To Identify Sapphire Gemstones) রত্ন পাথর চেনার বিষয় নিয়ে মানুষের হাজারো কৌতুহল রয়েছে অধিকাংশ সময় আমাদের কাছে ফোন করে কাস্টমাররা নীলা পাথর চেনার উপায় জানতে চান, বিভিন্ন রকম রত্ন পাথরকে বিভিন্ন ভাবে চেনার জন্য নানান উপায় বা পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় । নীলা পাথর চেনার বা বোঝার জন্য অভিজ্ঞ চোখ প্রয়োজন। প্রথমত, রত্ন-পাথরের আকৃতি (The Shape of The Gemstone), রং (Gemstone Color), স্বচ্ছতা (Gemstone Clarity) ও এর ভিতর সুক্ষ্ণ যেসব অবাঞ্চিত পদার্থ থাকে (Gemstone Bubbles), তার বিন্যাস দেখে প্রাথমিক ধারণা তৈরি করতে হবে। এ ব্যাপারে সঠিক ধারণা পাওয়ার জন্য রত্ন বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে হবে। তবে রত্ন-পাথর যাচাই করার সব চেয়ে ভাল উপায় হল রত্ন-পাথরের বিচ্ছুরণ (Dispersion of Gemstones) যাচাই করেও রত্ন-পাথর আসল কিংবা নকল তা যাচাই করা সম্ভব। তাছাড়া রত্ন-পাথরের কাঠিন্যতা (Gemstone Hardness), আপেক্ষিক গুরুত্ব (Specific Gravity) ইত্যাদি ধর্ম যাচাই করে সহজেই নকল ও আসল রত্ন-পাথর চেনা যায়। কৃত্রিমভাবে তৈরি রত্ন-পাথরকে কয়েকটি সম্পূর্ণ আলাদা দলে বিভক্ত কর যায়। যেমন – (১) Imitation Blue Sapphire (ইমিটেশন অর্থাৎ নকল নীলা রত্ন) (২) Synthetic Blue Sapphire (সিনথেটিক নীলা পাথর অর্থাৎ সংশ্লেষিত রত্নপাথর) এবং (৩) কৃত্রিম ভাবে তৈরি (Duplicate Sapphire Stone) ডুপ্লিকেট নীলা পাথর। তবে ইমিটেশন বা নকল নীলা রত্ন পাথর প্রাকৃতিক রত্নের অনুকরণেই করা হয় থাকে।
(৪) — নীলা রত্ন পাথর কোথায় পাওয়া যায়?
(Where is Sapphire Gemstone Found?) নীলার রাসায়নিক উপাদান অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড এবং স্যাফায়ারের অন্যান্য উপাদানে খনিতে নীলার সৃষ্টি ।
এই রত্ন- পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নীলা পাথর পাওয়া গেলেও শ্রীলংকা প্রধান প্রাপ্তিস্থান। ব্যাংকক পাথরের ক্ষনি থেকে নীলা পাথর নিল না হয়ে বিবর্ণ হয়ে যায়। আফ্রিকায় কিছু নীলা তাপমাত্রায় ডিপ নিল হয়ে যায়। নীলা রত্ন পাথরের প্রধান ক্ষনি কাষ্মীর এবং শ্রীলংকা পাওয়া যায় এই দেশের পাথর জগৎবিখ্যাত। এই দেশগুলিতে নীলা পাথরের বেশ কয়েকটি ক্ষনি রয়েছে। এছাড়াও থাইল্যান্ড, মায়ানমার বার্মা, ও অষ্ট্রেলীয়া নীলার ছোট ক্ষনি খুঁজে পাওয়া যায়। এটা মনে রাখা উচিত যে নীলার বিভিন্ন কালার হতে পারে। তাদের উৎপত্তি স্থানের উপর নির্ভর করে, তারা রঙিন হলুদ বা স্বচ্ছ স্ফটিক হতে পারে
(৫) — নীলা রত্ন পাথর আসল বা নকল বুঝবেন কিভাবে?
(How to Understand Blue Sapphire Gem Stone Real or Fake) খাঁটি নীলা পাথর চিনবেন কী করে? আপনি জানেন কি? আসুন জেনে নেই কীভাবে চিনবেন খাঁটি নীলা পাথর। রত্ন পাথর আসল না নকল এ বিষয় নিয়ে মানুষের হাজারো কৌতুহল রয়েছে অধিকাংশ সময় আমাদের কাছে ফোন করে কাস্টমাররা নীলা পাথর আসল/নকল চেনার উপায় জানতে চান, বিভিন্ন রকম রত্ন পাথরকে বিভিন্ন ভাবে আসল/নকল চেনার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। তবে সে ক্ষেত্রে আসল নিলা পাথর কে চিহ্নিত করার জন্য আপনাকে অবশ্যই একজন ভালা মানের (Gemstone Expert) রত্ন বিশেষজ্ঞের সহযোগিতা নিতে হবে। তারপরও আপনাদের জন্য সহজে আসল/নকল চেনার কিছু নিয়ম আমরা আজকে নিচে আলোচনা করে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।
আসল নীলা পাথরঃ (Real Sapphire Stone) প্রথমে লক্ষ করবেন শ্রিলংক্ন নিলা পাথরের ভেতরের দিক সুক্ষ্ম বুদ বুদ বা হালকা আশের মত দেখা যাবে।, দাগ দাগ আভাযুক্ত স্বচ্ছ উজ্জ্বল কালারের মত দেখতে হবে, এমন দেখতে যে পাথর গুলো এগুলো আসল নিলা পাথর। অরিজিনাল (আসল) নীলা রত্ন পাথরের ভিতর ফাইবার অথবা বা আঁশ গুলো স্পষ্ট থাকবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে। আফ্রিকান নীলা রত্ন পাথরের ভিতর কিন্তু সুক্ষ্ম বুদ বুদ দানা অথবা ফাইবার আশ বেশি থাকে। সিলনী নিলা পাথর ভালো কোয়ালিটির নীলা পাথর গুলো কিন্তু অনেক কিলিয়ার এবং ট্রানস্ফারিং হয়ে থাকে। ছিলোনি নীলা পাথর গুলো একটু দামি হয়ে থাকে। তাই এক্ষেত্রে আপনাকে একটু সচেতন থাকতে হবে এবং বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নিয়ে পাথরটি নির্বাচন করতে হবে।
নকল নীলা পাথরঃ (Fake Blue Sapphire Stone) নিলার ভেতরের দিক সুক্ষ্ম বুদ বুদ বা হালকা আশের মত দেখা যদি না যায় তাহলে বুঝে নিবেন ঐ পাথর গুলো নকল পাথর (ডুপ্লিকেট পাথর নকল নিলা রত্ন পাথরের ভিতর ফাইবার অথবা বা আঁশ গুলো কিছুই থাকবে না, দেখতে অনেক সুন্দর ও উজ্জ্বল বর্নের হবে। তবে মনে রাখবেন বর্তমানে কিন্তু (Lab Made Sapphire Stone) ল্যাব এর মাধ্যমে নকল নীলা রত্ন পাথর তৈরি করা হয়ে থাকে। নকল নীলার দাম কম হয়। কিন্তু আপনার অভিজ্ঞতা না থাকলে পাথর নির্বাচনে আপনি ভূল করে বসতে পাড়েন। এক্ষেত্রে আপনাকে একটু সচেতন থাকতে হবে এবং বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নিয়ে পাথরটি নির্বাচন করতে হবে। নকাল নীলা পাথর কৃত্রিমভাবে তৈরি রত্ন-পাথরকে কয়েকটি সম্পূর্ণ আলাদা দলে বিভক্ত কর যায়। যেমন – (১) ইমিটেশন অর্থাৎ নকল নীলা রত্ন। (২) সিনথেটিক অর্থাৎ সংশ্লেষিত নীলা রত্নপাথর এবং (৩) কৃত্রিম ভাবে তৈরি ডুপ্লিকেট নীলা পাথর। (১) ইমিটেশন বা নকল নীলা রত্ন পাথর প্রাকৃতিক রত্নের অনুকরণেই করা হয়।
(৬) — নীলা রত্ন কেনার আগে কোন বিষয়ে সতর্ক থাকবেন?
