ওপাল পাথর চেনার উপায় (How to Identify Opal Stones)

ওপাল পাথর চেনার উপায়: আজকাল বাজারে নানা রকম রত্নপাথর পাওয়া যায়। কৃত্রিম রত্ন তৈরির প্রচেষ্টাটি প্রচীনকালেও ছিল। প্রাচীন মিশরীয় এবং রোমানদের তৈরি বিভিন্ন রকম নমুনা জাদুঘরে দেখা যায়। তবে সেগুলি গুণগত মানে ও রূপে অক্ষম। কৃত্রিমভাবে তৈরি রত্ন-পাথরকে কয়েকটি সম্পূর্ণ আলাদা দলে বিভক্ত কর যায়। যেমন – (১) ইমিটেশন ওপাল অর্থাৎ নকল ওপাল রত্ন। (২) সিনথেটিক ওপাল অর্থাৎ সংশ্লেষিত রত্ন এবং (৩) কৃত্রিম ভাবে তৈরি ডুপ্লিকেট ওপাল রত্নপাথর। (১) ইমিটেশন বা নকল ওপাল রত্ন পাথর প্রাকৃতিক রত্নের অনুকরণেই করা হয়। আজ ওপাল পাথর চেনার সহজ পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে আসুন জেনে নিই।

আরও জানুন: রত্ন পাথর শোধন করার নিয়ম ও মন্ত্র জানতে ভিডিওটি দেখুন

ওপাল পাথর আসল বা নকল বুঝবেন কিভাবে? 

আজকাল বাজারে নানা রকম ওপাল রত্ন- পাথর পাওয়া যায়। চোখ ধাঁধিয়ে যায় তাদের রং আর উজ্জল বর্ণচ্ছটার আভা দেখলে। তবে বাজারে কৃত্রিম ওপাল পাথর এত বেশি বিস্তার যে আসল ওপাল চেনাটাই দায়। নকল ওপাল পাথরের ভিড়ে আসল ওপাল পাথর চিনে নিতে চান? কিন্তু প্রশ্ন হল এই রত্ন পাথরের ভিড়ে কী করে চিনবেন, কোনটা আসল ওপাল পাথর আর কোনটা নকল ওপাল পাথর?

এর সঠিক উত্তর দিতে পারেন কেবল মাত্র একজন অভিজ্ঞ রত্ন বিশেষজ্ঞ বা জেমোলজিস্ট। ওপাল পাথর চেনার বা বোঝার জন্য অভিজ্ঞ চোখ প্রয়োজন। ইমিটেশন ওপাল বা নকল ওপাল রত্নের অধিকাংশ তৈরি হয় বিশেষ ধরনের কাঁচ থেকে। এ কাঁচ যেন খুব বিশুদ্ধ হয়, ক্ষুদ্র বাবলস বা বুদবুদ ইত্যাদি থেকে মুক্ত হয়, সে ব্যাপারে বিশেষ যত্ন নেওয়া হয় প্রাকৃতিক বা খাঁটি রত্নের মতো অনুরূপ রং দেওয়ার জন্য গলিত অবস্থায় এ কাঁচের সঙ্গে বিভিন্ন রকম ধাতব অক্সাইড মেশানো হয়। খাঁটি ওপাল পাথরের ব্যাপারে সঠিক ধারণা পাওয়ার জন্য অভিজ্ঞ রত্ন বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে হবে।

আরও দেখুন: আমাদের সংগ্রহে রত্নপাথর (Gemstone)

• পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ওপাল পাথর পাওয়া গেলেও ব্রাজিল এবং অষ্ট্রেলিয়ার ওপাল পাথর বাংলাদেশে বেশী পাওয়া যায়, এছাড়া মেক্সিকো, হন্ডুরাস, জাপান, লিবিয়া, ইথিওপিয়া, তুরুস্ক, হাঙ্গেরি, গুয়েতামালা, নেভাডা, চেক রিপাবলিক তে বিভিন্ন রঙের ওপাল পাথর পাওয়া যায়। সারা পৃথিবীর মধ্যে ব্রাজিল এবং অষ্ট্রেলিয়ার ওপাল পাথর জগৎবিখ্যাত।
• বর্তমানে নকল টু পাট ওপেল পাওয়া যায় উপরের অংশটি গ্লাসি’ দেখায় ফায়ার ওপাল এর মত থাকে, নিচের অংশটি ট্রিপলেটগুলি শক্ত পরিষ্কার প্লাস্টিক বা কোয়ার্টজ দিয়ে আবদ্ধ থাকে। সিন্থেটিক ওপাল সনাক্ত করা খুব কঠিন হতে পারে আপনার জন্য যদি অভিজ্ঞতা না থাকে।

আরও পড়ুন: দেহের কোথায় তিল থাকলে কি হয়?

