ব্যাংকক ইন্দ্র নীলা পাথর
ব্যাংকক ইন্দ্র নীলা পাথর: ব্যাংকক ব্লু স্যাফায়ার নীলম স্টোন অরিজিনাল সার্টিফাইড ব্লু স্যাফায়ার পাথর একটি মূল্যবান পাথর। এটি নীল রঙের। নীল নীলকান্তমণি পাথর 9টি মূল্যবান রত্ন পাথরের মধ্যে একটি। একে হিন্দিতে নীলম পাথর, নীলম রত্ন বা নীলম রত্নও বলা হয়। বৈদিক জ্যোতিষ অনুসারে এটি শনি গ্রহ বা শনি গ্রহের রত্ন পাথর। তবে ব্যাংকক ইন্দ্র নীলা পাথর বলতে কোন পাথর নেই। ইন্দ্র নীলা পাথর শুধু মাত্র সিলংকান নীলা পাথরকে বলা হয়।
তাই কোথায় যদি ব্যাংকক ইন্দ্র নীলা পাথর বলে আপনার কাছে কোন রত্ন পাথর বিত্রিু করতে চায় তাহলে আপনি এই বিষয়ে সর্তক থাকবেন। যে কোনও রত্ন ধারণের পূর্বে রত্ন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। ব্যাংকক নীলা পাথর পাথর ধারণ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন বংশগত অভিজ্ঞ রত্ন বিশেষজ্ঞের/জ্যোতিষবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে ধারন করবেন। ।
ব্যাংকক নীলা পাথরের উপকারিতা?
ব্যাংকক ইন্দ্রনীলা পাথর একটি মহারত্ন। এটি নীল আভাযুক্ত স্বচ্ছ উজ্জ্বল রত্ন। নীলা শীতল, স্বাদহীন, শুষ্ক রত্ন। সংস্কৃতিতে একে নীলকান্তমণিও বলা হয়। দোষপূর্ণ পরিস্থিতিতে নীলা ধারণ করলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় জাতককে। রত্নশাস্ত্র অনুযায়ী নীলা ধারণ করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। পাথর ব্যবহারে শত্রু থেকে রক্ষা, খারাপ দৃষ্টি ও হিংসে থেকে বেঁচে থাকে যায়।
ব্যাংকক ইন্দ্রনীলা পাথর ব্যবহারের ফলে মানুষিক শক্তি বৃদ্ধি পায়, দ্বিধা কেটে যায় এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য পাওয়া যায়। ব্যাংকক ইন্দ্রনীলা পাথর সরাসরি সম্পদ বৃদ্ধির সাথে জড়িত। এ পাথর ব্যবহারের ফলে অর্থনৈতিক দিকে এগিয়ে যাওয়া যায় এবং বহুবিধ আয়ের পথ পাওয়া যায়। ফলে সম্মান, প্রতিপ্রত্তি ও সুনাম বেড়ে যায়। ধৈর্যধারণে ও পরিশ্রমী হতে ও মন শক্ত করে সাহসের সাথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।
ব্যাংকক নীলা পাথরের দাম
ব্যাংকক নীলা পাথরের দাম কম হয়ে থাকে। কাজের ক্ষেত্রে এই পাথর খুব একটা কাজ করেনা। তবে ব্যাংকক নীলা পাথর এর চাইতে সিলংকান নীলা পাথর অনেক গুনে ভাল কাজ করে। ব্যাংকক নীলা পাথরের দাম সর্বনিম্ন ৫০০/- টাকা পার ক্যারেট থেকে শুরু করে – পার ক্যারেট ৭০০/- টাকা, ৮০০০/- , ১০০০/- টাকা, উপরে আরো দামের মধ্যে হয়ে থাকে। তবে ভালো কোয়ালিটির আফ্রিকান নিলা স্টোন আরো বেশি দামেও কিন্তু পাওয়া যায়।
ব্যাংকক নীলা পাথর চেনার উপায়?
নীলা পাথরের বিভিন্ন রকম কালার হয়ে থাকে, সাধারণত নীল কালার টা বেশি অংশ থাকে। তবে ব্যাংকক নীলা গাঢ় নীল কালার মিক্স থাকে, এরকম আরো অসংখ্য কালারের যুক্ত হয়ে থাকে নীলা পাথর। ব্যাংকক নীলা পাথরের ভেতরের দিক সুক্ষ্ম বুদ বুদ আশ এর মত দেখা যায়। অনেক নীলাতে দেখা যায় না। নীল আভাযুক্ত স্বচ্ছ উজ্জ্বল নীলা পাথরের কার্যকারিতাই বেশী। ভালো কোয়ালিটির নিলা পাথর গুলো কিন্তু অনেক কিলিয়ার এবং স্বচ্ছ হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নিয়ে এই গ্রহ রত্ন গুলো নির্বাচন করতে হবে।
ব্যাংকক নীলা পাথর কোন আঙ্গুলে পড়ে?
গ্রহ দশা অনুযায়ী শনির অশুভ প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার জন্য নীলা রত্ন পাথর ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে ব্লু সাফায়ার নিলা পাথর আপনার কাজের হাতের মধ্যমা আঙ্গুলে – (middle finger) এ পরা উচিত। মধ্যমা আঙুলটি শনি দ্বারা শাসিত এবং শনির পর্বটি হাতের তালুর মাঝের আঙুলের নিচে অবস্থিত। আপনি যেকোন হাতের মধ্যমা আঙ্গুলে নীলা পাথর ধারন করতে পারবেন, তবে ডান হাতে যেহেতু আপনার কর্ম হাত সেই হাতে পাথর ধারণ করলে সব চাইতে ভাল হয়।
ব্যাংকক নীলা পাথর পরার নিয়ম?
সুফল পেতে এখনি আপনার হাতে লক্ষ করুন নীলা ঠিক ভাবে পড়েছেন তো? যদি নীলাটি আপনার জন্য যথার্থ হয় তাহলে খেয়াল রাখতে হবে যে নীলাটি যেন আমাদের শরীরের সঙ্গে লেগে থাকে। যদি নীলাটি আলগা ভাবে পরা হয় তাহলে কিন্তু কোনো লাভই হবে না। কোনোভাবেই উপকৃত হবেন না। তাই সব সময় খেয়াল রাখতে হবে যে নীলাটি যেন আমাদের গায়ের সঙ্গে লেগে থাকে। নীল পাথর ধারণের মেনে চলা উচিৎ কিছু নিয়ম নয়তো কাজ হতে পারে উল্টো।
স্টোন পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনারা সব সময় ভাল রত্ন বিশেষজ্ঞ, বিশেষ করে যারা বংশগত ভাবে জহুরী রয়েছেন তাদের সহযোগিতা নিয়ে তাদের পরামর্শ নিয়ে সঠিক ভাবে রত্ন ধারণ করার চেষ্টা করবেন, কারণ তাদের মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুদ্ধ শোধন করে পাথর পড়লে আপনি অবশ্যই দ্রুত ফলাফল ভাল পাবেন। পাথর পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই বাংলাদেশ ও ভারতবর্ষে পুরস্কার প্রাপ্ত রত্ন বিশেষজ্ঞ ও ৪৩ বছরের অভিজ্ঞ বংশগত জহুরী, তান্ত্রিক গুরু ও Astrologer Doyal Delowar Chishti জ্যোতিষ রাজ দয়াল দেলোয়ার চিশতীর সঙ্গে পরামর্শ করুন।