(Things To Know Before Buying Blue Sapphire Stone) আমাদের জীবন নানা সমস্যায় ভরা। যেমন, গ্রহ শুভ ও অশুভ প্রভাব বিস্তার করে, তেমনই অশুভ বাস্তুর প্রভাবেও জীবনে উন্নতি ও বাধার সৃষ্টি হয়। মানব জীবনে বাধা কাটাতে জ্যোতিষীরা রত্ন ধারণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যদি ভুল লোক বা ভুল পদ্ধতিতে নীলা ক্রয় করেন, তাহলে নীলা কিন্তু সাংঘাতিক ভাবে ক্ষতি এনে দিতে পারে আপনার জীবনে। সর্বপ্রথমে সঠিক নীলা কেনা দরকার যা আমাদের উপকারে আসবে। তাই আমাদের সঠিক নীলা নির্বাচন করা খুবই প্রয়োজনী।
☛ সর্ব প্রথমে নির্ধারণ করবেন আপনি কোন দেশের নীলা পাথর ক্রয় করতে চান, (যেমন ধরুন: শ্রিলংকান নীলা অথবা আফ্রিকান নীলা) নাকি অন্য কোন দেশের।
☛ নীলা পাথরের ভেতরের দিক সুক্ষ্ম বুদ বুদ এর মত দেখা যায়। অনেক নীলাতে দেখা যায় না। নীল আভাযুক্ত স্বচ্ছ উজ্জ্বল নীলা পাথরের কার্যকারিতাই বেশী।
☛ ভালো কোয়ালিটির নিলা পাথর গুলো কিন্তু অনেক কিলিয়ার এবং স্বচ্ছ হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নিয়ে এই গ্রহ রত্ন গুলো নির্বাচন করতে হবে।
☛ সব নিলার চাইতে সিলংকান নীলা পাথর গুলো একটু দামি হয়ে থাকে। যত ভালো দাম হবে তত ভালো নীলা পাথর পাবেন। ভালো পাথর কে চিহ্নিত করার জন্য আপনাকে অবশ্যই একজন রত্ন বিশেষজ্ঞের সহযোগিতা নিতে হবে।
(৭) — নীলা পাথর ক্যারেট না রতিতে কেনা উচিত?
(Blue Sapphire Stones Should Be Bought by The Carat Not The Ratti) আপনি রত্নপাথর ব্যবহার করতে চাইছেন। হয়তো কোন জ্যোতিষের কাছে গিয়েছেন তিনি আপনাকে ৮ রত্তি ওজনের একটি রত্ন পাথর ব্যবহার করতে বলেছেন। এখন রত্নপাথর ক্রয় করতে গিয়ে দেখছেন ওজন নিয়ে বিভ্রান্তি রয়ে গেছে। বাজারে দুই ধরনের রত্তির (Ratti) ওজন প্রচলিত রয়েছে, তার উপর আবার আরেকটি ওজনের পদ্ধতি রয়েছে তা হল (Carat) ক্যারেট। এত কিছুর মাঝে রত্নপাথর কেনা আপনার জন্য হয়তো সমস্যা জনক হয়ে গেছে। তাই আসুন রত্ন পাথরের প্রচলিত ওজনের হিসাব গুলো যেনে নেই।
সাধারণত রাশিরত্ন (Rashe Rotno) পাথরের ওজন মাপার সনাতন এবং আধুনিক নামক দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। সনাতন মাপের মধ্যে আবার দুটি ধরন, আর এ ধরন গুলো মাপা হয় রত্তি হিসেবে। একটি স্বর্ণের মাপ এবং এখানে ৯৬ রত্তিতে ১ ভরি ওজন আর অন্যটি পাথরের মাপ এবং এখানে ৬৪ রত্তিতে ১ ভরি ওজন। আধুনিক এবং সারা পৃথিবীতে গ্রহন যোগ্য মাপ হচ্ছে ক্যারেট। এখানে ৫৮ ক্যারেটে ১ ভরি ওজন। ওজনের এমন ভিন্ন ভিন্ন ধরনের কারনে প্রায়শই রত্ন পাথর ক্রয় করতে গিয়ে সমস্যা পরতে হয়। কারন যে আপনাকে পরামর্শ দিয়েছেন ৮ রত্তি ওজনের রত্নপাথর ব্যবহার করার জন্য তিনি আপনাকে উল্লেখ করে দেন নাই যে, আপনি ৬৪ রত্তিতে ১ ভরি নাকি ৯৬ রত্তিতে এক ভরি ওজনের ৮ রত্তি ব্যবহার করবেন। অন্যদিকে রত্নপাথর ব্যবসায়ীরাও অনেক সময় এই রত্তির মারপ্যাঁচে ক্রেতাকে আটকে ফেলেন। এমন অবস্থায় আপনি যখনই কোন জ্যোতিষের কাছ থেকে রাশিরত্ন পাথরের পরামর্শ নেবেন তখন তাকে উল্লেখ করে দিতে বলবেন যে কোন মাপের কতটুকু ব্যবহার করতে হবে। এবং সেই রত্নপাথর কেনার সময় অবশ্যই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে যেনে নেবেন তিনি কোন ধরনের ওজনে রত্নপাথর বিক্রি করছেন। আশা করি এর ফলে আপনি অযথা ঝামেলা এবং অতিরিক্ত অর্থ খচরের হাত থেকে বেঁচে যাবেন। তবে সরাসরি নীলা পাথর সহ যে কোন রত্নপাথর ক্যারেট হিসাবে কেনার চেষ্টা করবেন।
(৮) — নীলা রত্ন পাথরের দাম কত বাংলাদেশে?