ওপাল পাথর চেনার উপায়?

ওপালের পিছনের দিকে তাকান – এটি কি এক ধরণের শক্ত কালো বা ধূসর প্লাস্টিকের মতো দেখায়? ট্রিপলেটগুলি প্রায়শই একটি কালো প্লাস্টিক, গ্লাস বা ভিট্রোলাইট ব্যাকিংয়ের সাথে আঠালো থাকে। এটি ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা হয়েছে। মনে রাখবেন, ট্রিপলেট ওপাল, ডবল পার্ট ওপাল বা সিন্থেটিক ওপাল প্রাকৃতিক ওপাল দামে সাশ্রয়ী হতে পারে। যাইহোক, অতিরিক্ত ফায়ার ওপাল সম্পর্কে আপনার সর্বদা সচেতন হওয়া উচিত এবং ভালো কোয়ালিটির ওপাল স্টোন গুলো কিন্তু অনেক কালারের মধ্যে নানা র্বন যুক্ত হয়ে থাকে, ওপাল পাথরের উপরে ভিবিন্ন রকমের আলো জল জল করবে, যাকে ফায়ার ওপাল বলা হয়। সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নিয়ে এই গ্রহ রত্ন গুলো নির্বাচন করতে হবে

আরও পড়ুন: রাশি অনুযায়ী আপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য 

ভালো ওপাল পাথরের দাম কত হতে পারে?

অরিজিনাল অষ্ট্রেলিয়ান ওপাল পাথরের দাম ১৫০০ বা ২০০০ টাকা পার ক্যারেট থেকে শুরু করে ১০,০০০ টাকা পার ক্যারেটের উপরে হয়ে থাকে, কারন ভালো কোয়ালিটির উপর ভাল দাম নির্ভর করে। যেমন ধরুন: একটি ৫ ক্যারেট অষ্ট্রেলিয়ান ওপাল পাথরের দাম ১০,০০০ টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকার উপরে পর্যন্ত হতে পারে।

ওপাল স্টোনের দাম নির্ভর করে – ওপাল পাথরের ওজন মানে কত ক্যারেট বা কত রতি মধ্যে নিতে চান? – ওপাল পাথরের ভাল কালার, – ওপাল রত্ন পাথরের ভাল কাটিং বা পলিশ,- ভাল স্থানের পাথর , – এবং ভাল কোয়ালিটির উপর। ওপাল পাথরের মাঝে অনেক প্রকার রং আছে তবে ভাল কালার এর উপর ভাল দাম নির্ভর করে। আপনি যখন ওপাল স্টোন সহ অন্য কোন প্রকারের রত্ন পাথর কেনার চিন্তা করবেন তখন মনে রাখা ভালো যে পাথরের কোন নির্দিষ্ট কোয়ালিটির হিসেব নেই। খনি থেকে পাওয়া বর্তমান মজুদ পাথরের মধ্যে থেকেই ভালো খারাপ কোয়ালিটির হিসেব করা হয়।

ওপাল স্টোন পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনারা সব সময় ভাল রত্ন বিশেষজ্ঞ, বিশেষ করে যারা বংশগত ভাবে জহুরী রয়েছেন তাদের সহযোগিতা নিয়ে তাদের পরামর্শ নিয়ে সঠিক ভাবে ওপাল রত্ন ধারণ করার চেষ্টা করবেন, কারণ তাদের মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুদ্ধ শোধন করে ওপাল পাথর পড়লে আপনি অবশ্যই দ্রুত ফলাফল ভাল পাবেন। ওপাল পাথর পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই বাংলাদেশ ও ভারতবর্ষে পুরস্কার প্রাপ্ত রত্ন বিশেষজ্ঞ ও ৪৩ বছরের অভিজ্ঞ বংশগত জহুরী, তান্ত্রিক গুরু ও Astrologer Doyal Delowar Chishti জ্যোতিষ রাজ দয়াল দেলোয়ার চিশতীর সঙ্গে পরামর্শ করুন।

জ্যোতিষরাজ – দয়াল দেলোয়ার চিশতী- স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত
পুরস্কার প্রাপ্ত রত্ন বিশেষজ্ঞ, অভিজ্ঞ বংশগত জহুরী, হস্তরেখাবিদ, গ্রহরত্ন নির্বাচক, জ্যোতিষ শাস্ত্রী, তান্ত্রিক, তন্ত্র শাস্তের উপর বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন।