স্টার নীলা পাথরের উপকারিতা
স্টার নীলা পাথরের উপকারিতা : জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে স্টার নীলা পাথর সম্পদ বৃদ্ধি, সৌভাগ্য, সুযোগ এবং প্রসারের সাথে সম্পৃক্ত। যাদের শনি গ্রহের খারাপ প্রভাব চলছে তাদের রাশি চক্রের শক্তি যোগায় ইন্দ্র নীলা পাথর। খুব ভালো রক্ষা কবচ হিসেবে কাজ করে ইন্দ্র নীলা বা স্টার নিলা পাথর। এ পাথর ব্যবহারে শত্রু থেকে রক্ষা, খারাপ দৃষ্টি ও হিংসে থেকে বেঁচে থাকে যায়। নীলা পাথর ব্যবহারের ফলে মানুষিক শক্তি বৃদ্ধি পায়, দ্বিধা দণ্ড কেটে যায় এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য পাওয়া যায়।
নীলা পাথর ব্যবহারে অনেক সময় খুব দ্রুত ফল পাওয়া যায়। এ পাথর ব্যবহারের ফলে অর্থনৈতিক দিকে এগিয়ে যাওয়া যায় এবং বহুবিধ আয়ের পথ পাওয়া যায়। ফলে সম্মান, প্রতিপ্রত্তি ও সুনাম বেড়ে যায়। মানুষ অসুস্থ হলে যেমন ওষুধ গ্রহন করে কিন্তু সুস্থতার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করে এবং আল্লাহর উপর নির্ভর করে, ঠিক সেই ভাবে মানুষ শারীরিক, মানুষিক এবং প্রাত্যহিক জীবনে উপকারের জন্য রাশি রত্ন পাথর ব্যবহার করতে পারে আল্লাহর উপর ভরসা রেখেই।
স্টার নীলা কার পরতে হয়? স্টার নীলা পাথরের উপকারিতা
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, জ্যোতিষীর পরামর্শ নিয়ে সর্বদা রত্ন ধারণ করা করা উচিত। জানিয়ে রাখি যে, যদি কোনও ব্যক্তির কুণ্ডলীতে বৃশ্চিক রাশি এবং মকর রাশি থাকে এবং মঙ্গল ষষ্ঠ, অষ্টম বা দ্বাদশ স্থানে থাকে তবে এই পাথরটি ধারণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া মেষ ও মকর রাশির ঊর্ধ্বে এবং শনি মঙ্গলের প্রভাবে থাকলেও এই পাথর ধারণ করা যেতে পারে। মকর রাশিকে আরোহী হতে হবে এবং মকর রাশির রাশি হতে হবে। মঙ্গল চতুর্থ, অষ্টম এবং দ্বাদশ ঘরে অবস্থান করলেও এবং শনি এই স্থানে না থাকলেও স্টার নীলা ধারণ করা যেতে পারে।
আমাদের জীবন নানা সমস্যায় ভরা। যেমন, গ্রহ শুভ ও অশুভ প্রভাব বিস্তার করে, তেমনই অশুভ বাস্তুর প্রভাবেও জীবনে উন্নতি ও বাধার সৃষ্টি হয়। মানব জীবনে বাধা কাটাতে জ্যোতিষীরা রত্ন ধারণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু রত্ন ধারণের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু সময়কাল এবং নিয়মাবলী অবলম্বন করা জরুরি। তা না হলে রত্ন ধারণে উপযুক্ত ফল মেলে না। যেমন, কোন রত্ন কোন আঙুলে ধরণ করলে উপযুক্ত ফল মিলবে, এ বিষয়ে জ্যোতিষশাস্ত্রে নির্দিষ্ট কিছু নিয়মাবলী বা নির্দেশ রয়েছে। আসুন সেগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
স্টার নীলা কিভাবে কাজ করে? স্টার নীলা পাথরের উপকারিতা
অ্যাস্টেরিজম – ল্যাটিন ‘অস্ট্রাম’ থেকে, যার অর্থ তারকা – খনিজ রুটাইলের ছোট সূঁচের মতো অন্তর্ভুক্তির কারণে ঘটে। যাইহোক, কালো তারা নীলকান্তমণিতে, তাদের রঙ এবং তারা উভয়ই চকচকে খনিজ হেমাটাইটের কারণে ঘটে। এটি আলোকে একটি অনন্য উপায়ে প্রতিফলিত করে, যার ফলে পাথরের উপর একটি তারা তৈরি হয়
সুফল পেতে স্টার নীলা পাথর?