(What Is The Price Of Blue Sapphire Stone in Bangladesh?) রত্ন পাথর এর দাম নিয়ে মানুষের হাজারো কৌতুহল রয়েছে, অধিকাংশ সময় আমাদের কাছে ফোন করে কাস্টমাররা দাম জানতে চান তাহলে চলুন জেনে নেই। পাথরের দাম নির্ভর করে পাথরের ওজন মানে কত ক্যারেট বা কত রতি মধ্যে নিতে চান? পাথরের মাঝে হাজার হাজার রং আছে তবে ভাল কোয়ালিটি ও ভালো কালার এর উপর ভাল দাম নির্ভর করে। ভালো কাটিং এবং ভালো পলিশের উপর, অবশ্যই ভালো দেশের পাথর, ভালো বর্ণ দেখে পাথর কেনারও চেষ্টা করবেন। আপনি যখন ইন্দ্র নীলা পাথর সহ অন্য কোন প্রকারের রত্ন পাথর কেনার চিন্তা করবেন তখন মনে রাখা ভালো যে পাথরের কোন নির্দিষ্ট কোয়ালিটির হিসেব নেই। খনি থেকে পাওয়া বর্তমান মজুদ পাথরের মধ্যে থেকেই ভালো খারাপ কোয়ালিটির হিসেব করা হয়।
☛ সিলংকান নীলা পাথর। (Srilankan Blue Sapphire Stone Price)
অরিজিনাল সিলংকান নীলা পাথরের দাম ১০,০০০ টাকা পার ক্যারেট থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকা পার ক্যারেটের উপরে আরো দামের মধ্যে হয়ে থাকে, কারন ভালো কোয়ালিটির উপর ভাল দাম নির্ভর করে। যেমন ধরুন: একটা ১০ ক্যারেটের নীলার দাম ৮০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
☛ আফ্রিকান নীলা পাথর। (African Blue Sapphire Stone Price)
অরিজিনাল আফ্রিকান নীলা পাথরের দাম ২০০০ টাকা পার ক্যারেট থেকে শুরু করে ১০,০০০ লক্ষ টাকা পার ক্যারেটের উপরে আরো দামের মধ্যে হয়ে থাকে। তবে ভালো কোয়ালিটির আফ্রিকান নিলা স্টোন আরো বেশি দামেও কিন্তু পাওয়া যায়। যেমন ধরুন: একটা ১০ ক্যারেটের নীলার দাম ২০,০০০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
(৯) — নীলা রত্ন পাথর কিভাবে কাজ করে?
(How Gemstone Works On Human Body) একটি কথা মনে রাখতে হবে যে, ভুল ঔষধ সেবনের কারণে বা প্রয়োজন ব্যতিত ঔষধ ব্যবহারে যেমন জীবন নাশ বা ক্ষতি হতে পারে: তেমনি প্রয়োজন ছাড়া রত্ন পাথর ব্যবহার বা যথার্থ রত্নের ভুল ব্যবহারের কারণেও মারাত্বক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও প্রচুর। রত্ন-পাথরের ইতিহাস থেকে জানা যায় ভূত্বকে, ভূগর্ভে ও সমুদ্রগর্ভে সুনীল জলরাশির তলে বিভিন্ন প্রকার রত্ন-পাথর পাওয়া যায়। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে গ্রহ-নক্ষত্রের শুভাশুভ ক্রিয়া মানুয়ের জীবনে বিদ্যমান থাকলেও রত্ন দ্বারা কি তার প্রতিকার সম্ভব? বা রত্ন ধারণে কি উপকৃত হওয়া যায়? এর উত্তরে বলা যেতে পারে যে, মানব দেহের প্রতিটি অঙ্গ পরমাণুর সমন্বয়ে সৃষ্ট। সৌরমন্ডলের গ্রহগুলোও পরমাণুর সমষ্টি। আর বিভিন্ন প্রকার রত্নগুলো এমন সব পদার্থের সমন্বয়ে সৃষ্ট যার উপস্থিতি মানব দেহেও বিদ্যমান। বিভিন্ন প্রকার রত্ন সরাসরি মানব দেহের ত্বককে স্পর্শ করে শরীরের উপর ইলেকটোম্যাগনেটিক (Electro Magnetic) প্রভাব বিস্তার করে, মানব দেহের বিদ্যমান যে কোন পদার্থের অসামঞ্জস্যপূর্ণ উপসি’তির সামঞ্জস্য আনয়ন করে।
বিভিন্ন প্রকার রত্ন বিভিন্ন গ্রহের রশ্মি অতিমাত্রায় আকর্ষণ বা বিকর্ষণ করতে পারে। তাই রত্ন ধারণ করে স্নায়ুর উপর বিশেষ বিশেষ গ্রহের রশ্মি যোগ বা বিয়োগ করে শক্তিশালী করা সম্ভব। ফলে স্নায়ুগুলি শক্তিশালী হবে ও নতুন চিন্তা চেতনায় জীবন প্রবাহের ক্ষেত্রে সুশৃঙ্খল ভাবে এগিয়ে নিবে। আলোক রশ্মি, বায়ুমন্ডল (Atmosphere) ভেদ করে পৃথিরীর ভূ’ভাগের উপর পতিত হয়। গ্রহদের যেমন নিজস্ব তেজ বিকিরণের ক্ষমতা আছে, প্রতিটি রত্মেরও তেমনি পৃথক পৃথক তেজ আহরণের ক্ষমতা আছে। সূর্য এবং গ্রহমন্ডল থেকে বেরিয়ে আসা এই আলোক রশ্মিই আমাদের উপর নানাভাবে কাজ করে। ভু’গর্ভে বা সমুদ্র গর্ভে যে সকল রত্ন-পাথর সৃষ্টি হয় তাহাও ঐ সৌর রশ্মিরই রাসায়ণিক ক্রিয়ারফল। মানব দেহের উপর Cosmic Ray জধু এর প্রভাব বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত । সূর্যের আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি (Ultra-Violet Ray) ও অপরাপর রঙ বিভিন্ন প্রকার রত্ম-পাথর এবং এর আভ্যন্তরীণ প্রচ্ছন্ন শক্তির উপর পরোক্ষ ও প্রত্যেক্ষভাবে ক্রিয়াশীল হয়ে মানবদেহে সংক্রামিত বিভিন্ন প্রকার ব্যাধির প্রতিকার করতে পারে। উল্লেখ্য রত্ম গুলোতেও বিভিন্ন রঙ বিদ্যমান। রত্ন গুলো হচ্ছে-হীরা, রুবী, পান্না, মুক্তা, গোমেদ, ক্যাটসআই, পোখরাজ, প্রবাল ইত্যাদি।
(১০) — নীলা রত্ন পাথর পরার সময় এই কাজ করবেন না?
