রক্তমুখী নীলা পাথরের উপকারিতা
রক্তমুখী নীলা পাথরের উপকারিতা : জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, রক্তমুখী নীলা ধারণ করলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে, বাধা বিঘ্ন কাটে। এর পাশাপাশি কোনও ব্যক্তির আর্থিক সাফল্যের সম্ভাবনা ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। রক্তমুখী নীলা ধারণ করলে একজন ব্যক্তির কাজের ধরন উন্নত হয়। এছাড়াও, ব্যক্তির চিন্তা করার ক্ষমতার বিকাশ ঘটে। অনেকে বিশ্বাস করেন রক্তমুখী নীলা ধারণ করলে এর প্রভাবে রাতারাতি মালামাল হওয়া যায়। আবার নিয়ম না জেনে ধারণ করলে ফল হতে পারে ঠিক এর উল্টো। কাদের নীলা ধারণ।
গ্রহের অশুভ প্রভাব কমাতে এবং শুভ প্রভাব বাড়াতে রত্নশাস্ত্রে অনেক রত্ন উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিটি রাশির জন্য আলাদা রত্ন রয়েছে। তবে, জ্যোতিষীদের পরামর্শ ছাড়া কোনও রত্নই ধারণ করা উচিত নয়। আজ ব্লাড স্যাফায়ার, ব্লু স্যাফায়ার বা রক্তমুখী নীলা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। এই রত্নটি শনি এবং মঙ্গল গ্রহের মিলনের জন্য ধারণ করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, এই পাথরটি শনি এবং মঙ্গল গ্রহের প্রতিনিধিত্ব করে। এমন পরিস্থিতিতে এটি ধারণ করার আগে এর নিয়ম ও উপকারিতা আর ঝুঁকি সম্পর্কে জানা খুবই জরুরি।
রক্তমুখী নীলা কেমন দেখতে? রক্তমুখী নীলা পাথরের উপকারিতা
রত্নশাস্ত্র অনুযায়ী, রক্তমুখী নীলায় নীলের মধ্যে গোলাপী বা রক্তের মতো লালচে আভা রয়েছে। তাই একে ব্লাডি স্যাফায়ার বলা হয়। এই রত্নটি সম্পর্কে একটি বিশ্বাস রয়েছে যে এটি ধারণ করার সঙ্গে সঙ্গে এটি তার প্রভাব দেখায়। তবে রাশিফল দেখেই এটি ধারণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। রক্তমুখী নীলা কেমন দেখতে? রত্নশাস্ত্র অনুযায়ী, রক্তমুখী নীলায় নীলের মধ্যে গোলাপী বা রক্তের মতো লালচে আভা রয়েছে। তাই একে ব্লাডি স্যাফায়ার বলা হয়। এই রত্নটি সম্পর্কে একটি বিশ্বাস রয়েছে যে এটি ধারণ করার সঙ্গে সঙ্গে এটি তার প্রভাব দেখায়।
খুব ভালো রক্ষা কবচ হিসেবে কাজ করে ইন্দ্র নীলা পাথর। এ পাথর ব্যবহারে শত্রু থেকে রক্ষা, খারাপ দৃষ্টি ও হিংসে থেকে বেঁচে থাকে যায়। নীলা পাথর ব্যবহারের ফলে মানুষিক শক্তি বৃদ্ধি পায়, দ্বিধা দণ্ড কেটে যায় এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য পাওয়া যায়। **ইন্দ্র নীলা পাথর সরাসরি সম্পদ বৃদ্ধির সাথে জড়িত তাই আংটি করে ডান হাতের মধ্যমা আঙ্গুলে ধারন করলে প্রচুর উপকার পাওয়া যায়।
রক্তমুখী নীলা ধারণ করার সুবিধা?
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, রক্তমুখী নীলা ধারণ করলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে, বাধা বিঘ্ন কাটে। এর পাশাপাশি কোনও ব্যক্তির আর্থিক সাফল্যের সম্ভাবনা ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। রক্তমুখী নীলা ধারণ করলে একজন ব্যক্তির কাজের ধরন উন্নত হয়। এছাড়াও, ব্যক্তির চিন্তা করার ক্ষমতার বিকাশ ঘটে। অনেকে বিশ্বাস করেন রক্তমুখী নীলা ধারণ করলে এর প্রভাবে রাতারাতি মালামাল হওয়া যায়। আবার নিয়ম না জেনে ধারণ করলে এর ঠিক উল্টো ফল হতে পারে
কাদের রক্তমুখী নীলা ধারণ করা করা উচিত?