স্টার নীলা পাথর একই পাথর, শুধু মাত্র গঠন মূলক পার্থক্যর কারনে আলাদা দেখতে হয়। এছাড়া এ দুই পাথরের সকল ক্যামিকেল এক। যেমন আঁখ থেকে রস বেড় করে খেলে সেটা আঁখের রস, আবার সেটা দিয়ে চিনি বানালে আঁখের চিনি, গুঁড় বানালে সেটা হয় আঁখের গুঁড়। এক কথায় রস, চিনি এবং গুঁড় সবই আঁখ থেকে। ঠিক এমনি ভাবে ইন্দ্র নীলা পাথর এবং স্টার নীলা পাথর একই পাথর
ভুল করছেন না তো? স্টার নীলা ধারনের ক্ষেত্রে?
কিছু কিছু জ্যোতিষ আছেন যারা স্টার নীলা পাথরকে ইন্দ্র নীলা পাথরের উপরত্ন বলে থাকেন এবং ইন্দ্র নীলার সাথে এ পাথর পরতে বলেন। বেশির ভাগ সময়ে দেখা যায় যে তিনি নকল ইন্দ্র নীলা পাথর বিক্রি করে তার সাথে স্টার নীলা পাথর পরতে পাবেন যাতে কাজ করলে ঐ স্টার নীলা পাথরেই কাজ করে। তাই স্টার নীলা পাথরের সকল তথ্যই ইন্দ্র নীলা পাথরের মত। তাই ইন্দ্র নীলার তথ্যই এখানে তুলে ধরা হল
সঠিক আঙুলে পরলেই বদলাবে আপনার ভাগ্য!
গ্রহ দশা অনুযায়ী শনির অশুভ প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার জন্য নীলা রত্ন পাথর ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে ব্লু সাফায়ার নিলা পাথর আপনার কাজের হাতের মধ্যমা আঙ্গুলে – (middle finger) এ পরা উচিত। মধ্যমা আঙুলটি শনি দ্বারা শাসিত এবং শনির পর্বটি হাতের তালুর মাঝের আঙুলের নিচে অবস্থিত। আপনি যেকোন হাতের মধ্যমা আঙ্গুলে নীলা পাথর ধারন করতে পারবেন, তবে ডান হাতে যেহেতু আপনার কর্ম হাত সেই হাতে পাথর ধারণ করলে সব চাইতে ভাল হয়।
স্টোন পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনারা সব সময় ভাল রত্ন বিশেষজ্ঞ, বিশেষ করে যারা বংশগত ভাবে জহুরী রয়েছেন তাদের সহযোগিতা নিয়ে তাদের পরামর্শ নিয়ে সঠিক ভাবে রত্ন ধারণ করার চেষ্টা করবেন, কারণ তাদের মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুদ্ধ শোধন করে পাথর পড়লে আপনি অবশ্যই দ্রুত ফলাফল ভাল পাবেন। পাথর পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই বাংলাদেশ ও ভারতবর্ষে পুরস্কার প্রাপ্ত রত্ন বিশেষজ্ঞ ও ৪৩ বছরের অভিজ্ঞ বংশগত জহুরী, তান্ত্রিক গুরু ও Astrologer Doyal Delowar Chishti জ্যোতিষ রাজ দয়াল দেলোয়ার চিশতীর সঙ্গে পরামর্শ করুন।