জ্যোতিষশাস্ত্রে রত্ন ও পাথর (Gemstone) পরার আগে কিছু বিশেষ নিয়ম মানতে হয়। নয়টি গ্রহের জন্য বিভিন্ন রত্ন পরিধান করা হয়। যেখানে সূর্যের জন্য রুবি, চাঁদের জন্য মুক্তা, মঙ্গলের জন্য প্রবাল, বৃহস্পতির জন্য পোখরাজ, বুধের জন্য পান্না, শনির জন্য নীলকান্তমণি, শুক্রের জন্য হীরা, রাহুর জন্য গোমেদ এবং কেতুর জন্য (ক্যাটসআই) লহসুনিয়া মণি পরা হয়। সঠিকভাবে পরিধান করলে এর উপকারিতা চমকে দেওয়ার মত। অন্যদিকে রত্ন পাথর পরার ক্ষেত্রে অসাবধানতা জীবনে অনেক সমস্যা নিয়ে আসে। জেনে নিন কীভাবে রত্নপাথর পরলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
☛ জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে (According to Astrology), কোনও রত্নপাথর পরার আগে দুধে রাখা উচিত নয়। পরিবর্তে, বিশুদ্ধ জল দিয়ে ধুয়ে রত্নটি পরতে হবে। এ ছাড়া রত্নপাথরটি দুধে সারারাত রাখা উচিত নয়। অনেক রত্ন আছে যা দুধ শোষণ করে। দুধ পাথরে প্রবেশ করলে সেই রত্ন নষ্ট হয়ে যায়।
☛ যে কোন আসল রত্নপাথর ধারন করার পূর্বে প্রতিটি খাটি পাথরই বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে শোধন ছাড়া ধারন করবেন না।
☛ প্রবাল এবং মুক্তা ছাড়া, অন্য রত্ন কখনও পুরানো হয় না। মুক্তার দীপ্তি নিস্তেজ হয়ে গেলে এবং প্রবালের মধ্যে স্ক্র্যাচ থাকলে এগুলি পরিবর্তন করা উচিত। এ ছাড়া রুবি, পান্না, পোখরাজ, নীলকান্তমণি এবং হীরা কখনোই প্রতিস্থাপিত হয় না।
☛ রত্নপাথর ধারন অবস্থায় অপবিত্র বা অশুভ কোন স্থান থেকে আসার পর অবশ্যই পাথরটি আবার শুদ্ধ শোধন করে, আপনার নামের উপর কিছু ইসমে আজম দোয়া পাঠ করে পাথর ব্যবহার করার জন্য ধারন করতে হবে। শোধন ব্যতীত ধারনে আপনি সুফল নাও পেতে পারেন।
(১১) — নীলা রত্ন পাথরের অপকারিতা কি হতে পারে? নীলা রত্ন পাথর ধারনেরে ক্ষেত্রে! ভুল করছেন না তো?
(Side Effects of Blue Sapphire Neelam Stone) নীলা পাথরের অপকারিতা থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে অবশ্যই ভালো মানের সিলংকান নীলা পাথর ধারন করতে হবে। এই পাথর ধারণ করলে উপকার ও অপকার দুইই হতে পারে। নীলা যাদের জন্য উপযোগী, এই রত্নপাথর তাদের রাজা বানিয়ে দিতে পারে। কিন্তু নীলা উপযোগী না হলে জীবন ছারখার হয়ে যায়। পরামর্শ ছাড়া কোনো আসল খাঁটি নীলা পাথর ব্যবহার করা উচিত নয় । কারণ নীলা পাথর ব্যবহারে উপকার যতোটুকু, তার থেকে বেশি ক্ষতিকর । পাথরটি পরার আগে সর্বদা (Consult an Astrologer) জ্যোতিষীর সঙ্গে পরামর্শ করা জরুরি। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ রত্ন হল নীলা পাথর। জ্যোতিষ শাস্ত্রমতে শনি গ্রহের খারাপ প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে নীলা পাথর সাহায্য করে থাকে। নীলা একটি গ্রহরত্ন (Planet Gem)। জন্ম রাশি ও হস্তরেখা বিচারে শনির অশুভত্ব দূরীকরণার্থে ধারণ করা হয়। রত্ন পাথর নীলা পাথর ব্যবহারে অনেক সময় খুব দ্রুত ফল পাওয়া যায়। শনির দশার গ্রাস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নীলা পাথর ধারণ করা হয়ে থাকে, গ্রহ দশা অনুযায়ী আপনার কত ওজনের নীলা পাথর ধারন করা উচিত ও আপনার জন্য শুভ হবে কিনা?
অভিজ্ঞ রত্ন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ি কত সাইজের মধ্যে আংটি বা লকেট করে আপনি ধারন করতে পারবেন? সেই বিষয়টি সঠিকভাবে জেনে তার পর ধারন করবেন। যে কোনও রত্ন ধারণের পূর্বে রত্ন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। বলা হয় নীলা আমাদের ভাগ্যে রাজযোগ নিয়ে আসে। নীলা কিন্তু খুবই সাংঘাতিক একটি গ্রহরত্ন। অনেকে আবার (Fake Blue Sapphire Stone) নকল নীলা পাথর ধারণ করেন, ফলে দীর্ঘদিন নীলা পাথর ধারণ করেও কোনো উপকার পান না। যদি ভুল লোক বা ভুল পদ্ধতিতে নীলা (Nila) পাথর ধারন করেন, তাহলে নীলা পাথর কিন্তু সাংঘাতিক ভাবে ক্ষতি এনে দিতেও পারে আপনার মানবজীবনে মানসিক সক্ষমতা এবং প্রঙ্গা বৃদ্ধিতে, আধ্যাত্মিকতা জাগ্রত, ব্যবসায় বা চাকুরি জীবনে বৃদ্ধিতে চরম বাধা লক্ষ করতে পারবেন। নীলা স্টোন সবাই ধারন করেত পারবেন তবে যে কোন পাথর পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের / জ্যোতিষবিদের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
(১২) — নীলা রত্ন পাথর কখন পরিবর্তন করা উচিত?