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, জ্যোতিষীর পরামর্শ নিয়ে সর্বদা রত্ন ধারণ করা করা উচিত। জানিয়ে রাখি যে, যদি কোনও ব্যক্তির কুণ্ডলীতে বৃশ্চিক রাশি এবং মকর রাশি থাকে এবং মঙ্গল ষষ্ঠ, অষ্টম বা দ্বাদশ স্থানে থাকে তবে এই পাথরটি ধারণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া মেষ ও মকর রাশির ঊর্ধ্বে এবং শনি মঙ্গলের প্রভাবে থাকলেও এই পাথর ধারণ করা যেতে পারে। মকর রাশিকে আরোহী হতে হবে এবং মকর রাশির রাশি হতে হবে। মঙ্গল চতুর্থ, অষ্টম এবং দ্বাদশ ঘরে অবস্থান করলেও এবং শনি এই স্থানে না থাকলেও রক্তমুখী নীলা ধারণ করা যেতে পারে
রক্তমুখী নীলা ধারণ করার নিয়ম কী?
রত্নপাথর সংক্রান্ত জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, রক্তমুখী নীলা কমপক্ষে ৬/৭ থেকে সাড়ে ৮ রত্তির কেনা উচিত। এ ছাড়া রক্তমুখী নীলা পঞ্চ ধাতুতে তৈরি করা আংটিতেও ধারণ করা যেতে পারে। এটি ডান বা বাঁ হাতের মাঝের আঙুলে ধারণ করা যেতে পারে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, যে কোনও সময় রক্তমুখী নীলা ধারণ করা যায়
রক্তমুখী নীলা পাথর কোথায় পাওয়া যায়?
নীলার রাসায়নিক উপাদান অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড এবং স্যাফায়ারের অন্যান্য উপাদানে খনিতে নীলার সৃষ্টি । এই রত্ন- পাথরটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। মুলত শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, মায়ানমার বার্মা, অষ্ট্রেলীয়া ও আফ্রিকা নীলা, উল্লেখযোগ্য স্থান থেকে আসে এছারাও পাথরটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়
রক্তমুখী নীলা পাথরের দাম?
অরিজিনাল সিলংকান রক্তমুখী নীলা পাথরের দাম ১০,০০০ টাকা পার ক্যারেট থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকা পার ক্যারেটের উপরে আরো দামের মধ্যে হয়ে থাকে, কারন ভালো কোয়ালিটির উপর ভাল দাম নির্ভর করে। যেমন ধরুন: একটা ১০ ক্যারেটের নীলার দাম ৮০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। আপনি যখন রক্তমুখী নীলা পাথর সহ অন্য কোন প্রকারের রত্ন পাথর কেনার চিন্তা করবেন তখন মনে রাখা ভালো যে পাথরের কোন নির্দিষ্ট কোয়ালিটির হিসেব নেই
রক্তমুখী নীলা পাথরের ছবি?
রক্তমুখী নীলা পাথরের ছবিকরুনঃ
স্টোন পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনারা সব সময় ভাল রত্ন বিশেষজ্ঞ, বিশেষ করে যারা বংশগত ভাবে জহুরী রয়েছেন তাদের সহযোগিতা নিয়ে তাদের পরামর্শ নিয়ে সঠিক ভাবে রত্ন ধারণ করার চেষ্টা করবেন, কারণ তাদের মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুদ্ধ শোধন করে পাথর পড়লে আপনি অবশ্যই দ্রুত ফলাফল ভাল পাবেন। পাথর পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই বাংলাদেশ ও ভারতবর্ষে পুরস্কার প্রাপ্ত রত্ন বিশেষজ্ঞ ও ৪৩ বছরের অভিজ্ঞ বংশগত জহুরী, তান্ত্রিক গুরু ও Astrologer Doyal Delowar Chishti জ্যোতিষ রাজ দয়াল দেলোয়ার চিশতীর সঙ্গে পরামর্শ করুন।