ব্যাংকক নীলা পাথরের উপকারিতা
ব্যাংকক নীলা পাথরের উপকারিতা : নীলা একটি মহারত্ন। এটি নীল আভাযুক্ত স্বচ্ছ উজ্জ্বল রত্ন। নীলা শীতল, স্বাদহীন, শুষ্ক রত্ন। আরবীতে একে কবুদ বলে। সংস্কৃতিতে একে নীলকান্তমণিও বলা হয়। কয়েক প্রকার নীলার মধ্যে ইন্দ্রনীল বর্ণর নীলা,অপরাজিতা নীলা, পীতাম্বরনীলা, গঙ্গাজল নীলা ,স্টার নীলা ও রক্তমূখী নীলার নাম আমরা শুনতে পাই। তবে পদ্ম নীলা বলে যে নীলা রয়েছে আসলে তা নীলা গোত্রের নয় এটিকে ইংরেজীতে এমেথিষ্ট ও বাংলায় সন্ধ্যামণি বলা হয়।
জ্যোতিষ শাস্ত্রে যখন কাজে কর্মে বাধা বিপত্তি, হতাশা,নিরাশা,উন্নতিতে বাধা, আইনগত জটিলতা, করাবাস, শিল্প কলকারখানায় জটিলতা দেখা দেয় তখন জাতক-জাতিকার সকল বাধা অপসারণে নীলা ধারণের পরামর্শ দেওয়া হয়। নীলা যদি কারও উপকারে আসে তা হলে এটি পরিধানের পর জাতক-জাতিকা বহু ধন ও ঐশ্বর্যের অধিকারী হন। সংকটকালে জাতক-জাতিকাকে ধৈর্যধারণে ও পরিশ্রমী হতে ও মন শক্ত করে সাহসের সাথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।
শনি গ্রহের রত্ন পাথর কি? ব্যাংকক নীলা পাথরের উপকারিতা
রত্নশাস্ত্র অনুযায়ী নীলা শনির মুখ্য রত্ন। শনি গ্রহের শুভ ফল লাভ করার জন্য নীলা ধারণ করা হয়। রত্নশাস্ত্র মতে, এই রত্ন কোনও ব্যক্তির জন্য মানানসই হলে শুভ ফল প্রদান করে। তবে দোষপূর্ণ পরিস্থিতিতে নীলা ধারণ করলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় জাতককে। রত্নশাস্ত্র অনুযায়ী নীলা ধারণ করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
নীলকান্তমণি ধারণে ত্রুটি থাকলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই কারণে, বেশিরভাগ মানুষ নীলকান্তমণি পরা এড়িয়ে চলেন। আসুন জেনে নিই নীলা পরার আগে কোন নিয়মগুলো মাথায় রাখা উচিত। রত্নবিদ্যা অনুসারে, রাশিফল এবং শনির ব্যাপারে না জেনে নীলা পরা উচিত নয়। নীলকান্তমণি রূপা দিয়ে ধারণ করার চেষ্টা করা উচিত। বর্গাকার নীলকান্তমণি পরা শুভ বলে মনে করা হয়।
কিছু বিখ্যাত ব্যক্তিগণ নীলা ধারণ করছেন?
কিছু বিখ্যাত ব্যক্তিগণ যারা নীলা ধারণ করছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চন, তার পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন, পুত্র অভিষেক বচ্চন, সুরকার এর.আর রহমান, সনু নিগম প্রমুখ।
নীলা ধারণ করার পদ্ধতিগুলো? ব্যাংকক নীলা পাথরের উপকারিতা
এইবার তাহলে আমরা শরীরে নীলা ধারণ করার পদ্ধতিগুলো জেনে নিই।নীলা কেনার পর উচিত আমাদের জ্যোতিষীর থেকে পরামর্শ নেওয়া যে সঠিক নীলা নেওয়া হয়েছে কিনা ,আমাদের জীবনে এই নীলা কতটা উপকার করতে পারে এবং কিভাবে ধারণ করতে হবে নীলাটি ইত্যাদি। এইসব ব্যাপারে আপনাদের জ্যোতিষির সাথে আলোচনা করে নেওয়ার দরকার।
নীলা পাথর ধারণ করার আগে?
বলা হয় নীলা আমাদের ভাগ্যে রাজযোগ নিয়ে আসে। আমাদের জীবনে রাজযোগ এলে আমরা আমাদের ভবিষ্যত বুঝে উঠতে পারবো এবং ভবিষ্যতের কিছু সঠিক নির্ণয়ও নিতে পারবো। জ্যোতিষীর থেকে পরামর্শ নিয়ে তারপরই নীলা পড়া উচিত না হলে নীলা কিন্তু খুবই সাংঘাতিক একটি গ্রহরত্ন। যদি ভুল লোক বা ভুল পদ্ধতিতে নীলা গ্রহণ করেন, তাহলে নীলা কিন্তু সাংঘাতিক ভাবে ক্ষতি এনে দিতে পারে আপনার জীবনে।
স্টোন পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনারা সব সময় ভাল রত্ন বিশেষজ্ঞ, বিশেষ করে যারা বংশগত ভাবে জহুরী রয়েছেন তাদের সহযোগিতা নিয়ে তাদের পরামর্শ নিয়ে সঠিক ভাবে রত্ন ধারণ করার চেষ্টা করবেন, কারণ তাদের মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুদ্ধ শোধন করে পাথর পড়লে আপনি অবশ্যই দ্রুত ফলাফল ভাল পাবেন। পাথর পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই বাংলাদেশ ও ভারতবর্ষে পুরস্কার প্রাপ্ত রত্ন বিশেষজ্ঞ ও ৪৩ বছরের অভিজ্ঞ বংশগত জহুরী, তান্ত্রিক গুরু ও Astrologer Doyal Delowar Chishti জ্যোতিষ রাজ দয়াল দেলোয়ার চিশতীর সঙ্গে পরামর্শ করুন।।