(When Should Gemstones Be Changed?) রত্ন ধারণের বেশ কিছু নিয়মাবলী রয়েছে ৷ জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে সঠিক নিয়মে গ্রহ-নক্ষত্র মেনে রত্ন ধারণ করলে ভাগ্য প্রসন্ন হতে পারে ৷ রত্ন ধারণে কোনও ভুল হলে হিতে বিপরীতও হতে পারে ৷ গ্রহের ৯টি রত্নগুলির মধ্যে প্রবাল এবং মুক্তা ছাড়া অন্য মূল্যবান রত্নগুলি কখনই পুরনো হয় না। যদি মুক্তার দীপ্তি কমে যায় এবং প্রবালের গায়ে ঘষা লেগে যাওয়ায় কোনও দাগ লেগে যায় তাহলে তা বদলে ফেলতে হবে। রুবি, পান্না, পোখরাজ, নীলকান্তমণি এবং হীরা সহ বিভিন্ন প্রকার মূল্যবান গ্রহ রত্নপাথর চিরকালের। তবে তাদের মধ্যে ঘষা এবং আঁচড়ের বিশেষ প্রভাব নেই। তাদের পরিবর্তন করার কোন প্রয়োজন নেই। চলার পথে অথবা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আঘাত পেয়ে রত্ন পাথর গুলো ভেঙ্গে যায় অথবা ফেটে যায় এইরকম যদি হয়ে থাকে আপনার হাতের ব্যবহার করা রত্নপাথর টি তাহলে যত দ্রুত সম্ভব হবে সেই পাথরটি পরিবর্তন করে নেয়ার চেষ্টা করবেন। এছাড়া যদি আপনার পাথরটি অরিজিনাল এবং প্রাকৃতিক খাঁটি রত্ন পাথর হয়ে থাকে তাহলে সেই রত্নপাথর টি কখনোই পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয় না।
(১৩) — নীলা রত্ন পাথর কত ক্যারেট পাথর পরা সঠিক?
(How Many Carats Of Gemstones is The Right Size To Wear?) আপনি রত্নপাথর ব্যবহার করতে চাইছেন। হয়তো কোন জ্যোতিষের কাছে গিয়েছেন তিনি আপনাকে ৮ রত্তি ওজনের একটি রত্ন পাথর ব্যবহার করতে বলেছেন। এখন রত্নপাথর ক্রয় করতে গিয়ে দেখছেন ওজন নিয়ে বিভ্রান্তি রয়ে গেছে। বাজারে দুই ধরনের রত্তির ওজন প্রচলিত রয়েছে, তার উপর আবার আরেকটি ওজনের পদ্ধতি রয়েছে তা হল ক্যারেট। এত কিছুর মাঝে রত্নপাথর কেনা আপনার জন্য হয়তো সমস্যা জনক হয়ে গেছে। তাই আসুন রত্ন পাথরের প্রচলিত ওজনের হিসাব গুলো যেনে নেই। সাধারণত রাশিরত্ন পাথরের ওজন মাপার সনাতন এবং আধুনিক নামক দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। সনাতন মাপের মধ্যে আবার দুটি ধরন, আর এ ধরন গুলো মাপা হয় রত্তি হিসেবে। একটি স্বর্ণের মাপ এবং এখানে ৯৬ রত্তিতে ১ ভরি ওজন আর অন্যটি পাথরের মাপ এবং এখানে ৬৪ রত্তিতে ১ ভরি ওজন। আধুনিক এবং সারা পৃথিবীতে গ্রহন যোগ্য মাপ হচ্ছে ক্যারেট। এখানে ৫৮ ক্যারেটে ১ ভরি ওজন।
ওজনের এমন ভিন্ন ভিন্ন ধরনের কারনে প্রায়শই রত্ন পাথর ক্রয় করতে গিয়ে সমস্যা পরতে হয়। কারন যে আপনাকে পরামর্শ দিয়েছেন ৮ রত্তি ওজনের রত্নপাথর ব্যবহার করার জন্য তিনি আপনাকে উল্লেখ করে দেন নাই যে, আপনি ৬৪ রত্তিতে ১ ভরি নাকি ৯৬ রত্তিতে এক ভরি ওজনের ৮ রত্তি ব্যবহার করবেন। অন্যদিকে রত্নপাথর ব্যবসায়ীরাও অনেক সময় এই রত্তির মারপ্যাঁচে ক্রেতাকে আটকে ফেলেন। আপনি হয়তো কোথায়ও একটি নীলা পাথর দাম করেছেন। তিনি আপনার কাছে ক্যারেট হিসেবে প্রতি ক্যারেট এর মূল্য চাইলেন ২০০০ টাকা করে। ৫ ক্যারেট এর জন্য ১০০০০ টাকা। সেটা যাচাই করতে গেলেন আরেক জনের কাছে, তখন তিনি আপনার কাছে চাইলেন ১৫০০ টাকা প্রতি রত্তি। আপনি তো মনে মনে খুশী হয়ে গেলেন এই ভেবে যে আপনি ৫০০ টাকা করে কম পাচ্ছেন। কিন্তু তিনি যে আপনাকে ৫৮ ক্যারেট এর পরিবর্তে ৯৬ রত্তি ধরে পাথরের মূল্য বলেছেন সেটা আর আপনি বুঝতে পারেন নাই, যেখানে ৫ ক্যারেট সমান ৮.২৫ রত্তি, আর ১৫০০ টাকা করে ৮.২৫ রত্তির মূল্য দাঁড়ালো ১২৩৭৫ টাকা।
এর মানে আপনাকে ওজনের মারপ্যাঁচে ফেলে কম মূল্য দেখিয়ে ২৩৭৫ টাকা বেশী নিয়ে নিলো। যেকোন রত্নপাথর কেনার সময় অবশ্যই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে যেনে নেবেন তিনি কোন ধরনের ওজনে রত্নপাথর বিক্রি করছেন। আশা করি এর ফলে আপনি অযথা ঝামেলা এবং অতিরিক্ত অর্থ খচরের হাত থেকে বেঁচে যাবেন।
(১৪) — নীলা রত্ন পাথর রাশি অনুযায়ী কারা পরবেন? কারা ভুলেও ধারণ করবেন না?
