কাশ্মীর নীলা পাথরের উপকারিতা
কাশ্মীর নীলা পাথরের উপকারিতা : নীলা পাথর হল নবরত্নের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি রত্নপাথর। এই পাথর ধারণ করলে উপকার ও অপকার দুইই হতে পারে। নীলা যাদের জন্য উপযোগী, এই রত্ন পাথর তাদের ধনি বানিয়ে দিতে পারে। কিন্তু কাশ্মীর নীলা উপযোগী না হলে জীবন ছারখার হয়ে যায়। কাশ্মীর নীলা পাথরের অপকারিতা এবং রাশি চক্রে শনির কুদৃষ্টি, ক্ষারাপ প্রভাব, বা অশুভ প্রবাভ হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য ও শনির অশুভ প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার জন্য কাশ্মীর নীলা পাথর ধারণ করা জন্য বলা হয়ে থাকে।
অনেক কাল আগে উৎকৃষ্ট নীল রঙের নীলা পাথর পাওয়া যেত কাশ্মীর, শ্রিলাঙ্কা এবং বার্মাতে। নীলা পাথর ব্যবহারে ব্যক্তির জ্ঞান গাম্ভীর্য ধারাবাহিক ভাবে বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়। আসল নীলা পাথর হার্ট এবং পাকিস্থলির সমস্যায় উপকারী। শনিগ্রহের ভালো প্রভাব প্রাচুর্যতা আনয়ন করে কিন্তু পাশাপাশি অতিরিক্ত ভোগপ্রবণতা কমাতে সাহায্য করে।
কোন রাশিতে কাশ্মীর নীলা আছে?
কর্কট রাশি (২২ জুন থেকে ২২ জুলাই), কন্যা রাশি (২৪ আগস্ট থেকে ২৩শে সেপ্টেম্বর), মকর রাশি (২১ ডিসেম্বর থেকে ২০ জানুয়ারি), কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি) এই রাশির জাতকরা যে পাথর ধারণ করলে শুভ ফল পাবেন তা হল নীলা পাথর। তবে এক্ষেত্রে অন্য রাশির জাতক-জাতিকারা যারা আছেন তারা কাশ্মীর নীলা ধারণ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই পাথর পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের / জ্যোতিষবিদের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
তবে এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভুল সিদ্ধান্ত নিলে কাশ্মীর ব্লু-স্যাফায়ার – নীলা এর অপকারিতা কিন্তু আপনাকে ক্ষতির সম্মুখীন করতে পারে। শনির সূর্য, চন্দ্র, মঙ্গলের সঙ্গে যুতি অথবা দৃষ্টি সম্পর্ক থাকলে ব্যক্তিকে নীলা রত্ন পাথর ধারণ করা উচিত নয়। দোষপূর্ণ পরিস্থিতিতে নীলা পাথর ধারণ করলে কিন্তু ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় জাতক/জাতিকাকে। রত্নশাস্ত্র বিশেষজ্ঞ অনুযায়ী নীলা ধারণ করার সঠিক সময়ে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
কাশ্মীর নিলার সঠিক কালার নির্বাচন করুন?
কাশ্মীর নিলা পাথর ব্যবহারের জন্য সঠিক কালার নির্বাচন করুন সঠিক কালার না হলে অপকার হতে পারে। সঠিক কালার মানে নীলা পাথরের অসংখ্য কালার হয়ে থাকে তাই আপনার গ্রহ দশা অনুযায়ী আপনার জন্য যে কালারটি শুভ হবে। এই কালারটি আপনাকে নির্বাচন করে সঠিকভাবে ধারণ করতে হবে। নীলা পাথরের যে কালার গুলো আপনার জন্য অশুভ সেই রং এর পাথর গুলো কখনোই ধারণ করবেন।
আপনার জন্য কত ক্যারেট কাশ্মীর নীলা সঠিক?
গ্রহ দশা অনুযায়ী আপনার কত ওজনের কাশ্মীর নিলা পাথর ধারন করা উচিত সেই বিষয়টি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সঠিকভাবে জানার চেষ্টা করবেন, তা না হলে নীলা পাথরের অপকারিতা কিন্তু আপনার জীবনে প্রভাব ফেলবে। শনির দশা গ্রাস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নীলা ধারণ করা হয়ে থাকে, কিন্তু কতটুকু গ্রহ দশা খারাপ থাকলে নীল পাথর ধারন করবেন, আসলে কত ওজনের (ক্যারেট) আপনার জন্য শুভ হবে? তা সঠিক ভাবে জেনে ধারন করবেন।
সঠিক ভাবে কাশ্মীর নীলা রত্ন শোধন না হলে? কাশ্মীর নীলা পাথরের উপকারিতা
কাশ্মীর নিলা পাথর শোধন করার নিয়ম যেকোন পাথরই শোধন ব্যতীত ধারনে সুফল নাও পেতে পারেন। কাশ্মীর নীলা পাথর শোধনের পর শুভ সময়ে ধারন করতে হয় এতে অপকারিতা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রয়কৃত রত্ন পাথর আমরা বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে শোধন করে দিয়ে থাকি। আমাদের, বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে শোধন করা রত্ন পাথর ধারণ করার পর দ্রুত ফল প্রদান করতে সক্ষম।
ভরসা করে রত্নপাথর ব্যবহার? কাশ্মীর নীলা পাথরের উপকারিতা
উল্লেখিত সকল প্রকার উপকার নির্ভর করে মহান আল্লাহর ইচ্ছার উপর। তাই আল্লাহর নিয়ামত ভেবে শুধুমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করে রত্নপাথর ব্যবহার করা উপকারী। শুভ হোক আপনার ভাগ্য। নিলা পাথরের অপকারিতা থেকে রক্ষা পেতে অবশ্যই এই নিয়মে পাথর ধারন করার জন্য চেষ্টা করবে আপনারা।
কাশ্মীর নীলা স্টোন পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনারা সব সময় ভাল রত্ন বিশেষজ্ঞ, বিশেষ করে যারা বংশগত ভাবে জহুরী রয়েছেন তাদের সহযোগিতা নিয়ে তাদের পরামর্শ নিয়ে সঠিক ভাবে রত্ন ধারণ করার চেষ্টা করবেন, কারণ তাদের মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুদ্ধ শোধন করে পাথর পড়লে আপনি অবশ্যই দ্রুত ফলাফল ভাল পাবেন। পাথর পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই বাংলাদেশ ও ভারতবর্ষে পুরস্কার প্রাপ্ত রত্ন বিশেষজ্ঞ ও ৪৪ বছরের অভিজ্ঞ বংশগত জহুরী, তান্ত্রিক গুরু ও জ্যোতিষ রাজ দয়াল দেলোয়ার চিশতীর সঙ্গে পরামর্শ করুন।