ওপাল শোধন করার নিয়ম (Benefits of Wearing Opal Stone)
ওপাল শোধন করার নিয়ম: ওপাল পাথর ধারণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়মাবলী রয়েছে৷ আয়ুর্বেদাচার্য রত্নের স্বভাবজ ও অস্বভাবজ দোষ বার করে অস্বভাবজ দোষগুলো নষ্ট করার জন্য বিশেষ বিশেষ দ্রব্যের মাধ্যমে রত্ন শোধনের উল্লেখ করেছেন। জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে সঠিক নিয়মে গ্রহ-নক্ষত্র মেনে ওপাল পাথর ধারণ করলে উপযোগী ফলাফল মেলে ও ভাগ্য প্রসন্ন হতে পারে৷ আসল ওপাল রত্ন পাথর ধারণে কোনও ভুল হলে হিতে বিপরীতও হতে পারে ৷ আসল ওপাল স্টোন শোধন করার বিষয়টি নিয়ে অনেকের মধ্যে বিভিন্ন রকম কৌতুহল থাকে। এখন প্রশ্ন হল সঠিকভাবে রত্ন শোধন কী ভাবে করা যায় ।
আরও জানুন: রত্ন পাথর শোধন করার নিয়ম ও মন্ত্র জানতে ভিডিওটি দেখুন
ওপাল ধারনের সময়?
সব সময় খেয়াল রাখতে হবে যে ওপাল পাথরটি যেনো আমাদের গায়ের সঙ্গে লেগে থাকে। ওপাল পাথর ধারণের মেনে চলা উচিৎ কিছু নিয়ম নয়তো কাজ হতে পারে উল্টো। আঙুলে রত্ন ধারণ সম্ভব না হলে তা বাহুতে বা গলায় ধারণ করা যায় তবে তার এফেক্ট খুব কম হয়। এ বিষয়ে জ্যোতিষশাস্ত্রে নির্দিষ্ট কিছু নিয়মাবলী বা নির্দেশ রয়েছে। আসুন সেগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আরও দেখুন: আমাদের সংগ্রহে রত্নপাথর (Gemstone)
ওপাল পাথর নির্বাচনে জ্যোতিষশাস্ত্র কি বলছে? ওপাল শোধন করার নিয়ম?
কৃত্রিম রত্ন তৈরির প্রচেষ্টাটি প্রচীনকালেও ছিল। প্রাচীন মিশরীয় এবং রোমানদের তৈরি বিভিন্ন রকম নমুনা জাদুঘরে দেখা যায়। তবে সেগুলি গুণগত মানে ও রূপে অক্ষম। কৃত্রিমভাবে তৈরি রত্ন-পাথরকে কয়েকটি সম্পূর্ণ আলাদা দলে বিভক্ত কর যায়। যেমন – (১) ইমিটেশন অর্থাৎ নকল ওপাল রত্ন পাথর। (২) সিনথেটিক ওপাল অর্থাৎ সংশ্লেষিত রত্ন এবং (৩) কৃত্রিম ভাবে তৈরি ডুপ্লিকেট ওপাল রত্নপাথর। (১) ইমিটেশন বা নকল ওপাল রত্ন প্রাকৃতিক রত্নের অনুকরণেই করা হয়। ।
- আসল ওপাল রত্ন ক্রয় করে ধারণ করার চেষ্টা করবেন, নকল ওপাল পাথর ধারণ করলে তার অপকারিতা, বা অশুভ প্রবাব কিন্তু আপনার উপর খারাপ প্রভাব ফেলবে জীবনে নানা রকম সমস্যার জর্জরিত হতে পারেন।
- তাই ওপাল পাথর ধারন করার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই অভিজ্ঞ একজন রত্ন বিশেষজ্ঞের অথবা তান্ত্রিক জ্যোতিষবিদের পরামর্শ গ্রহন করুন।
আরও পড়ুন: দেহের কোথায় তিল থাকলে কি হয়?
ওপাল শোধন করার নিয়ম?