(According To Zodiac Sign Who Wears Blue Sapphire Gemstone) জ্যোতিষশাস্ত্রে ও হস্তরেখা বিজ্ঞানে নীলা শনি গ্রহের খারাপ ক্ষতিকর প্রভাবের বিরুদ্ধে উপকারী। কর্কট রাশি (Cancer) June 21 – July 20, কন্যা রাশি (Virgo) Aug 22 – Sep 22 , মকর রাশি (Capricorn) Dec 21 – Jan 19, কুম্ভ রাশি (Aquarius) Jan 20 – Feb 18 এই রাশির জাতক / জাতীকারা যে পাথর ধারণ করলে শুভ ফল পাবেন তা হল নীলা পাথর। এই পাথরটি কর্কট রাশি (Karkaṭa Rashi), কন্যা রাশি (Kanya Rashi), মকর রাশি (Makar Rashi), কুম্ভ রাশির (Kumbha Rashi) গুণমান বৃদ্ধিতে কাজ করে। তবে এক্ষেত্রে অন্য রাশির জাতক-জাতিকারা যারা আছেন তারা নীলা পাথর ধারনে খুব সাবধান নীলা উপযোগী না হলে জীবন ছারখার হয়ে যায়। মানুষের জীবনে সমস্যা দুই ধরনের হয়ে থাকে। এক ধরনের সমস্যা মানুষের জীবনে সব সময়ই লেগে থাকে, একটা শেষ হবার আগেই আরেকটা এসে জুড়ে যায়। যদি এ সমস্যা গুলো ছোট খাট হয়ে থাকে তাহলে এটা (Rahu) রাহুর সমস্যার কারনে হয়ে থাকে, যার জন্য (Garnet (Gomed) Stone গোমেদ পাথর যথেষ্ট।
কিন্তু যাদের সমস্যা গুলোর প্রভাব বেশী এবং যে কাজেই হাত দেওয়া হোক না কেন সে কাজই যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে এটা শনি গ্রহের খারাপ প্রভাবের কারনে। ফলে জীবনে নেমে আসে চরম বিপর্যয়। এমন অবস্থায় উপকারী পাথর হচ্ছে ইন্দ্র নীলা পাথর । নীলা পাথর পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই একজন রত্ন বিশেষজ্ঞের অথবা তান্ত্রিক জ্যোতিষবিদের সঙ্গে পরামর্শ করুন। তা না হলে আপনাদের জন্য নীলা ভিশন অশুভ এবং আপনার জীবনের সব দিকে ক্ষতিকর প্রবাভ ফেলতে পারে। অভিজ্ঞ রত্ন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ি কত সাইজের মধ্যে আংটি বা লকেট করে আপনি ধারন করতে পারবেন সেই বিষয়টি সঠিকভাবে জেনে তা ধারন করবেন।
(১৫) — নীলা রত্ন পাথর কোন দিন কখন ধারন করতে হয়?
রত্ন পাথর কোন দিন কখন ধারন করতে হবে এমন প্রশ্ন আপনার মনে হরহামেশাই চলে আসে। অথবা দিন ক্ষণ সময় মেনে রত্ন পাথর ব্যবহারের কথা অনেকেই বলে থাকেন। রত্ন পাথর ধারনে কোন দিন খনের প্রয়োজন হয়না। যে কোন সময় যে কোন রত্নপাথর আপনি সঠিক ভাবে শুদ্ধ শোধন করে, আপনার নামের উপর কিছু ইসমে আজম (Isme Azam Dua) দোয়া পাঠ করে ধারন করতে পারবেন। আপনি যখন রত্ন পাথর ব্যবহার করবেন তখন সবার আগে খেয়াল রাখবেন রত্ন পাথরটি যেন আসল হয়। চেষ্টা করবেন যত টুকু সম্ভব ভালো কোয়ালিটির রত্ন পাথর ব্যবহার করার। আসল গ্রহরত্ন ছাড়াও উপরত্ন পাথর রত্ন বিশারদ বা জহুরীদের পরামর্শ মেনে ধারণ করতে পারলে ভাল হয়।
(১৬) — নীলা রত্ন পাথর কোন আঙ্গুলে ধারণ করবেন?
