রক্তমুখী নীলম কারা পরতে পারে
রক্তমুখী নীলম কারা পরতে পারে : জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, রক্তমুখী নীলা ধারণ করলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে, বাধা বিঘ্ন কাটে। এর পাশাপাশি কোনও ব্যক্তির আর্থিক সাফল্যের সম্ভাবনা ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। রক্তমুখী নীলা ধারণ করলে একজন ব্যক্তির কাজের ধরন উন্নত হয়। এছাড়াও, ব্যক্তির চিন্তা করার ক্ষমতার বিকাশ ঘটে। খুব ভালো রক্ষা কবচ হিসেবে কাজ করে ইন্দ্র নীলা পাথর। এ পাথর ব্যবহারে শত্রু থেকে রক্ষা, খারাপ দৃষ্টি ও হিংসে থেকে বেঁচে থাকে যায়।
ফোকাস এবং শৃঙ্খলার প্রয়োজন এমন পেশা : যারা শৃঙ্খলা, মনোযোগ এবং অধ্যবসায় দাবি করে তারা নীলম থেকে উপকৃত হতে পারে। কোষ্ঠিতে মঙ্গল, সূর্যের মতো গ্রহ শনির দৃষ্টিতে থাকলে, ব্যক্তিকে নীলা ধারণ করা উচিত। সুখের পঞ্চম স্থানের অধিপতি হয়ে অত্যধি কারক গ্রহ হয়ে পড়ে শনি। তাই এই লগ্নের জাতকদের অবশ্যই নীলা পরা উচিত। এই লগ্নের ব্যক্তিদের অসাধারণ সাফল্য প্রদান করে নীলা।।
রক্তমুখী নীলা কাদের জন্য শুভ? রক্তমুখী নীলম কারা পরতে
কর্কট রাশি, কন্যা রাশি, মকর রাশি, কুম্ভ রাশি এই রাশির জাতকরা যে পাথর ধারণ করলে শুভ ফল পাবেন তা হল নীলা পাথর। রক্তমুখী নীলা পাথর পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই একজন রত্ন বিশেষজ্ঞের অথবা তান্ত্রিক জ্যোতিষবিদের সঙ্গে পরামর্শ করুন। তা না হলে আপনাদের জন্য রক্তমুখী নীলা ভিশন অশুভ এবং আপনার জীবনের সব দিকে ক্ষতিকর প্রবাভ ফেলতে পারে।
অভিজ্ঞ জ্যোতিষী বা রত্ন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে হাতের মধ্যমা আঙ্গুলে নিলা পাথর ধারন করলে প্রচুর উপকার পাওয়া যায়। এবং বাম হাতের মধ্যমা আঙ্গুলে নিলা পাথর ধারন করতে পারেন। কিন্তু অন্য আঙ্গুলে পরার্মশ ছাড়া পড়লে শনির অশুভ প্রবাভ আপনার জীবনের সব দিকে ক্ষতি করতে পারে। পরামর্শ ছাড়া কোনো নীলাই ব্যবহার করা উচিত নয় । কারণ নীলা ব্যবহারে উপকার যতোটুকু, তার থেকে বেশি ক্ষতিকর।
কোন রাশির জন্য রক্তমুখী নীলা ক্ষতিকর
কর্কট রাশি, কন্যা রাশি, মকর রাশি, কুম্ভ রাশি এই রাশির জাতকরা যে পাথর ধারণ করলে শুভ ফল পাবেন তা হল নীলা পাথর। তবে এক্ষেত্রে অন্য রাশির জাতক-জাতিকারা যারা আছেন তারা নীলা পাথর ধারনে খুব সাবধান নীলা উপযোগী না হলে জীবন ছারখার হয়ে যায়। নীলা পাথর পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই একজন রত্ন বিশেষজ্ঞের অথবা তান্ত্রিক জ্যোতিষবিদের সঙ্গে পরামর্শ করুন। তা না হলে আপনাদের জন্য নীলা ভিশন অশুভ এবং আপনার জীবনের সব দিকে ক্ষতিকর প্রবাভ ফেলতে পারে।
শনি গ্রহের জন্য কোন পাথর ভালো?
রক্তমুখী নীলকান্তমণি হল শনির মূল রত্ন পাথর । এটি প্রধানত বায়ু উপাদান নিয়ন্ত্রণ করে। সাধারনত, একটি নীলকান্তমণি নীল (নীলা) রঙের হয় এবং এই কারণে এটিকে নীলমও বলা হয়। এর একটি নামও রয়েছে শনিপ্রিয়া যা পরে পরিবর্তিত হয়ে স্যাফায়ার হয়ে যায়। জ্যোতিষী পরামর্শ দেন যে একজনের জ্যোতিষী চার্টের সঠিক পরামর্শ, পরীক্ষা এবং মূল্যায়ন ছাড়াই নীলম পাথর পরার ফলে চরম মানসিক অস্থিরতা, মেজাজের অনিয়মিত পরিবর্তন বা উত্তেজিত আচরণ হতে পারে।
রক্তমুখী নীল পাথর কাদের পরতে হয়?
বৈদিক জ্যোতিষ অনুসারে, রক্তমুখী নীল নীলকান্তমণি পাথর শনির প্রভাবকে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং স্বাস্থ্য, সম্পদ এবং কর্মজীবনের স্থিতিশীলতার উপর ইতিবাচক প্রভাব আনতে পারে। মকর এবং কুম্ভ রাশি ছাড়াও, বৃষ, মিথুন, কন্যা এবং তুলাকর্কট রাশি, কন্যা রাশি, মকর রাশি, কুম্ভ রাশির মতো নক্ষত্রে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিরাও নীল নীলকান্তমণি রত্ন পরতে পারেন।
রক্তমুখী নীলম কারা পরতে পারে?
যদি কেউ প্যারালাইসিস, হাড়, দাঁত, এবং হাঁপানি-সংক্রান্ত রোগ থেকে বেঁচে থাকে তবে তাদের অবশ্যই ব্লাড ব্লু স্যাফায়ার পরতে হবে। অনেক সেলিব্রিটি এটি পরেন। ব্লাড ব্লু স্যাফায়ার রক্তমুখী নীলম, খুনি নীলম এবং রক্তম্বরী নীলম নামে পরিচিত। বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সঠিকভাবে জেনে তা ধারন করবেন। তা না হলে নীলা পাথরের ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে, পারিবারিক জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলতে পারে। তখন হতাশ হয়ে পড়তে পারেন।
স্টোন পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনারা সব সময় ভাল রত্ন বিশেষজ্ঞ, বিশেষ করে যারা বংশগত ভাবে জহুরী রয়েছেন তাদের সহযোগিতা নিয়ে তাদের পরামর্শ নিয়ে সঠিক ভাবে রত্ন ধারণ করার চেষ্টা করবেন, কারণ তাদের মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুদ্ধ শোধন করে পাথর পড়লে আপনি অবশ্যই দ্রুত ফলাফল ভাল পাবেন। পাথর পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই বাংলাদেশ ও ভারতবর্ষে পুরস্কার প্রাপ্ত রত্ন বিশেষজ্ঞ ও ৪৩ বছরের অভিজ্ঞ বংশগত জহুরী, তান্ত্রিক গুরু ও Astrologer Doyal Delowar Chishti জ্যোতিষ রাজ দয়াল দেলোয়ার চিশতীর সঙ্গে পরামর্শ করুন।