- ওপাল পাথর শুদ্ধ শোধন করে, আপনার নামের উপর কিছু ইসমে আজম দোয়া পাঠ করে, পাথর ব্যবহার করার জন্য ধারন করতে হবে।
- ওপাল পাথর শোধন করার জন্য ২১ টি গাছের শিকড়ের রস এর প্রয়োজন হয় যা আফ্রিকা থেকে আসে আরো অনেক গাছের শিকড় এবং কিছু উপাদান রয়েছে যা রত্ন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে আপনার জেনে নিতে হবে।
- ওপাল রত্ন পাথর আংটি বাঁধাইকৃত ধাতুর শুদ্বতা অবশ্যই জানা থাকতে হবে অন্যথায় রত্ন পাথর সুফল প্রদান করবেনা।
- নির্ধারিত সঠিক আঙ্গুলে নির্দেশিত ওপাল রত্ন পাথর পরিধান করা বাধ্যতামূলক।
- যে কোন আসল ওপাল রত্নপাথর ধারন করার বা পড়ার পূর্বে প্রতিটি খাঁটি ওপাল পাথরই বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে রত্ন শোধন করে ধারন করতে হবে।
- ওপাল রত্ন পাথর শোধন ব্যতীত ধারনে আপনি সুফল নাও পেতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার ওপাল পাথরটি ভেঙে যেতে পারে!! আবার হাত থেকে পড়েও যাবে! অথবা হারিয়ে যাবে এবং ওপাল পাথর পরিধান করে আপনি কোন ফলাফল পাবেন না।
আরও পড়ুন: রাশি অনুযায়ী আপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
সঠিকভাবে সুদ্ধ শোধন কী ভাবে করা যায়?
ওপাল রত্ন পাথর শোধন করার নিয়ম টি শুধুমাত্র অভিজ্ঞ রত্ন বিশেষজ্ঞ যারা রয়েছেন একমাত্র তাদের দ্বারাই সম্ভব। বিশেষ করে বংশগত ভাবে যারা জহুরী রয়েছেন তাদের ওপাল রত্ন পাথর শোধন করার নিয়ম কানুন গুলো ভালো জানা রয়েছে। অনেকেই বলে পাথর পড়ে কোন উপকার হয় না এর একমাত্র কারণ হলো আপনি যদি নিজের ইচ্ছাতে নকল ওপাল পাথর পরিধান করেন এবং যদি শুদ্ধ শোধন না করে থাকেন। প্রতিটি গ্রহ রত্ন পাথর প্রতি ৩ মাস এবং প্রতিটি উপরত্ন পাথর ৬ মাস পর পরই শুদ্ধ শোধন করে ধারন করতে হবে। কারণ হলো এর মধ্যে মানুষের কিছু কুদৃষ্টি – জিন পরির কিছু কুদৃষ্টি এবং গ্রহ-নক্ষত্রের খারাপ প্রবাভ আপনার উপর পরতে পারে তাই ওপাল রত্ন পাথর শুদ্ধ শোধন না করলে তার উল্টো কাজ আপনার উপর করতে পারে।
ওপাল স্টোন পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনারা সব সময় ভাল রত্ন বিশেষজ্ঞ, বিশেষ করে যারা বংশগত ভাবে জহুরী রয়েছেন তাদের সহযোগিতা নিয়ে তাদের পরামর্শ নিয়ে সঠিক ভাবে ওপাল রত্ন ধারণ করার চেষ্টা করবেন, কারণ তাদের মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুদ্ধ শোধন করে ওপাল পাথর পড়লে আপনি অবশ্যই দ্রুত ফলাফল ভাল পাবেন। ওপাল পাথর পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই বাংলাদেশ ও ভারতবর্ষে পুরস্কার প্রাপ্ত রত্ন বিশেষজ্ঞ ও ৪৩ বছরের অভিজ্ঞ বংশগত জহুরী, তান্ত্রিক গুরু ও Astrologer Doyal Delowar Chishti জ্যোতিষ রাজ দয়াল দেলোয়ার চিশতীর সঙ্গে পরামর্শ করুন।
জ্যোতিষরাজ – দয়াল দেলোয়ার চিশতী- স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত
পুরস্কার প্রাপ্ত রত্ন বিশেষজ্ঞ, অভিজ্ঞ বংশগত জহুরী, হস্তরেখাবিদ, গ্রহরত্ন নির্বাচক, জ্যোতিষ শাস্ত্রী, তান্ত্রিক, তন্ত্র শাস্তের উপর বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন।
বাংলাদেশ ও ভারত বর্ষে পুরস্কার প্রাপ্ত দীর্ঘ ৪২ বছরের অভিজ্ঞ রত্ন বিশারদ (রত্ন বিশেষজ্ঞ) বিচক্ষণ এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হস্তরেখাবিদ জ্যোতিষ। খাজা বাবার রুহানি সন্তান দয়াল দেলোয়ার চিশতী (Doyal Delower Chishti), তিনি আজমীর শরীফের খেলাফত প্রাপ্ত খাদেম। রত্ন পাথর সম্পর্কে তার রয়েছে ● বাস্তব অভিজ্ঞাতা ● সনাতন এবং ● আধুনিক অভিজ্ঞতা। আর হতাশা নয় সফলতার জন্য আজই চলে আসুন। রত্ন বিশেষজ্ঞ সাথে অনলাইনে নিরাপদে ব্যক্তিগতভাবে কোন সাক্ষাৎকার ছাড়াই চ্যাট এবং কল করে রত্নপাথর বিষয়ে পরামর্শ নিন