(Which Finger To Wear Blue Sapphire Ring) কোন রত্ন কোন আঙুলে ধরণ করলে উপযুক্ত ফল মিলবে, এ বিষয়ে জ্যোতিষশাস্ত্রে নির্দিষ্ট কিছু নিয়মাবলী বা নির্দেশ রয়েছে।
আমাদের জীবন নানা সমস্যায় ভরা। যেমন, গ্রহ শুভ ও অশুভ প্রভাব বিস্তার করে, তেমনই অশুভ বাস্তুর প্রভাবেও জীবনে উন্নতি ও বাধার সৃষ্টি হয়। মানব জীবনে বাধা কাটাতে জ্যোতিষীরা রত্ন ধারণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু রত্ন ধারণের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু সময়কাল এবং নিয়মাবলী অবলম্বন করা জরুরি। তা না হলে রত্ন ধারণে উপযুক্ত ফল মেলে না। যেমন, কোন রত্ন কোন আঙুলে ধরণ করলে উপযুক্ত ফল মিলবে, এ বিষয়ে জ্যোতিষশাস্ত্রে নির্দিষ্ট কিছু নিয়মাবলী বা নির্দেশ রয়েছে। আসুন সেগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। অনেককেই দেখা যায় নীলা পাথর তর্জনীতে ধারণ করেন এক্ষেত্রে কিন্তু আপনি ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। কখনোই মধ্যমা আঙ্গুল ছাড়া অন্য কোন আঙুলে নীলা পাথর ধারণ করবেন না, তবে আলোচনার সাপেক্ষে কনিষ্ঠা আঙুলে ধারণ করতে পারেন। গ্রহ দশা অনুযায়ী শনির অশুভ প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার জন্য নীলা রত্ন পাথর ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে ব্লু সাফায়ার নিলা পাথর আপনার কাজের হাতের মধ্যমা আঙ্গুলে – (Middle Finger) এ পরা উচিত। মধ্যমা আঙুলটি শনি দ্বারা শাসিত এবং শনির পর্বটি হাতের তালুর মাঝের আঙুলের নিচে অবস্থিত। আপনি যেকোন হাতের মধ্যমা আঙ্গুলে নীলা পাথর ধারন করতে পারবেন, তবে ডান হাতে যেহেতু আপনার কর্ম হাত সেই হাতে পাথর ধারণ করলে সব চাইতে ভাল হয়। সুফল পেতে এখনি আপনার হাতে লক্ষ করুন নীলা ঠিক ভাবে পড়েছেন তো? যদি নীলাটি আপনার জন্য যথার্থ হয় তাহলে খেয়াল রাখতে হবে যে নীলাটি যেন আমাদের শরীরের সঙ্গে লেগে থাকে। যদি নীলাটি আলগা ভাবে পরা হয় তাহলে কিন্তু কোনো লাভই হবে না। কোনো ভাবেই উপকৃত হবেন না। তাই সব সময় খেয়াল রাখতে হবে যে নীলাটি যেন আমাদের গায়ের সঙ্গে লেগে থাকে। নীল পাথর ধারণের মেনে চলা উচিৎ কিছু নিয়ম নয়তো কাজ হতে পারে উল্টো। অনেককেই দেখা যায় নীলা পাথর তর্জনীতে ধারণ করেন এক্ষেত্রে কিন্তু আপনি ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। কখনোই মধ্যমা আঙ্গুল ছাড়া অন্য কোন আঙুলে নীলা পাথর ধারণ করবেন না, তবে আলোচনার সাপেক্ষে কনিষ্ঠা আঙুলে ধারণ করতে পারেন।
নীলা উপযোগী না হলে জীবন কিন্তু ছারখারও হয়ে যায়। যদি ভুল লোক বা ভুল পদ্ধতিতে নীলা গ্রহণ করেন, তাহলে নীলা কিন্তু সাংঘাতিক ভাবে ক্ষতি এনে দিতে পারে আপনার জীবনে। সর্বপ্রথমে সঠিক নীলা কেনা দরকার যা আমাদের উপকারে আসবে। তাই আমাদের সঠিক নীলা নির্বাচন করা খুবই প্রয়োজনী।
(১৭) — নীলা রত্ন পাথর সঠিক ভাবে সুদ্ধ শোধন কী ভাবে করা যায়?
(নীলা রত্নপাথর) ধারণের বেশ কিছু নিয়মাবলী রয়েছে৷ জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে সঠিক নিয়মে গ্রহ-নক্ষত্র মেনে (নীলা পাথর) ধারণ করলে ভাগ্য প্রসন্ন হতে পারে ৷ (নীলা রত্ন পাথর) ধারণে কোনও ভুল হলে হিতে বিপরীতও হতে পারে ৷ (নীলা পাথর) পাথর (Purification -Sodhan) শোধন করার বিষয়টি নিয়ে অনেকের মধ্যে বিভিন্ন রকম কৌতুহল থাকে তবে, রত্ন পাথর শোধন করার নিয়ম টি শুধুমাত্র রত্ন বিশেষজ্ঞ যারা রয়েছেন একমাত্র তাদের দ্বারাই সম্ভব। বিশেষ করে বংশগত ভাবে যারা জহুরী রয়েছেন তাদের রত্ন পাথর শোধন করার নিয়ম কানুন গুলো ভালো জানা রয়েছে। অনেকেই বলে পাথর পড়ে কোন উপকার হয় না এর একমাত্র কারণ হলো আপনি যদি নিজের ইচ্ছাতে পাথর পরিধান করেন এবং যদি শুদ্ধ শোধন না করে থাকেন।
প্রতিটি গ্রহ রত্ন পাথর প্রতি তিন মাস পর পরই শুদ্ধ শোধন করে ধারন করতে হবে। কারণ হলো এর মধ্যে মানুষের কিছু কুদৃষ্টি জিন পরির কিছু কুদৃষ্টি এবং গ্রহ -নক্ষত্রের খারাপ প্রবাভ আপনার উপর পরতে পারে তাই পাথর শুদ্ধ না করলে তার উল্টো কাজ আপনার উপর করতে পারে। আসল নীলা রত্নপাথর ক্রয় করে ধারণ করার চেষ্টা করবেন, নকল নীলা পাথর ধারণ করলে তার অপকারিতা কিন্তু আপনার উপর খারাপ প্রভাব ফেলবে জীবনে নানা রকম সমস্যার জর্জরিত হতে পারেন। তাই নীলা পাথর পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই অভিজ্ঞ একজন রত্ন বিশেষজ্ঞের অথবা তান্ত্রিক জ্যোতিষবিদের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
(১৮) — নীলা রত্ন পাথর শোধন করার নিয়ম?
জেনে নিন (নীলা রত্ন পাথর) শোধন করার নিয়ম? রত্ন নির্বাচনের ক্ষেত্রে জ্যোতিষশাস্ত্র ঠিক কী কথা বলছে –
— আপনার হাতের কালারের সাথে মিলিয়ে (নীলা রত্ন পাথর) শুদ্ধ শোধন করে, আপনার নামের উপর কিছু ইসমে আজম দোয়া পাঠ করে পাথর ব্যবহার করার জন্য ধারন করতে হবে।
— (নীলা রত্ন পাথর) শোধন করার জন্য ২১ টি গাছের শিকড়ের রস এর প্রয়োজন হয় যা আফ্রিকা থেকে আসে তার মধ্যে কিছু গাছ যেমন মায়াজাল, হাতাজুরী, মিলন, সেতুমূল গাছের শিকড় আরো অনেক গাছের শিকড় এবং কিছু উপাদান রয়েছে যা রত্ন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে আপনার জেনে নিতে হবে।
— (নীলা রত্ন পাথর) আংটি বাঁধাইকৃত ধাতুর শুদ্বতা অবশ্যই জানা থাকতে হবে অন্যথায় রত্ন পাথর সুফল প্রদান করবেনা।
— রত্ন পাথর শোধনের পর শুভ সময়ে ধারন করতে হয় বিধায় “দর্শনে রহমত তাজমহল জেমস্ ওয়ার্ল্ড” আংটি ধারনের শুভ হ্মন লিখে দিয়ে থাকেন।
— নির্ধারিত তিথিতে নির্ধারিত সঠিক আঙ্গুলে নির্দেশিত (নীলা রত্ন পাথর) পরিধান করা বাধ্যতামূলক।
— যে কোন আসল রত্নপাথর ধারন করার বা পড়ার পূর্বে প্রতিটি খাটি পাথরই বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে রত্ন শোধন করে ধারন করতে হবে।
— (নীলা রত্ন পাথর) শোধন ব্যতীত ধারনে আপনি সুফল নাও পেতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার পাথরটি ভেঙে যেতে পারে!! আবার হাত থেকে পড়েও যাবে!! অথবা হারিয়ে যাবে এবং পাথর পরিধান করে আপনি কোন ফলাফল পাবেন না।
(১৯) — রত্ন পাথর সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?
সামান্য রুপার আংটি ব্যবহার করা জায়েজ। রাসুল (সা.) নিজেও রুপার আংটি ব্যবহার করেছেন। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) – এর রুপার আংটি তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাঁর হাতেই ছিল।
অতঃপর সেটি আবু বকর (রা.)-এর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাঁর হাতে। এরপর ওমর (রা.)-এর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাঁর হাতে ছিল। অতঃপর ওসমান (রা.)- এর হাতে এলে একদিন তিনি কূপের কাছে অবস্থানকালে হঠাৎ তাঁর হাত থেকে সেটি কূপে পড়ে যায়। পরে তাঁর নির্দেশে কূপের পানি সম্পূর্ণ নিষ্কাশন করা হয়; কিন্তু সেটি আর পাওয়া যায়নি। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪২১৫)
(২০) — কৃত্তিম উপায়ে তৈরী নিলা রত্ন ? কৃত্রিম পাথরের নাম?
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। কথায় বলে মানুষের অসাধ্য কিছু নেই মানুষ অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করেছে ও করছে। রত্ন-পাথরের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই, কৃত্রিম উপায়ে রত্ন-পাথর তৈরী করতেও সক্ষম হয়েছে মানুষ। কৃত্রিমভাবে তৈরি রত্ন-পাথরকে কয়েকটি সম্পূর্ণ আলাদা দলে বিভক্ত কর যায়। যেমন – (১) ইমিটেশন অর্থাৎ নকল নীলা রত্ন। (২) সিনথেটিক অর্থাৎ সংশ্লেষিত নীলা রত্নপাথর এবং (৩) কৃত্রিম ভাবে তৈরি ডুপ্লিকেট নীলা পাথর। (১) ইমিটেশন বা নকল নীলা রত্ন পাথর প্রাকৃতিক রত্নের অনুকরণেই করা হয়। কৃত্রিম রত্ন সম্পর্কে আলোচনা করা হল- যাতে জাতক/জাতিকা প্রাকৃতিক বা আসল রত্ন – পাথর ক্রয় বা ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতারিত হতে না হয়। রত্ন সঠিক ভাবে নির্বাচন সত্যিই একটু কঠিন, তাই অভিজ্ঞ ব্যক্তি বা অভিজ্ঞ জ্যোতিষের পরামর্শ বাঞ্চনীয়। কৃত্রিম রত্ন আধুনিক প্রযুক্তির একটি চমৎকার সুকৌশল। ইমেটেশন বা নকল রত্ন ও কৃত্রিম ভাবে তৈরী ডাবলেট রত্ন গুলো বিচার বিশ্লেষণে ফল লাভে অনুপযুক্ত ।
আর সংশ্লেষিত রত্নগুলো অনেকের মতে বেশী পরিমাণে ধারণ বা ব্যবহার আসল রত্নের অণুরুপই ফলদায়ক। গুণাগুণই যেখানে লক্ষ্য সেখানে কৃত্রিম রত্ন কি আর প্রাকৃতির বা খাঁটি রত্নের মত ফলাফল দিতে পারে? গ্রহের অশুভত্বে ও রোগ ভোগের প্রতিকারার্থে প্রাকৃতিক বা আসল রত্ন পাথর ব্যবহার একান্ত আবশ্যক। কৃত্রিম রত্ন সম্পর্কে আলোচনা করা হল- যাতে জাতক/জাতিকা প্রাকৃতিক বা আসল রত্ন – পাথর ক্রয় বা ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতারিত হতে না হয়। রত্ন সঠিক ভাবে নির্বাচন সত্যিই একটু কঠিন, তাই অভিজ্ঞ ব্যক্তি বা অভিজ্ঞ জ্যোতিষের পরামর্শ বাঞ্চনীয়।
জ্যোতিষরাজ – দয়াল দেলোয়ার চিশতী- স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত
পুরস্কার প্রাপ্ত রত্ন বিশেষজ্ঞ, অভিজ্ঞ বংশগত জহুরী, হস্তরেখাবিদ, গ্রহরত্ন নির্বাচক, জ্যোতিষ শাস্ত্রী, তান্ত্রিক, তন্ত্র শাস্তের উপর বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে।
__________________
বাংলাদেশ ও ভারত বর্ষে পুরস্কার প্রাপ্ত দীর্ঘ ৪২ বছরের অভিজ্ঞ রত্ন বিশারদ (রত্ন বিশেষজ্ঞ) বিচক্ষণ এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হস্তরেখাবিদ জ্যোতিষ। খাজা বাবার রুহানি সন্তান দয়াল দেলোয়ার চিশতী, তিনি আজমীর শরীফের খেলাফত প্রাপ্ত খাদেম। রত্ন পাথর সম্পর্কে তার রয়েছে ● বাস্তব অভিজ্ঞাতা ● সনাতন এবং ● আধুনিক অভিজ্ঞতা। আর হতাশা নয় সফলতার জন্য আজই চলে আসুন। রত্ন বিশেষজ্ঞ সাথে অনলাইনে নিরাপদে ব্যক্তিগতভাবে কোন সাক্ষাৎকার ছাড়াই চ্যাট এবং কল করে রত্নপাথর বিষয়ে পরামর্শ নিন: ☎ imo / Whatsapp: +8801711192111
☎ imo / Whatsapp: +8801845750651
☎ imo / Whatsapp: +8801868353055
নীলা পাথরের দাম উপকারিতা নীলা পাথরের দাম উপকারিতা নীলা পাথরের দাম উপকারিতা নীলা পাথরের দাম উপকারিতারনীলা পাথরের দাম উপকারিতা নীলা পাথরের দাম উপকারিতা নীলা পাথরের দাম উপকারিতা নীলা পাথরের দাম উপকারিতা নীলা পাথরের দাম উপকারিতা নীলা পাথরের দাম উপকারিতা নীলা পাথরের দাম উপকারিতা নীলা পাথরের দাম উপকারিতা নীলা পাথরের দাম উপকারিতা